রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ এখন ১৫৭ টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে,পাকিস্তানও পেতে চায় বাংলাদেশের ওষুধ

কাঁচামালের আমদানি মূল্যবৃদ্ধি,ডলার সংকট, রাজনৈতিক সংকট ,  শ্রমিক সমস্যা  সহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও এ বছর ওষুধ রপ্তানিতে  কাঙ্ক্ষিত  প্রবৃদ্ধি অর্জন হওয়ায় ওষুধ রপ্তানিকারকরা খুশী। 


বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ মেটানোর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকা ও ল্যাটিন  আমেরিকাসহ অন্তত ১৫৭ টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এরমধ্যে পাকিস্তানও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মানসম্পন্ন ওষুধ হওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের পরিমাণগত ও গুণগত মানের এই উন্নতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম বাড়িয়েছে।


জাতিসংঘের শিক্ষা ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো  তাদের প্রকাশিত  এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ।//


স্বাধীনতার আগে দেশে দেশি ওষুধ কোম্পানি ছিল মাত্র দুটি। আর দেশে এখন নিবন্ধন করা ওষুধ কোম্পানি আছে ২৭৪টি। বাংলাদেশে ওষুধশিল্প সমিতি জানিয়েছে, এর মধ্যে ২১৪টি কোম্পানি এখন চালু আছে। ১৯৭২ সালের দিকে ৯০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত। আর এখন ৯৮% ওষুধ দেশে উৎপাদিত হয়। 


চলতি বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানি রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বাজার ও বড় রপ্তানি আদেশ পাওয়ায় রপ্তানিতে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।


শুধু নভেম্বর মাসেই রপ্তানি হয়েছে ২২ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার। আগের বছর একই মাসে যা ছিল ১৩ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার।//



রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে দেশে ওষুধ রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৯২ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।



ওষুধ রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট  কর্মকর্তারা  বলেন, দেশে মার্কিন ডলারের সংকট ধীরে ধীরে কমেছে। যার ফলে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার বিধিতে শিথিলতা আনায় এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।'


স্থানীয় রপ্তানিকারকদের আন্তর্জাতিক বিপণন দলগুলো রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো এখন রপ্তানি বাড়াতে নতুন নতুন গন্তব্য খুঁজতে আগ্রহী।'

শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো বড় আমদানিকারকরা এখন আবার আগের মতো  অর্ডার দেওয়া শুরু করেছে।'

ধারণা করা হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি আরও বাড়বে।


প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় ওষুধ রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলো  বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়াতে বিদেশি ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। 


ওষুধ শিল্পেও কিছু সমস্যা আছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে উৎপাদন খরচ বাড়লেও ওষুধ উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে পারেনি।'মার্কিন ডলারের উচ্চমূল্য ও কাঁচামাল আমদানি ব্যয় বাড়ায় দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো রপ্তানি বাড়ালেও লাভের পরিমান  কমে যাচ্ছে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন