বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

৫৪ বছর পর বাংলাদেশে আসছে পাক সেনা অফিসার, ফেব্রুয়ারিতে হবে বাংলাদেশ পাকিস্তান নৌ মহড়া

ভারতের একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে  বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা নিউজ দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ সাহির শামশাদ বাংলাদেশের সেনা অ্যাকাডেমিতে পাকিস্তানের সেনা অফিসার পাঠাতে চান বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। যারা বাংলাদেশি সেনা অফিসারদের কে কমান্ড এন্ড ট্যাকটিসের ট্রেনিং দিবে। এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। যার ফলে পাকিস্তানের সেনা অফিসার ও  জেনারেলরা  বাংলাদেশ সফরে আসবেন।  তবে কবে ওই পাক অফিসাররা আসছেন তা এখনও ঠিক হয়নি।

যারা বাংলাদেশের ভালো চায়না, তারা চায় যে বাংলাদেশ সবসময় বন্ধুহীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকুক, তাহলে বাংলাদেশকে গপ করে গিলে ফেলা যাবে, বা কাবু করে রাখা যাবে।  এজন্য বাংলাদেশ মুসলিম দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে এটা অনেকেই পছন্দ করে  করে না।  চীনের সাথে,  তুরস্কের সাথে বা পাকিস্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক হোক তা আমাদের দেশের অনেকেই মানতে পারে না। এইজন্য যুগ যুগ ধরে এই জাতিকে ব্রেইন ওয়াশ দেয়া হয়েছে।


কিন্তু পাকিস্তান এবং তুরস্ক  বাংলাদেশের কোন ক্ষতি করবে না,দেশটা দখল করতে আসবে না।  হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এসে বাংলাদেশ দখল করার ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। কিন্তু সেই পাকিস্তানের জুজুর ভয় দেখানো হয় স্বাধীনতার পর থেকেই। শেখ মুজিবের সময়ে বাংলাদেশকে ওআইসি তেও যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। পাকিস্তান যেরকম আমাদেরকে  প্রায় ২৫ বছর শাসন করছে ঠিক এরকম ব্রিটিশরাও  তো আমাদের  ২০০ বছর শাসন করছে, অনেক নির্মম নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে, সেই ব্রিটিশদের সাথে ভারতের বা পাকিস্তানের বা বাংলাদেশের কারো সম্পর্ক খারাপ না, এরকম কেউই মনে করে না যে ব্রিটিশদের সাথে সম্পর্ক রাখলে গুনাহ হবে বা ইজ্জত চলে যাবে। ব্রিটিশদের সাথে কোন সমস্যা নাই কিন্তু বাংলাদেশ সাথে পাকিস্তানের ভালো  সম্পর্ক দেখলেই অনেকের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। শরীর ও মন  জ্বলতে থাকে। 

পাকিস্তানের সঙ্গে একটা  যৌথ নৌ মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী বছর ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ৭-১১ তারিখ করাচিতে ওই নৌ মহড়া হবে। এ নৌ মহড়া নিয়ে ভারতের  সামরিক বিশেষজ্ঞ অশোক কুমার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বেড়েই চলেছে। এটা ক্রমশ ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

পাকিস্তানের কাছে শর্ট ও লং রেঞ্জ এর মিসাইল প্রযুক্তি আছে, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি নিয়ে নিজেরাই তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশের জন্য আফসোস স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমরা  শর্ট বা লং রেঞ্জ এর মিসাইল বানানো শিখলাম না যা ইয়েমেনের হুথি আর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ
যোদ্ধারাও পারে। আসলে বাংলাদেশের নিজের আগ্রহ না থাকলে কেউই তাকে তৈরি করে দিবে না।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন