নবীনগর থেকে চন্দ্রা এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজন আতংকের মধ্যে থাকে কখন হঠাৎ করে রাস্তা আটকিয়ে দিবে বেক্সিমকো ও তার ভাড়াটে আন্দোলনকারীরা।
যারা ভাড়াটে লোক এনে আন্দোলন করায় তাদের উদ্দেশ্য ২ টা। তারা ড.ইউনুসের সরকারকে অস্থিতিশীল করে সাধারণ জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায় আর সেইসাথে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের এর কাজ পার্শ্ববর্তী দেশে বা অন্যকোথাও চলে যাক এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আমাদের গার্মেন্টসের শত্রুরা বসে নেই তারা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখিয়ে কাজ তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। এইজন্য ভাড়াটে শ্রমিকদের পিছনে ২,৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে মিলিয়ন ডলার এর কাজ যদি পাওয়া যায় ক্ষতি কি? তারা চেষ্টা করতেছে আন্দোলনটাকে কিভাবে জিয়িয়ে রাখা যায়। ইতিমধ্যেই অনেক কাজ বাংলাদেশ থেকে ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামে চলে গেছে। এর প্রতিক্রিয়া হয়তো ৫-৬ মাস পরে বুঝা যাবে। অনেক গার্মেন্টস শ্রমিক চাকরি হারাবে। //
ইপিজেড বা তার আশেপাশে যারা অনেক বছর যাবৎ কাজ করেন অর্থাৎ ৫,১০,১৫ বছর যাবৎ তারা অবশ্যই দেখে থাকবেন গার্মেন্টস শ্রমিকেরা যত আন্দোলন করেছে এক দুই ঘণ্টা বা সর্বোচ্চ আধাবেলার বেশি হয় নাই। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পরে বাইপাইল থেকে জিরানী এই রাস্তাটুকু তে যে আন্দোলন হয়েছে তা কখনো ৬০,৭২ ঘন্টা থেকে শুরু করে এক সপ্তাহ ধরে চলেছে। গত মাসে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা এক সপ্তাহের বেশি সময় রাস্তায় ছিল। এবং আন্দোলন দিনে রাতে চলেছে। আসলে আন্দোলন এখন আর শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকেরাই করে না, অনেক ভাড়াটে মানুষ এসে এই আন্দোলনে যুক্ত হয় তাদের সংখ্যা ৮০% এর বেশি। আন্দোলন ইপিজেড এলাকার আশেপাশে একটা ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় ভাড়াটে আন্দোলনকারি পাওয়া যায়। সাথে লাঞ্চ দিলে আরও খুশি।ছবি তুলে রাখলে দেখতে পাওয়া যাবে কিছু একই চেহারার মানুষ কখনো ইপিজেড এ আবার কখনো বেক্সিমকোতে বা বাইপাইলে গিয়ে আন্দোলন এ শরীক হয়। এরাই রাস্তা গরম করে রাখে,রাস্তা আটকায়, মানুষের চলাচল আটকে দেয়, রাস্তার মাঝের লোহার রেলিং ভেঙে রাস্তায় এনে রাস্তা আটকিয়ে রাখে, আর সুযোগ বুঝে সেগুলো আবার ভাংগারিতে নিয়ে বিক্রি করে, শুধু টাকা কামাইয়ের ধান্ধা। এমনকি সেনাবাহিনী এরকম কিছু ভাড়াটি আন্দোলনকারীদেরকে কয়েকবার গ্রেফতার করেছে, যাদের গলায় ভুয়া আইডি কার্ড ঝুলানো থাকে,যারা সাবেক ছাত্র নেতা, যাদের উদ্দেশ্য ড.ইউনুসের সরকারকে ব্যর্থ করা। এবং আবার ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করা।
যখন রাস্তা আটকিয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিক এবং ভাড়াটে আন্দোলনকারীরা একসাথে আন্দোলন করে তখন রাস্তার দুইপাশে হাজার হাজার গাড়ি আটকে যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোগান্তি হয়,কিন্তু আন্দোলনকারীদের এ-ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা হয় না,দয়া হয় না, রাস্তাখুলে দেয় না এইভাবে কখনো কখনো এক সপ্তাহ চলে যায়। কাচামাল গাড়ীতে বসেই নষ্ট হয়। উত্তর অঞ্চলে যাওয়ার প্রধান সড়ক এই নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক। যারা ইপিজেড এ চাকরি করেন তাদের কারো কারো ৫-৭ কি.মি হেটে বাসায় এবং ফ্যাক্টরিতে যাওয়া আসা করতে হয়। //
বেক্সিমকোর শ্রমিক এবং তাদের ভাড়াটে আন্দোলন ভাড়াটে আন্দোলনকারীদের মধ্যে হিংসাটা অনেক বেশি, অন্যের ভালো তারা দেখতে পারে না। বেক্সিমকোতে সমস্যা আছে কিন্তু আশেপাশের যেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো ভালো ভাবে চলছে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা সেইসব ফ্যাক্টরিতে গিয়ে হুমকি দিয়ে ফ্যাক্টরি বন্ধ করায় এবং তখন ঐসব ফ্যাক্টরির মালিকেরা গার্মেন্টস ছুটি দিতে বাধ্য হয়। সেই ফ্যাক্টরিগুলো হল KAC,Norban,Cap ফ্যাক্টরি, ড.ইউনুসের গ্রামীন ইত্যাদি। গতমাসে এক ফ্যাক্টরিতে গিয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা গিয়ে চড়াও হয়,ফ্যাক্টরি বন্ধ করতে দেরী হওয়ায় আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এইটা একটা হিংসাত্মক কাজ, মানে আমি খারাপ আছি তুই ভালো থাকবি ক্যান।
এজন্য আমরা চাই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হোক। মানুষ সারাদিন কাজ করার পরে স্বাভাবিক ভাবে ঘরে ফিরে যেতে পারে। সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে, ভাড়াটে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে গার্মেন্টস শিল্পকে রক্ষা করবে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন