যে তাবলীগ নিষিদ্ধ করতে চায়, এবং এই নিষিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করে, তারা আসলে ইসলামেরই ক্ষতি করতে চায়। তাবলীগের এই মেহনত একশ বছরের বেশি সময় আগে শুরু হওয়া এক মেহনত। তাবলীগের মেহনতের কেন্দ্রস্থল কাকরাইল না দিল্লির নিজামুদ্দিন। এই মেহনতকে নিষিদ্ধ করার মতো যদি কোন সমস্যা থাকতো তাহলে ভারত অনেক আগেই বন্ধ করে দিত। বৃটিশরা বন্ধ করতে পারে নাই আর ভারত ও না, করোনা মহামারীর সময় দিল্লির নিজামউদ্দিন এবং মাওলানা সাদ কে নিয়ে বিজেপি অপপ্রচার চালিয়েছিল এই বলে যে তাবলীগের লোকরা করোনা ছড়াইতেছে, সেই খারাপ অবস্থা থেকেও আল্লাহ এই মেহনতকে হেফাজত করছেন। এই মেহনত স্বয়ং আল্লাহতালা চালাইতেছেন, নবীওয়ালা কাজ।
সারা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র তাবলীগের ভাইয়েরা কোন স্বার্থ ছাড়া নিজের খেয়ে নিজের পরে আল্লাহতালার দিকে মানুষকে দাওয়াত দেয়,কোন ভোট চায় না, টাকা চায় না, মাহফিলে বয়ান করার জন্য লাখ লাখ টাকা চায় না, তারা এক পয়সাও নেয় না। তাবলীগের আলেমরা বিদেশ থেকে নিজের টাকা খরচ করে প্লেনে করে বাংলাদেশে এসে মানুষকে আল্লাহতালার দিকে দাওয়াত দেয়,আবার আমাদের দেশের তাবলীগের ভাইয়েরা বিদেশে গিয়ে মানুষকে আল্লাহতালার দিকে ডাকে, কোন টাকা পয়সা চায় না, হাদিয়া চায়না,। তারা আখেরাতে সফল হতে চায়, আল্লাহতালার আজাব থেকে বাঁচতে চায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর পক্ষ থেকে দ্বীনের ব্যাপারে এক জিম্মাদারী ছিল সেই
জিম্মাদারী আদায়ের জন্য চেষ্টা করে, মেহনত করে, এবং সমস্ত মানুষ কিভাবে জাহান্নাম থেকে বাঁচাবে সে ব্যাপারে মেহনত করে এবং সমস্ত মুসলমানের মধ্যে এই এই উপলব্ধি আসে এবং তারাও মেহনত করে এজন্য চেষ্টা করে।
এখন যারা বাংলাদেশে তাবলীগের মেহনতকে বন্ধ করতে চান, এই মহৎ মেহনতকে বন্ধ করতে চান, এর দ্বারা লাখ লাখ মানুষের ক্ষতি হবে যে কালেমাটাই জানে না এসব মানুষকে কে কালেমা পড়াবে? ইসলামের ব্যাপারে যে বে খবর কিছুই জানেনা, যে মাসের পর মাস নামাজ পড়ে না, রোজা রাখেনা, আল্লাহর হুকুম পুরা করে না, যেই রিক্সাওয়ালা বস্তিতে থাকে,যে যেনা করে যে সুদ খায়, ঘুষ খায় তার দরজায় গিয়ে কে আল্লাহতালার আল্লাহর কথা বলবে? আল্লাহতালার দিকে দাওয়াত দিবে? এই কাজতো যে হেলিকপ্টারে করে মাহফিলে মাহফিলে গিয়ে ওয়াজ করে সে কখনোই করবে না। এই কাজ সারা পৃথিবী জুড়ে তাবলীগের ভাইয়েরা করে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে দাওয়াত দেয় প্রতিকূল পরিবেশকে অনুকূল পরিবেশের মধ্যে নিয়ে আসে , আল্লাহ তাদের মেহনতের বরকতে তাদের জান মালের কোরবানির কারণে এক পরিবর্তন আনতেছেন।
এখন কেউ যদি বলে যে মেহনতকে নিষিদ্ধ করা হোক বন্ধ করে দেয়া হোক সে আল্লাহ আল্লাহতালার গোস্বার মধ্যে পড়বে। আল্লাহ তার জীবনকে এলোমেলো করে দিবেন তাকে অপদস্ত করবেন। আল্লাহ যদি কাউকে অপদস্ত করতে চান তাকে ঘরে বসিয়ে অপদস্ত করতে পারেন ক্ষমতার মধ্যে রেখে অপদস্ত করতে পারেন। এজন্য আমাদের সাবধান হওয়া হওয়া উচিত মুখ দিয়ে কি বলতেছি আর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন