বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর , তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ।
এই ব্যাপারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর পক্ষ থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবে বেক্সিমকো লিমিটেড জানায়, আলোচিত ১৫ টি কারখানা তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বেক্সিমকোর কারখানা এখনো উৎপাদনে আছে। কোনো কারখানা লে-অফ বা বন্ধ হয়নি। যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো বেক্সিমকোর কারখানা নয়।বেক্সিমকো বলে যাচ্ছে,
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড চালু রয়েছে এবং এর কোনো ইউনিট বন্ধ হয়নি। সংবাদে যে ১৫টি পোশাক ইউনিট বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান নয়।'
অথচ বেক্সিমকো গ্রুপের একজন পরিচালক এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী গত ১৭ ডিসেম্বর বলেন, গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গ্রুপের ১৬টি পোশাক কারখানা থেকে ৩০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। //
তিনি বলেন, ছাঁটাইয়ের কারণ হলো ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সহায়তার অভাব।
কায়সার চৌধুরী আরও বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী, ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা ৪৫ দিনের জন্য তাদের মূল বেতন এবং ভাতার অর্ধেক পাবেন।'
কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও শ্রম আইন অনুযায়ী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ দেবে জনতা ব্যাংক।
বেক্সিমকো গ্রুপের এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড বেক্সিমকো গ্রুপের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। এটি টেক্সটাইল, পিপিই, সিরামিক, আইসিটি, রিয়েল এস্টেট, সামুদ্রিক খাদ্য এবং পণ্য ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
টেক্সটাইল বিভাগ বেক্সিমকোর সবচেয়ে বড়। এই বিভাগ অভ্যন্তরীণ এবং রপ্তানি বাজারের জন্য পুরুষ, নারী ও শিশুদের সুতি ও পলিয়েস্টার পোশাক তৈরির একটি সম্পূর্ণ সমন্বিত প্রস্তুতকারক।
উল্লেখ্য, ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা গ্রুপের গাজীপুর শিল্প পার্কের মোট কর্মীর ৭৫ শতাংশ। এর ফলে বর্তমানে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল এবং পিপিই বিভাগে ১০ হাজার কর্মী কর্মরত আছেন।
বেক্সিমকো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কে যা বলেছে তা আমাদের জন্য রহস্যাবৃত। আশা করি শীঘ্রই রহস্য উন্মোচন হয়ে বেক্সিমকো আবার চালু হবে এবং বেক্সিমকোর লে-অফে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের স্বাভাবিক কর্মক্ষেত্র আবার ফিরে পাবে।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন