রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকো পরিস্থিতির কোনো দায় নিতে চায় না সরকার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেক্সিমকো শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘিরে উদ্ভূত কোনো পরিস্থিতির দায় দায় নেবে না সরকার,দায় এই প্রতিষ্ঠানটিকেই নিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, “বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের তিন মাসের টাকার অতিরিক্ত আর কোনও আর্থিক সহায়তা দেবে না সরকার। বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে তা বন্ধ করবে কি-না, সে বিষয়ে বেক্সিমকোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় বেক্সিমকোকেই নিতে হবে।”  

২০২৪ সালে ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমানে ঋণ নেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। ২০২১ সালে জনতা ব্যাংকে বেক্সিমকোর ঋণ ছিল ১৪ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকায়। এই ঋণের বেশিরভাগই খেলাপি। এখন আবার নতুন করে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ করছে গ্রুপটি। অথচ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় দেশে ফেরত আনছে না বেক্সিমকো।//

উপদেষ্টা কমিটির  সভার শুরুতেই বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কর্মরতদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  জনতা ব্যাংক পিএলসির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক সভাকে অবহিত করেন যে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ মাসের বেতনের টাকা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। তা ছাড়ও করা হয়েছে।


সরকার এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের পর যেহেতু আর কোনও আর্থিক সহযোগিতা করতে পারবে না সেহেতু বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষের কোম্পানিসমূহের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে সম্পর্কে সভায় অন্যান্য সদস্যদের মতামত আহ্বান করা হয়। এছাড়া শ্রমিক-কর্মচারিদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার জন্য সভাপতি কর্তৃক মালিকপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।


তবে কোনোভাবেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর না পড়ে সে বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়। 

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর না পড়ে সে বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে কোনরূপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

আয়কর রিটার্ন কি? আয়কর রিটার্ন কাদের জন্য প্রযোজ্য? Zero return (জিরো রিটার্ন) বা শূন্য রিটার্ন  কি?

আয়কর রিটার্ন কি?

আয়কর রিটার্ন হচ্ছে বাৎসরিক আয়ের সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণী। আয়কর রিটার্ন হল এমন একটি ফর্ম যেখানে আয়কর বিভাগে তার আয় এবং ট্যাক্স সম্পর্কিত তথ্য ফাইল করা হয়। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত  একটি  ফর্মে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।  ফরমে আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য উপস্থাপন করার নামই হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। এই কাঠামোবদ্ধ ফরমটি আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রস্তুত করে। আয়কর রিটার্নের কাঠামে আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে।

এই ফর্মটি মূলত নির্ধারিত আয়ের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার জন্য তাদের করযোগ্য আয়ের হিসাব এবং মোট কর দায় বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে।//

কারা আয়কর রিটার্ন  দিবে?  আয়কর রিটার্ন কাদের জন্য প্রযোজ্য?

আয়কর রিটার্ন কিভাবে দিতে হয় জানার আগে আমরা জানব আয়কর রিটার্ন দেয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি কারা। আমাদের মনে রাখা উচিত  হবে যে রিটার্ন দাখিল করা আর আয়কর পরিশোধ করা দুটি এক জিনিস নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেবার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই চলবে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।


আয়কর রিটার্ন যারা দাখিল করবে  

১) সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার আয় যদি বছরে ৩,৫০,০০০ টাকার বেশি হলে তাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে

২) মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৪,০০,০০০

৩) প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে বছরে ৪,০০,০০০ টাকা আয় সীমা এবং

৪) গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৫,০০,০০০ টাকা।

৫) তৃতীয় লিংগ করদাতাদের জন্য ৪,৭৫,০০০ টাকা।
//

জিরো রিটার্ন কি?

যে পরিপ্রেক্ষিতে কোনো রূপ ট্যাক্স বা কর প্রদান ছাড়াই রিটার্ন জমা দেওয়া হয়, তখন তা শূন্য বা জিরো রিটার্ন হিসেবে অভিহিত হয়। সহযে বলা যায়, যদি কোনো পুরুষের বাৎসরিক আয়  ৩,৫০,০০০ টাকা এবং মহিলার বাৎসরিক আয়  ৪,০০,০০০ টাকার নিচে হয় তবে তাকে কোনো প্রকার ট্যাক্স পরিশোধ করার দরকার নেই। এক্ষেত্রে কেবল সরকারকে বৈধ উপায়ে বার্ষিক আয়-ব্যায়ের হিসাব দেখানোর পদ্ধতিকেই জিরো ট্যাক্স রিটার্ন বলে। অর্থাৎ করমুক্ত সীমার মধ্যে থাকা আয়ের বিপরীতে প্রদানকৃত রিটার্নকেই Zero return বা শূন্য রিটার্ন বলে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

এস আলম গ্রুপের ৬ টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেনে নিন কারখানাগুলোর নাম

এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালে গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়। এরপর আরও একাধিক ব্যাংক ও বিমা দখল করে নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয় গ্রুপটি। পাশাপাশি গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও ঋণ অনুমোদন করা হয়। জালিয়াতি করে ব্যাংক লুটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। এস আলম গ্রুপের ছয়টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সই করা নোটিশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। গত ২৪ শে ডিসেম্বর দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও বাঁশখালী থানা এলাকার এসব কারখানায় বন্ধের নোটিশ টাঙানো হয়। 


এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের উৎপাদন ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কারখানায় সবকিছু স্বাভাবিক চললেও আকস্মিক ছুটির নোটিশ দেওয়া হলো। কোন কারণে সাধারণ ছুটি দিয়ে দিলো, জানি না।’


বন্ধ ঘোষণাকৃত ছয়টি কারখানা হলো- এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ছয়টির কথা বললেও নাম পাওয়া গেছে ৫ টি। এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল, তিনটি ইছানগর ও একটি বাঁশখালীতে অবস্থিত।এইসব কারখানায় অন্তত ১২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন।


এর আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখল করার পর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা ‘অন্তত’ ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বের করে নিয়েছেন ।



গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিকলবাহা খালের পশ্চিম প্রান্তের কালারপুল এলাকার এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডে শতাধিক শ্রমিক কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করেন। তারা আকস্মিক নোটিশে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় পরিবার–পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা বলেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

পোশাক শিল্পে নানামুখী সমস্যার পরেও আল্লাহর রহমতে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি ধীরে ধীরে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি কম হলেও   ইউরোপের বাজারে বাড়ছে। চীন ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষে রয়েছে।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।



প্রথম  ১০ মাসে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বিশ্লেষকরা এটি দেশের পোশাক খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ হিসেবে দেখছেন, যদিও আমাদের দেশী বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা এই খবরে দু:খিত। ইইউ বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের পরেই অবস্থান করছে তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। এসব দেশের মধ্যে কিছু দেশের রপ্তানি বেড়েছে। যেমন—কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, মরক্কো, ভিয়েতনাম ও ভারত। তবে, অন্যদিকে তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে।


রপ্তানিকারকেরা আশা করছেন, শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা ফিরলে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি আরও বাড়বে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।//


ইউরোস্টেটের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ইইউর কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। চীন ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষে রয়েছে। চলতি বছর চীন ২ হাজার ১৫৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক ইইউতে রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ইইউতে ১ হাজার ৬৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬২৯ কোটি ডলার। ফলে, এই সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।


অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬১৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম। গত বছর বাংলাদেশ ৬৩৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।


বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইউরোপের বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ তাদের অর্থনীতির উন্নতি। অথচ আগে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক আমদানি কমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা আবার বিভিন্ন উৎস দেশ থেকে আমদানি বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। তবে, কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা দূর হলে আমরা আরও ভালো ফলাফল পেতে পারব।’//


 প্রতিযোগী দেশ কম্বোডিয়া ইউরোপের বাজারেও দ্রুত প্রবৃদ্ধি করছে, যা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ। যেমন ইইউ বাজারে তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক তুরস্কের রপ্তানি চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৮৫৯ কোটি ডলার, বা সাড়ে ৫ শতাংশ কমেছে। ভারত জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে রপ্তানি করেছে মোট ৩৯৯ কোটি ডলার, অর্থাৎ এই বাজারে তাদের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। কিন্তু কম্বোডিয়া আগস্টে ষষ্ঠ থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে আসে এবং অক্টোবর মাসে তাদের রপ্তানি ২০ শতাংশ বেড়ে ৩৪৮ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। যদিও ইউরোপে কম্বোডিয়ার রপ্তানি এখনো বাংলাদেশের মাত্র ২০ শতাংশের সমান।


মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ক্রেতারা সস্তা ও দ্রুত পণ্য পেতে যেখানে সুবিধা পাবে, সেখান থেকেই আমদানি করবে। এ কারণেই বাংলাদেশের তুলনায় কম্বোডিয়ার রপ্তানি দ্রুত বেড়েছে। তবে এটি আমাদের জন্য খুব বড় উদ্বেগের বিষয় নয়, যদি আমরা উৎপাদন খরচ কমিয়ে ক্রেতাদের উপযুক্ত মূল্য না দিতে পারি, তবে এটি চ্যালেঞ্জ হবে।  //


তবে সহায়ক শিল্প, কম লিড টাইম এবং শ্রমিক অসন্তোষ না হলে ইউরোপে আমাদের অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব,এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্ক বৃদ্ধি হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।


যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হলেও এই বছর প্রথম ১০ মাসে ইইউতে ৩৫৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, তাদের রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ। পাকিস্তানের পোশাক রপ্তানি ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩১৩ কোটি ডলার। এবং মরক্কো ২৫০ কোটি ডলারের রপ্তানি করেছে, বেড়েছে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার রপ্তানি শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার ৭ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

৫৪ বছর পর বাংলাদেশে আসছে পাক সেনা অফিসার, ফেব্রুয়ারিতে হবে বাংলাদেশ পাকিস্তান নৌ মহড়া

ভারতের একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে  বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা নিউজ দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ সাহির শামশাদ বাংলাদেশের সেনা অ্যাকাডেমিতে পাকিস্তানের সেনা অফিসার পাঠাতে চান বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। যারা বাংলাদেশি সেনা অফিসারদের কে কমান্ড এন্ড ট্যাকটিসের ট্রেনিং দিবে। এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। যার ফলে পাকিস্তানের সেনা অফিসার ও  জেনারেলরা  বাংলাদেশ সফরে আসবেন।  তবে কবে ওই পাক অফিসাররা আসছেন তা এখনও ঠিক হয়নি।

যারা বাংলাদেশের ভালো চায়না, তারা চায় যে বাংলাদেশ সবসময় বন্ধুহীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকুক, তাহলে বাংলাদেশকে গপ করে গিলে ফেলা যাবে, বা কাবু করে রাখা যাবে।  এজন্য বাংলাদেশ মুসলিম দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে এটা অনেকেই পছন্দ করে  করে না।  চীনের সাথে,  তুরস্কের সাথে বা পাকিস্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক হোক তা আমাদের দেশের অনেকেই মানতে পারে না। এইজন্য যুগ যুগ ধরে এই জাতিকে ব্রেইন ওয়াশ দেয়া হয়েছে।


কিন্তু পাকিস্তান এবং তুরস্ক  বাংলাদেশের কোন ক্ষতি করবে না,দেশটা দখল করতে আসবে না।  হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এসে বাংলাদেশ দখল করার ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। কিন্তু সেই পাকিস্তানের জুজুর ভয় দেখানো হয় স্বাধীনতার পর থেকেই। শেখ মুজিবের সময়ে বাংলাদেশকে ওআইসি তেও যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। পাকিস্তান যেরকম আমাদেরকে  প্রায় ২৫ বছর শাসন করছে ঠিক এরকম ব্রিটিশরাও  তো আমাদের  ২০০ বছর শাসন করছে, অনেক নির্মম নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে, সেই ব্রিটিশদের সাথে ভারতের বা পাকিস্তানের বা বাংলাদেশের কারো সম্পর্ক খারাপ না, এরকম কেউই মনে করে না যে ব্রিটিশদের সাথে সম্পর্ক রাখলে গুনাহ হবে বা ইজ্জত চলে যাবে। ব্রিটিশদের সাথে কোন সমস্যা নাই কিন্তু বাংলাদেশ সাথে পাকিস্তানের ভালো  সম্পর্ক দেখলেই অনেকের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। শরীর ও মন  জ্বলতে থাকে। 

পাকিস্তানের সঙ্গে একটা  যৌথ নৌ মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী বছর ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ৭-১১ তারিখ করাচিতে ওই নৌ মহড়া হবে। এ নৌ মহড়া নিয়ে ভারতের  সামরিক বিশেষজ্ঞ অশোক কুমার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বেড়েই চলেছে। এটা ক্রমশ ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

পাকিস্তানের কাছে শর্ট ও লং রেঞ্জ এর মিসাইল প্রযুক্তি আছে, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি নিয়ে নিজেরাই তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশের জন্য আফসোস স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমরা  শর্ট বা লং রেঞ্জ এর মিসাইল বানানো শিখলাম না যা ইয়েমেনের হুথি আর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ
যোদ্ধারাও পারে। আসলে বাংলাদেশের নিজের আগ্রহ না থাকলে কেউই তাকে তৈরি করে দিবে না।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বেক্সিমকোর কোন কারখানা বন্ধ হয়নি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কে যা বলেছে বেক্সিমকো লিমিটেড

বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর , তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ।


এই ব্যাপারে  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর পক্ষ থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবে বেক্সিমকো লিমিটেড জানায়, আলোচিত  ১৫ টি কারখানা  তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বেক্সিমকোর কারখানা এখনো উৎপাদনে আছে। কোনো কারখানা লে-অফ বা বন্ধ হয়নি। যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো বেক্সিমকোর কারখানা নয়।বেক্সিমকো বলে যাচ্ছে,

বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড চালু রয়েছে এবং এর কোনো ইউনিট বন্ধ হয়নি। সংবাদে যে ১৫টি পোশাক ইউনিট বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান নয়।'


অথচ বেক্সিমকো গ্রুপের একজন পরিচালক এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী গত ১৭ ডিসেম্বর  বলেন, গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গ্রুপের ১৬টি পোশাক কারখানা থেকে ৩০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।  //


তিনি বলেন, ছাঁটাইয়ের কারণ হলো ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সহায়তার অভাব।


কায়সার চৌধুরী আরও বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী, ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা ৪৫ দিনের জন্য তাদের মূল বেতন এবং ভাতার অর্ধেক পাবেন।'


কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও শ্রম আইন অনুযায়ী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ দেবে জনতা ব্যাংক।

 বেক্সিমকো গ্রুপের এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।


ঢাকা ও চট্টগ্রাম  স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড বেক্সিমকো গ্রুপের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। এটি টেক্সটাইল, পিপিই, সিরামিক, আইসিটি, রিয়েল এস্টেট, সামুদ্রিক খাদ্য এবং পণ্য ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।  


টেক্সটাইল বিভাগ বেক্সিমকোর সবচেয়ে বড়। এই বিভাগ  অভ্যন্তরীণ এবং রপ্তানি বাজারের জন্য পুরুষ, নারী ও শিশুদের সুতি ও পলিয়েস্টার পোশাক তৈরির একটি সম্পূর্ণ সমন্বিত প্রস্তুতকারক।  


উল্লেখ্য, ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা গ্রুপের গাজীপুর শিল্প পার্কের মোট কর্মীর ৭৫ শতাংশ। এর ফলে বর্তমানে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল এবং পিপিই বিভাগে ১০ হাজার কর্মী কর্মরত আছেন।


বেক্সিমকো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কে যা বলেছে তা আমাদের জন্য রহস্যাবৃত। আশা করি শীঘ্রই রহস্য উন্মোচন হয়ে বেক্সিমকো আবার চালু হবে এবং বেক্সিমকোর লে-অফে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের স্বাভাবিক কর্মক্ষেত্র আবার ফিরে পাবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকোর বন্ধ হওয়া ১৬ টি কারখানা কি কি?

বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের রিসিভার রুহুল আমিন  বলেন, 'কার্যাদেশ না থাকায় পোশাক কারখানাগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে। উৎপাদন আবার শুরু করার জন্য তহবিল সংগ্রহ না করা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।'

শিগগিরই কারখানা খোলার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, 'বেক্সিমকোর শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আবার কার্যক্রম চালু করতে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছে।'

তবে কারখানা খোলার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার।

বন্ধ করে দেয়া কারখানাগুলোর মধ্যে আছে:

শাইনপুকুর গার্মেন্টস,
আরবান ফ্যাশনস,
ইয়েলো অ্যাপারেলস,
প্রিফিক্স ফ্যাশনস,
আরআর ওয়াশিং,
বেক্সিমকো ফ্যাশনস,
বেক্সিমকো গার্মেন্টস,
নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ,
ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস,
এসেস ফ্যাশনস,
এসকর্প অ্যাপারেলস,
ক্রিসেন্ট ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন ও
ক্রিসেন্ট এক্সেসরিজ লিমিটেড।

বাকি দুই কারখানার নাম জানা যায়নি।

আগামী ৩০ জানুয়ারি আবার কারখানা খোলার সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত সব ধরনের উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকবে।

বেক্সিমকোর ওষুধ ও সিরামিকস কারখানায় উৎপাদন চলমান থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।//

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত নভেম্বর পর্যন্ত বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে  অর্ধেকের বেশি খেলাপি হয়ে পড়েছে।

আর্থিক বিবরণীতে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেক্সিমকো ৩৬ কোটি টাকা লোকসান করেছে। আগের অর্থবছরের মুনাফা হয়েছিল ৭১০ কোটি টাকা।

বেক্সিমকোর অর্থ ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী বলেন, কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় উৎপাদন চালানো যাচ্ছে না।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরামর্শ দিয়েছিল। কারণ সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য নগদ সহায়তা দিতে পারছে না। বাধ্য হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর জারি করা বিজ্ঞাপ্তিতে বেক্সিমকো গ্রুপের এসব কারখানার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ছাঁটাই কার্যকরের কথা জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের কারখানায় রিপোর্ট করার প্রয়োজন নেই। আগামী ৩০ জানুয়ারি আবার কারখানা খোলার সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত সব ধরনের উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকবে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কোম্পানিগুলোতে অর্ডার না থাকায় এবং কোম্পানির নামে ব্যাংকে পর্যাপ্ত ঋণ খেলাপি থাকার কারণে আর পরিচালনা করা সম্ভব না।


এছাড়া তিনি জানান, বেক্সিমকো টেক্সটাইল লি: এবং গার্মেন্টসের ১৬টি ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের বর্তমানে কারখানায় কোন কাজ না থাকার কারণে সোমবার ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক লে-অফ থাকবে।


লে-অফ চলাকালীন শ্রমিকদেরকে আইন অনুযায়ী মজুরি প্রদান করা হবে। লে-অফ থাকাকালীন শ্রমিকের স্বশরীরে কারখানায় এসে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নাই।//


গত চার মাসে বেক্সিমকো ব্যয় করেছে ৩০০ কোটি টাকা, যার বেশিরভাগই গেছে শ্রমিকদের মজুরি দিতে, এরমধ্যে ১০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে দেওয়া হয়। শ্রমিকদের মজুরির দিতে মাসে ৬০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন বাবদ আরও ১৫ কোটি টাকা দরকার বেক্সিমকো গ্রুপের। 


বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্তপূরণ করা শ্রমিকদের ছাঁটাই বা লে-অফের ক্ষেত্রে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। আইনের ১৬ নং ধারায় বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া এসব শ্রমিকের লে-অফের সব দিনের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৫ নং উপধারা বলছে, কোন পঞ্জিকা বৎসরে ওই শ্রমিককে ৪৫ দিনের বেশি সময়ের জন্য লে-অফ করা হলে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।


ওসমান জানান, শুরুতে লে-অফ বা ছাঁটাই ৪৫ দিনের জন্য করা হবে, এরমধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি নাহলে আরও ১৫ দিন বাড়ানো হবে। এরপরে স্থায়ীভাবে কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন।//


বেক্সিমকোর বর্তমান আর্থিক সংকটের সাথে তাদের বিপুল দেনার সরাসরি সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি হাইকোর্টে দাখিল করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার ৯৮ কোটি টাকারও বেশি। এসব ঋণের ৫০ শতাংশের বেশি বা ২৫ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা ইতোমধ্যেই খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়েছে। 



গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনাও তাঁরা দিয়ে দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ নেই। পরিবেশ শান্ত আছে। তিনি বলেন, শিল্পপুলিশের সদস্যরা কারখানা এলাকায় টহলে আছেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


মাওলানা সাদ ইস্যুর আড়ালে কিছু মানুষ তাবলীগ নিষিদ্ধ করতে চায় কেন?

যে তাবলীগ  নিষিদ্ধ করতে চায়, এবং এই নিষিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করে, তারা আসলে ইসলামেরই ক্ষতি করতে চায়। তাবলীগের এই মেহনত একশ বছরের বেশি সময় আগে শুরু হওয়া এক  মেহনত। তাবলীগের মেহনতের কেন্দ্রস্থল কাকরাইল না দিল্লির  নিজামুদ্দিন। এই মেহনতকে নিষিদ্ধ করার মতো  যদি কোন সমস্যা থাকতো তাহলে ভারত অনেক আগেই বন্ধ করে দিত। বৃটিশরা বন্ধ করতে পারে নাই আর ভারত ও না, করোনা মহামারীর সময় দিল্লির নিজামউদ্দিন এবং মাওলানা সাদ কে নিয়ে বিজেপি অপপ্রচার  চালিয়েছিল এই বলে যে তাবলীগের লোকরা  করোনা ছড়াইতেছে, সেই খারাপ অবস্থা থেকেও আল্লাহ এই মেহনতকে  হেফাজত করছেন। এই মেহনত স্বয়ং আল্লাহতালা চালাইতেছেন, নবীওয়ালা কাজ। 


সারা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র তাবলীগের ভাইয়েরা  কোন স্বার্থ ছাড়া নিজের খেয়ে নিজের পরে আল্লাহতালার দিকে মানুষকে  দাওয়াত দেয়,কোন ভোট চায় না, টাকা চায় না, মাহফিলে বয়ান করার জন্য লাখ লাখ  টাকা চায় না, তারা এক পয়সাও নেয় না। তাবলীগের আলেমরা বিদেশ থেকে নিজের টাকা খরচ করে প্লেনে করে বাংলাদেশে এসে মানুষকে আল্লাহতালার দিকে দাওয়াত দেয়,আবার আমাদের দেশের তাবলীগের ভাইয়েরা বিদেশে গিয়ে মানুষকে আল্লাহতালার দিকে ডাকে, কোন টাকা পয়সা চায় না, হাদিয়া চায়না,। তারা আখেরাতে সফল হতে চায়,  আল্লাহতালার আজাব থেকে বাঁচতে চায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর পক্ষ থেকে দ্বীনের ব্যাপারে এক জিম্মাদারী ছিল সেই 

জিম্মাদারী আদায়ের জন্য চেষ্টা করে,  মেহনত করে, এবং সমস্ত মানুষ কিভাবে জাহান্নাম থেকে বাঁচাবে সে ব্যাপারে মেহনত করে এবং  সমস্ত মুসলমানের মধ্যে এই এই উপলব্ধি আসে এবং তারাও মেহনত করে এজন্য চেষ্টা করে। 


এখন যারা বাংলাদেশে তাবলীগের মেহনতকে বন্ধ করতে চান, এই মহৎ  মেহনতকে বন্ধ করতে চান, এর দ্বারা লাখ লাখ মানুষের ক্ষতি হবে যে কালেমাটাই জানে না এসব মানুষকে কে কালেমা পড়াবে? ইসলামের ব্যাপারে যে বে খবর কিছুই জানেনা, যে মাসের পর মাস নামাজ পড়ে না, রোজা রাখেনা, আল্লাহর হুকুম পুরা করে না, যেই রিক্সাওয়ালা বস্তিতে থাকে,যে যেনা করে যে সুদ খায়, ঘুষ খায় তার দরজায় গিয়ে কে আল্লাহতালার আল্লাহর কথা বলবে? আল্লাহতালার দিকে দাওয়াত দিবে? এই কাজতো যে হেলিকপ্টারে করে মাহফিলে মাহফিলে গিয়ে ওয়াজ করে সে কখনোই করবে না। এই কাজ সারা পৃথিবী জুড়ে তাবলীগের ভাইয়েরা করে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে দাওয়াত দেয় প্রতিকূল পরিবেশকে অনুকূল পরিবেশের মধ্যে নিয়ে আসে , আল্লাহ তাদের মেহনতের বরকতে তাদের জান মালের  কোরবানির কারণে এক পরিবর্তন আনতেছেন। 


এখন কেউ যদি বলে যে মেহনতকে নিষিদ্ধ করা হোক বন্ধ করে দেয়া হোক সে আল্লাহ আল্লাহতালার গোস্বার মধ্যে পড়বে। আল্লাহ তার জীবনকে এলোমেলো করে দিবেন তাকে   অপদস্ত করবেন। আল্লাহ যদি কাউকে অপদস্ত করতে চান তাকে ঘরে বসিয়ে অপদস্ত করতে পারেন  ক্ষমতার মধ্যে রেখে অপদস্ত করতে পারেন। এজন্য আমাদের সাবধান হওয়া হওয়া উচিত  মুখ দিয়ে কি বলতেছি আর 

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর যে দ্বীপকে আমেরিকানরা সবচেয়ে বেশি Google করে

গুগল ইয়ার ইন সার্চ রিপোর্ট অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা এশিয়ার যে দ্বীপাটি সবচেয়ে বেশি Google করেছে, সেই দ্বীপটি হলো বালি। এই বছর আমেরিকান পর্যটকদের দ্বারা গুগলে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা একক ভ্রমনের গন্তব্য ছিল বালি। দ্বীপটি আদিম সমুদ্র  সৈকত এবং প্রাচীন  মন্দিরগুলির জন্য পরিচিত। 


ইন্দোনেশিয়ার হলিডে আইল্যান্ড বালি এই বছরের ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল অ্যাওয়ার্ডে বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক গন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপ সহ আট প্রতিযোগীকে ছাড়িয়ে গেছে।//



একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ইন্দোনেশিয়ার হলিডে দ্বীপ বালি কেপ টাউন, টোকিও এবং হোই আনের পরে বিশ্বের চতুর্থ সস্তা দূরপাল্লার গন্তব্য হিসাবে পরিচিতি  পেয়েছে। 


বালি ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত ছুটি কাটানোর  দ্বীপ যাকে 'কন্ডে নাস্ট ' ম্যাগাজিনের পাঠকদের দ্বারা এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে ভোট দেওয়া হয়েছে, পর্যটনের মান উন্নত করার জন্য পতিতাবৃত্তিতে জড়িতদের জন্য কড়াকড়ি করা হয়েছে।  



গুগল ইয়ার ইন সার্চ রিপোর্ট অনুসারে আমেরিকার গ্লেসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে,  তারপরে পেরুর মাচু পিচু ১৫ শতকের ইনকা দুর্গ এবং পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ান আছে চতুর্থ স্থানে। 


ইন্দোনেশিয়ার গিলি দ্বীপপুঞ্জও এই বছর গুগল ইয়ার ইন সার্চ রিপোর্ট অনুসারে প্রথম সারিতে আছে।গিলি দ্বীপপুঞ্জ, তিনটি ছোট দ্বীপ, গিলি ট্রাওয়ানগান, গিলি মেনো এবং গিলি এয়ার নিয়ে গঠিত, বালির কাছে লম্বোকের উপকূলে অবস্থিত। এরপর রিপোর্টে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি এবং মিয়ামি।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ এখন ১৫৭ টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে,পাকিস্তানও পেতে চায় বাংলাদেশের ওষুধ

কাঁচামালের আমদানি মূল্যবৃদ্ধি,ডলার সংকট, রাজনৈতিক সংকট ,  শ্রমিক সমস্যা  সহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও এ বছর ওষুধ রপ্তানিতে  কাঙ্ক্ষিত  প্রবৃদ্ধি অর্জন হওয়ায় ওষুধ রপ্তানিকারকরা খুশী। 


বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ মেটানোর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকা ও ল্যাটিন  আমেরিকাসহ অন্তত ১৫৭ টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এরমধ্যে পাকিস্তানও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মানসম্পন্ন ওষুধ হওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের পরিমাণগত ও গুণগত মানের এই উন্নতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনাম বাড়িয়েছে।


জাতিসংঘের শিক্ষা ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো  তাদের প্রকাশিত  এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ।//


স্বাধীনতার আগে দেশে দেশি ওষুধ কোম্পানি ছিল মাত্র দুটি। আর দেশে এখন নিবন্ধন করা ওষুধ কোম্পানি আছে ২৭৪টি। বাংলাদেশে ওষুধশিল্প সমিতি জানিয়েছে, এর মধ্যে ২১৪টি কোম্পানি এখন চালু আছে। ১৯৭২ সালের দিকে ৯০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত। আর এখন ৯৮% ওষুধ দেশে উৎপাদিত হয়। 


চলতি বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানি রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বাজার ও বড় রপ্তানি আদেশ পাওয়ায় রপ্তানিতে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।


শুধু নভেম্বর মাসেই রপ্তানি হয়েছে ২২ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার। আগের বছর একই মাসে যা ছিল ১৩ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার।//



রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে দেশে ওষুধ রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৯২ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।



ওষুধ রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট  কর্মকর্তারা  বলেন, দেশে মার্কিন ডলারের সংকট ধীরে ধীরে কমেছে। যার ফলে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার বিধিতে শিথিলতা আনায় এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।'


স্থানীয় রপ্তানিকারকদের আন্তর্জাতিক বিপণন দলগুলো রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো এখন রপ্তানি বাড়াতে নতুন নতুন গন্তব্য খুঁজতে আগ্রহী।'

শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো বড় আমদানিকারকরা এখন আবার আগের মতো  অর্ডার দেওয়া শুরু করেছে।'

ধারণা করা হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে রপ্তানি আরও বাড়বে।


প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় ওষুধ রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলো  বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়াতে বিদেশি ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। 


ওষুধ শিল্পেও কিছু সমস্যা আছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে উৎপাদন খরচ বাড়লেও ওষুধ উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে পারেনি।'মার্কিন ডলারের উচ্চমূল্য ও কাঁচামাল আমদানি ব্যয় বাড়ায় দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো রপ্তানি বাড়ালেও লাভের পরিমান  কমে যাচ্ছে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ভারতের জনগণ এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভারতের এই অসামান্য  সহযোগিতা এইজন্য না যে  ভারত বাংলাদেশের মানুষদেরকে খুব ভালোবাসে, তাদের  ব্যথা-বেদনায়, কষ্টে তাদের  মানসিক পীড়া দেয়। আসলে বাংলাদেশকে সাহায্য করে সীমাহীন লাভ হয়েছে ভারতের, তার মধ্যে প্রধান লাভ হলো পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করে দুর্বল করে দিতে পেরেছে,ভারতের পূর্ব  সীমান্ত থেকে কোন আক্রমণের হুমকি বন্ধ হয়ে গেছে,পুর্ব সীমান্তে  চীন ও পশ্চিম পাকিস্তান মিলে কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা চিরতরে নসাৎ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কারনে ভারতের পুর্ব সীমান্ত প্রতিরক্ষায় কিছুই করতে হয় না, সেই অর্থ  তারা খরচ  করে  চীন এবং পাকিস্তান সীমান্তের প্রতিরক্ষায়। //

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হতাহতের সঠিক সংখ্যা কত তা  নিয়ে বিভিন্ন মত পার্থক্য আছে।  সাধারণ হিসেবে  বলা যায় যে যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর  ১,৫০০ এর মত সদস্য প্রান হারান। 

বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক  পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১ হাজার ৬৬১ জন ভারতীয় সৈনিক  মুক্তিযুদ্ধে প্রান  হারান।

১৯৭১ এ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে  মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেন ভারতীয় সেনারা। ভারতের দাফতরিক হিসাবে মৃত ভারতীয় সেনার সংখ্যা ২ হাজারের কম।

উল্লেখ্য ভারতের প্রায় ২,৫০,০০০ জন সেনা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদের মধ্যে আহত হন  প্রায় ৩৬০০ - ৪০০০ জন।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের প্ল্যান ৩৬৫ কি?

asianetnews.com সম্প্রতি বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে একটা নিউজ প্রকাশ করেছে যা এরকম। এই ওয়েব পোর্টাল টা ভারতীয়দের দ্বারা পরিচালিত। description box এ লিংক দেয়া হলো।

ভারত বাংলাদেশের প্রতিটি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লি প্ল্যান ৩৬৫ ঘোষণা করেছে, যার ফলে বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।

অভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প দারুণ উচ্চতা ছুঁয়েছিল। বাংলাদেশে অনেক বিদেশি কোম্পানির টেক্সটাইল অর্ডার তৈরি হচ্ছিল। চীনের পর বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের বৃহত্তম টেক্সটাইল রপ্তানিকারক দেশ, কিন্তু অভ্যুত্থানের পর সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। এখন ভারতের চোখ বাংলাদেশের এই দুর্বল যোগসূত্রের দিকে।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যবস্তু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই মাস্টারস্ট্রোক বাংলাদেশের জন্য ভূমিকম্পের চেয়ে কম হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল রপ্তানি বন্ধ করতে ভারত দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো বড় বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে দুর্বল করার চেষ্টাও হতে পারে।//

যখন বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তখন এর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পাবে, এর গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হবে এবং এটি আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারবে না। ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, বাংলাদেশ যদি এ পথে এগোতে থাকে তাহলে এক বছরের মধ্যেই অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়বে।

বাংলাদেশের জনগণের রিজিকের মালিক একমাত্র  আল্লাহতায়াল।  া একমাত্র আল্লাহই  জানেন যে তার বান্দাদেরকে তিনি কিভাবে রিযিক দান করবেন। কোন দেশের হাতে কারো রিযিক না। ১৯৭১ সালে আমাদের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি, ২০২৪ সালে এসে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আমাদের জনসংখ্যা ১৭,১৮ কোটি
।এতদিনে চাষের জমি অনেক কমে গেছে কিন্তু বাংলাদেশের  মানুষ ১৯৭১ এর চেয়ে ভালো আছে, চাষের জমি কমে গেছে জনসংখ্যা দিগুনেরও বেশি  তারপরও এখন  ভালো আছে এই ভালো  থাকার ব্যবস্থা আল্লাহতালাই করে দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আসতো পাট রপ্তানি থেকে। জনসংখ্যা বাড়তে থাকলো    আশির দশকে  আমাদের জন্য গার্মেন্টস  এর ব্যবসা চালু করে দিলেন আল্লাহ। কোন কারনে গার্মেন্টস  থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম বন্ধ হয়ে যায়  তখন আল্লাহ আমাদের জন্য অন্য কোন রাস্তা খুলে দিবেন। এটা উনি করতেই থাকেন মানুষ তাকে ভালোবাসুক আর না বাসুক। তার হুকুম পালন করুক বা না করুক। কিন্তু ওই মানুষরা যদি দ্বীনদার হয়, আল্লাহ তাআলার হুকুমকে পুরা করে,  আল্লাহতালা তাদের জন্য সম্মানের রিজিক দান করবেন এবং কাফের মুশরিকের ষড়যন্ত্র থেকে তাদের দেশ ও জাতিকে হেফাজত করবেন।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকো ও তার ভাড়াটে আন্দোলনকারীরা আবার কবে রাস্তা আটকিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে?

নবীনগর থেকে চন্দ্রা এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজন আতংকের মধ্যে থাকে কখন হঠাৎ করে রাস্তা আটকিয়ে দিবে বেক্সিমকো ও তার ভাড়াটে আন্দোলনকারীরা। 


যারা ভাড়াটে লোক এনে আন্দোলন করায় তাদের উদ্দেশ্য ২ টা। তারা ড.ইউনুসের সরকারকে অস্থিতিশীল করে সাধারণ জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায় আর সেইসাথে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের এর কাজ পার্শ্ববর্তী দেশে বা অন্যকোথাও চলে যাক এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আমাদের গার্মেন্টসের শত্রুরা বসে নেই তারা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখিয়ে কাজ তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। এইজন্য ভাড়াটে শ্রমিকদের পিছনে ২,৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে মিলিয়ন ডলার এর কাজ যদি পাওয়া যায় ক্ষতি কি? তারা চেষ্টা করতেছে আন্দোলনটাকে কিভাবে জিয়িয়ে রাখা যায়।  ইতিমধ্যেই অনেক কাজ বাংলাদেশ থেকে ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামে চলে গেছে। এর প্রতিক্রিয়া হয়তো ৫-৬ মাস পরে বুঝা যাবে। অনেক গার্মেন্টস শ্রমিক চাকরি হারাবে। //


ইপিজেড বা তার আশেপাশে  যারা অনেক বছর যাবৎ কাজ করেন অর্থাৎ ৫,১০,১৫ বছর যাবৎ তারা অবশ্যই দেখে থাকবেন   গার্মেন্টস শ্রমিকেরা যত আন্দোলন করেছে  এক দুই ঘণ্টা বা সর্বোচ্চ আধাবেলার বেশি হয় নাই। কিন্তু  শেখ হাসিনার পতনের পরে বাইপাইল থেকে জিরানী এই রাস্তাটুকু তে যে  আন্দোলন হয়েছে তা কখনো ৬০,৭২ ঘন্টা থেকে শুরু করে এক সপ্তাহ ধরে চলেছে। গত মাসে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা এক সপ্তাহের বেশি সময় রাস্তায় ছিল। এবং আন্দোলন দিনে রাতে চলেছে। আসলে আন্দোলন এখন আর শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকেরাই করে না, অনেক ভাড়াটে মানুষ এসে এই আন্দোলনে যুক্ত হয় তাদের সংখ্যা ৮০% এর বেশি। আন্দোলন ইপিজেড এলাকার আশেপাশে একটা ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় ভাড়াটে আন্দোলনকারি পাওয়া যায়। সাথে লাঞ্চ দিলে আরও খুশি।ছবি তুলে রাখলে দেখতে পাওয়া যাবে কিছু একই চেহারার মানুষ কখনো ইপিজেড এ আবার কখনো বেক্সিমকোতে বা বাইপাইলে গিয়ে  আন্দোলন এ শরীক হয়। এরাই রাস্তা গরম করে রাখে,রাস্তা আটকায়, মানুষের চলাচল আটকে দেয়,  রাস্তার মাঝের লোহার রেলিং ভেঙে রাস্তায় এনে রাস্তা আটকিয়ে রাখে, আর সুযোগ বুঝে সেগুলো আবার ভাংগারিতে নিয়ে বিক্রি করে, শুধু টাকা কামাইয়ের ধান্ধা। এমনকি সেনাবাহিনী এরকম কিছু  ভাড়াটি আন্দোলনকারীদেরকে কয়েকবার গ্রেফতার করেছে, যাদের গলায় ভুয়া আইডি কার্ড ঝুলানো থাকে,যারা সাবেক ছাত্র নেতা,  যাদের উদ্দেশ্য ড.ইউনুসের সরকারকে ব্যর্থ করা। এবং আবার ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করা।


  

 যখন রাস্তা আটকিয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিক এবং  ভাড়াটে আন্দোলনকারীরা একসাথে   আন্দোলন করে তখন রাস্তার দুইপাশে হাজার হাজার গাড়ি আটকে যায়  লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোগান্তি হয়,কিন্তু আন্দোলনকারীদের এ-ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা হয় না,দয়া হয় না,  রাস্তাখুলে দেয় না এইভাবে কখনো কখনো এক সপ্তাহ চলে যায়। কাচামাল গাড়ীতে বসেই নষ্ট হয়। উত্তর অঞ্চলে যাওয়ার প্রধান সড়ক এই নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক।  যারা ইপিজেড এ চাকরি করেন তাদের কারো কারো ৫-৭ কি.মি হেটে বাসায় এবং ফ্যাক্টরিতে যাওয়া আসা করতে হয়। //


বেক্সিমকোর শ্রমিক এবং তাদের  ভাড়াটে আন্দোলন ভাড়াটে আন্দোলনকারীদের মধ্যে হিংসাটা অনেক বেশি, অন্যের ভালো তারা দেখতে পারে না। বেক্সিমকোতে সমস্যা আছে  কিন্তু আশেপাশের যেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো ভালো ভাবে চলছে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা সেইসব ফ্যাক্টরিতে গিয়ে হুমকি দিয়ে ফ্যাক্টরি বন্ধ করায় এবং তখন ঐসব ফ্যাক্টরির মালিকেরা গার্মেন্টস ছুটি দিতে বাধ্য হয়। সেই ফ্যাক্টরিগুলো হল KAC,Norban,Cap ফ্যাক্টরি, ড.ইউনুসের গ্রামীন ইত্যাদি। গতমাসে এক ফ্যাক্টরিতে গিয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা গিয়ে চড়াও হয়,ফ্যাক্টরি বন্ধ করতে দেরী হওয়ায় আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এইটা একটা হিংসাত্মক কাজ, মানে আমি খারাপ আছি তুই ভালো থাকবি ক্যান। 



এজন্য আমরা চাই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হোক। মানুষ সারাদিন কাজ করার পরে স্বাভাবিক ভাবে ঘরে ফিরে যেতে পারে। সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে, ভাড়াটে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে গার্মেন্টস শিল্পকে রক্ষা করবে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক  কি? কেন করা হয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক?

ইদানীং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে  কিছু কথা শোনা যাচ্ছে। কি সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? 


সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical strike) বা সুনির্দিষ্ট হামলা হল, এক ধরনের যুদ্ধশৈলী,এক ধরনের সামরিক আক্রমণ। যেই আক্রমণ  শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট  সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়, যা আশেপাশের অসামরিক কাঠামো, যানবাহন, ভবন, বা সাধারণ জনসাধারণের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর  ন্যূনতম  ক্ষতি সাধন  ছাড়াই করা হয়। অর্থাৎ আশেপাশের এলাকা এবং বেসামরিক লোকদের ক্ষতি না করে লক্ষ্যবস্তু নির্মূল করাই লক্ষ্য থাকে। 


সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে খুব অল্প সময়ে, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে শত্রুদের গোপন আস্তানায় বা দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয় । হামলা চালিয়ে শত্রুদের ঘাঁটিল গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সেনাবাহিনী আর ওই এলাকায় মোতায়েন থাকে না বা ওই এলাকা দখল করে না। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়ে শত্রুদের আটক বা গ্রেপ্তারও করা হয় না। হামলা চালিয়ে শত্রুর  ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।


কোনো দেশের সেনাবাহিনীই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নামক হামলার ব্যাপারে কোনো পূর্ব ঘোষণা দেয়  না। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র মুল থিম হলো," নিশানাকে নির্ভুলভাবে বেছে নাও"। ‘//


লক্ষ্য হলো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ফিরে আসা। এবং দলের প্রত্যেক সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব থাকে, থাকে সীমিত অস্ত্রশস্ত্র। ।’


সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর বড় উদাহরণ হল পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের অপারেশনের মাধ্যমে রাতের বেলা  ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা। 


২০১৬ সালের ১৮ ই সেপ্টেম্বর ভারতের জম্মু এবং কাশ্মীর এর উরি এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সেনা ঘাটিতে একটি  হামলা সংঘটিত হয়। এই আক্রমণে ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় ৪ জনের একটি দল। এটি উরি জঙ্গি হামলা নামে পরিচিত হয়। এই হামলায় ভারত-এর ১৯ জন সৈনিকের মৃত্যু হয়,ওই হামলায়  ৪ হামলাকারীও নিহত হয়। 


উরি হামলার পর ভারত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।







ভারতে আর যাওয়ার দরকার নেই, ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা ঢাকাই পাওয়া যাবে

ইউরোপের ভিসাপ্রত্যাশীদের জন্য  সুখবর। অনেক পরিশ্রম করে  ভারতে গিয়ে আর ভিসা আনতে হবে না। বাংলাদেশ থেকেই পাওয়া যাবে ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা।
ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস থেকেই ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা দেয়া হবে।

ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের সহযোগিতায় বহুজাতিক ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস সংস্থা VFS গ্লোবাল আগামী মঙ্গলবার বা ১০ ই ডিসেম্বর থেকে বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেনে যাওয়ার জন্য শেনজেন ভিসা আবেদনের জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম চালু করবে।গত রবিবার ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় একথাও  বলা হয় যে,আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে সব আবেদনকারীকে অবশ্যই ঢাকায় VFS গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আগাম একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। ওয়াক-ইন আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।//

অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লটটি আপনার ব্যক্তিগত তাই নিজেকেই বুক করতে হবে। আপনি যখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করবেন তখন VFS গ্লোবাল দ্বারা একটি service চার্জ  নেয়া হবে।

আপনি যদি অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উপস্থিত না হন বা আপনার নির্ধারিত সময়ের স্লটের ২৪ ঘণ্টা আগে আপনি এটি বাতিল করেন তবে ফি ফেরত দেওয়া হবে না।

আপনার ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য যদি বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেন হয় তাহলে অনুগ্রহ করে শুধু ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করবেন।

অনুসন্ধানের জন্য অনুগ্রহ করে ভিএফএস হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। ফোন নাম্বার হল : (+88) 09606 777 333 বা (+88) 09666 911 382 (সশরীরে যেতে চাইলে সর্বজনীন ছুটি ছাড়া রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত)। এছাড়া অনলাইনে অনুসন্ধানের জন্য ব্রাউজ করুন।  https://vfsforms.mioot.com/forms/CFNC










শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিউইয়র্ক টাইমস এর প্রতিবেদন অর্থ পাচার করে যেই দেশের অর্থনীতি শুকিয়ে ফেলা হয়েছে

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া টাকার প্রকৃত পরিমাণ কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। বিভিন্ন ধরনের আর্থিক হিসাব-নিকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে তাঁর সহযোগীরা বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে যে পরিমাণ অর্থ লুট করেছে, তা কার্যত পৃথিবীর আর্থিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতি প্রসঙ্গে আহসান মনসুর বলেন, আগামী বছর অর্থনীতির আকাশে আরও ঝড় উঠবে; এরপর অর্থনীতির আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে।



কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার আগে ২৭ বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) কাজ করছেন আহসান মনসুর। তিনি বলেন,  শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে কেবল বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থা থেকেই ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। তবে অন্যান্য অর্থনীতিবিদের হিসাবে, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি হতে পারে।


মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে ৪ ঠা ডিসেম্বর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি–বিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি বলেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে সার্বিকভাবে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে।


আহসান মনসুর নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছিল, লুটপাট করার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে ব্যাংক। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো শত শত কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দিয়েছে, যে কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোর অস্তিত্বই নেই। এই টাকাও কখনো সম্ভবত ব্যাংকে ফিরে আসবে না; এই অর্থের একটি বড় অংশ দেশ থেকে অবৈধভাবে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের পুরো পরিচালনা পর্ষদ হাইজ্যাক করা হয়েছিল। তাঁর ভাষ্য, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এভাবে গুন্ডা–মাস্তানদের সহযোগিতায় পুরো ব্যাংক খাতে এমন পদ্ধতিগতভাবে ডাকাতি করেছে, এমন ঘটনা তিনি আর কোথাও দেখেননি।


ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের পদত্যাগের ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছে নিউইয়র্ক টাইমস। সংবাদে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি আর দশটা সাধারণ দিনের মতো আব্দুল মান্নান কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে তিনি একটি ফোন কল পান। কলটি করেছিলেন সামরিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান। তাঁকে বলা হয়, গাড়ির গতিমুখ পরিবর্তন করে তিনি যেন সংস্থাটির সদর দপ্তরে চলে আসেন।


গত অক্টোবর মাসে আব্দুল মান্নান নিউইয়র্ক টাইমসকে সেই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। কার্যালয়ে যাওয়ার পর সামরিক গোয়েন্দারা আব্দুল মান্নানের ফোন, ঘড়ি ও ওয়ালেট রেখে দেন। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আব্দুল মান্নানের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বিবরণ দেন; বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে তিনি যে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন, সে জন্য তাঁর প্রশংসা করেন।


আব্দুল মান্নান ভাবছিলেন, তাঁর সময়টা বোধ হয় বৃথা যাচ্ছে। কিন্তু এরপরই তাঁকে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের চিঠিতে সই করতে বলা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তাঁকে বলেন, এই আদেশ দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে এসেছে, অর্থাৎ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি প্রথমে পদত্যাগ পত্রে সই করতে রাজি হননি। তখন ইসলামের খলিফা ওসমানের কথা মনে হচ্ছিল তাঁর। সপ্তম শতাব্দীতে ঘাতকের আক্রমণের মুখে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন।


কিন্তু এই পর্যায়ে এসে আব্দুল মান্নান আর বলতে পারলেন না। প্রথমত তিনি বলেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে মৌখিকভাবে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন। এরপর তাঁকে গোয়েন্দা প্রধানের কার্যালয় থেকে আরেকটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।


আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি যে ধরনের মানুষ, তাতে ওই সময়ে আমাকে যে অপমানজনক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, তার বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।’ এরপর তিনি সময়ের হিসাব ভুলে যান এবং একপর্যায়ে জানতে পারেন, দুপুরের আগে আগে তিনি পদত্যাগ পত্রে সই করেছেন। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তী আট বছর তিনি কার্যত নির্বাসনে ছিলেন; এখন তিনি আবার একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, এস আলম গোষ্ঠী অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত শূন্য করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল।

হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক এ কে এম এহসান। ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক এস আলম গোষ্ঠীর হাতে যাওয়ার পর নামে–বেনামে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যে ঋণের বড় অংশ আর ফেরত আসেনি। ফলে সেগুলো খেলাপি হয়ে গেছে।//


বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক এখন লাইফ সাপোর্টে আছে বলে নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি যেসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারাও সেভাবে ঋণ দিতে পারছে না, এমনকি আমানতকারীদের টাকা সব সময় ফেরত দিতে পারছে না। আমানতকারীদের তারা মাঝেমধ্যে টাকা তোলার সুযোগ দিচ্ছে।


বাংলাদেশ থেকে যে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শেখ হাসিনার দলের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করা হয়েছে, যে অর্থ মূলত আমদানি–রপ্তানির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।


এর মাধ্যমে যে কেবল কিছু মানুষের পকেট ভারী হয়েছে তা নয়, এতে বাংলাদেশের মুদ্রার দরপতনও হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে এই অর্থ পাচারের গতি বাড়তে থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের মুদ্রার বড় ধরনের দরপতন হয়। আমদানি মূল্য অনেকটা বেড়ে যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের লোডশেডিংয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।


অনেক ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকট আছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা পুরো বেতন তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমনকি যেদিন বেতন দেওয়া হয়, সেদিন তারা পুরো টাকা তুলতে পারেননি, এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।//


ওষুধ কোম্পানি টেকনো ড্রাগ কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। এই কোম্পানির সহমহাব্যবস্থাপক মাজেদুল করিম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, নিম্ন আয়ের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কর্মীরা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন, ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না, সে কারণে কোম্পানি বাধ্য হয়ে নগদ অর্থে মজুরি পরিশোধ করছে। তিনি আরও বলেন, নিজের ডেবিট কার্ড দিয়েও টাকা তোলা যাচ্ছে না।


আহসান মনসুর বলেন, এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির বছর নয়, যদিও মূল্যস্ফীতির হার কমে আসছে ও প্রবাসী আয়প্রবাহ বাড়ছে। তিনি আশাবাদী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশের মুদ্রা স্থিতিশীল করতে আরও তিন বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে। ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।।







মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীঘ্রই আসছে নতুন নোট, থাকবে না বঙ্গবন্ধুর ছবি

প্রাথমিকভাবে চারটি নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ধাপে ধপে দেশের সব ধরনের ব্যাংক নোটের ডিজাইন নতুন করা হবে। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ নতুন নোটের বিস্তারিত নকশার প্রস্তাব জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। তবে  নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি। কমিটিতে চিত্রশিল্পীরাও রয়েছেন।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসবে এসব নতুন টাকা।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুপাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে।//

প্রাথমিকভাবে সরকার  চারটি অর্থাৎ ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট বাজারে আনতে যাচ্ছে যাতে থাকবে না শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি  এবং ডিজাইন পরিবর্তন করে নোটগুলোতে যুক্ত করা হচ্ছে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’।

নতুন টাকা ছাপানোর  বিষয়ে গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘নতুন টাকা ছাপার বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছে। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসতে পারে নতুন টাকা।’

বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজটি করে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাঁকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এক টাকা ছাপানোর মধ্য দিয়ে এই প্রেসে নোট ছাপানো শুরু হয়। ওই বছরের নভেম্বর মাসে ১০ টাকার নোটও ছাপানো হয় সেখানে। প্রতিটি নোট ছাপানোর আগে তার নকশা অনুমোদন করে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় টাকা ছাপায় না। সাধারণত একটি নোট ৪-৫ বছর চলে। এরপর তা পুনর্মুদ্রণ করা হয়। ছোট মানের নোট বেশি হাতবদল হওয়ায় তা দ্রুত নষ্ট বা ব্যবহার অনুপযোগী হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে নতুন নোট ছাপতে। ২০২১-২২ অর্থবছরে খরচ হয়েছিল ৩৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে খরচ হয় ৩৪ হাজার কোটি টাকা ।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

একটা ইউরোপিয়ান দেশের ৩ লক্ষ এর বেশি প্রবাসী লোক দরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে

আজকে এই ভিডিও তে ইউরোপের একটা দেশ নিয়ে আলোচনা করব যারা ৩ লক্ষ এর বেশী কর্মী নিবে।

যেইধরনের লোক নেয়া হবে তা,
থালা ধোয়ার মত ছোট কাজ থেকে শুরু করে  শেফ,কৃষক, ছুতার, মেশিন অপারেটর এবং ইলেকট্রিশিয়ান থেকে ওয়েব এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপার পর্যন্ত।

পর্যটন শিল্পে অদক্ষ এবং অত্যন্ত দক্ষ উভয় কর্মচারীর প্রয়োজন, ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী,  শেফ, স্পা থেরাপিস্ট এবং ফ্রন্ট অফিস পেশাদার। 

নির্মাণ খাতে অনেক লোক দরকার যেমন অভিজ্ঞ টেকনিক্যাল লোক,  ওয়েল্ডার,  ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, স্টিমফিটার, ড্রাইভার, সাইট সুপারভাইজিং ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশেষকরে নির্মান কাজে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি অপারেটরদের প্রচুর প্রয়োজন রয়েছে।

শিল্প  কারখানায় যে ধরনের লোক নিবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, প্রোডাকশন,  স্টোরেজ , প্যাকেজিং, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, সিএনসি বা কম্পিউটার নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল,মেশিনারি টেকনিশিয়ান এবং অটোক্যাড ডিজাইনারদের মত কর্মীদের খুঁজছে।//

তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি খুজছে  মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, সিস্টেম সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং  অত্যন্ত অভিজ্ঞ প্রোগ্রামারদের।

এবং, কৃষিক্ষেত্রে খামার শ্রমিকদের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই রয়ে গেছে সেখানে।

উল্লেখিত বিভিন্ন পেশার কর্মী যে দেশটাতে নেয়া হবে সেই দেশটি হলো গ্রীস। যেই দেশে
৩ লক্ষ এর বেশি বিদেশি লোক  প্রয়োজন।

কিন্তু গ্রীসের কিছু  আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে  আশ্চর্যজনক হলেও সত্য  বিদেশী কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রক্রিয়াটি ৬-৯  মাস স্থায়ী হতে পারে।

একটি সফল নিয়োগ অনেক কারণের উপর নির্ভর করে, সংশ্লিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে  সরকারের নির্দেশ, চাকরির অনুমোদিত সংখ্যা, বিদেশে গ্রীক দূতাবাসগুলিকে অবশ্যই কাজের ভিসা অনুমোদন ও ইস্যু করতে হবে, কর্মচারীরা গ্রীসে আসার পর, তাদের অবশ্যই একটি ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর , একটি সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর এবং একটি নীল কার্ড ইস্যু করাতে হবে।//

আন্তর্জাতিক শ্রমের চাহিদা ও সরবারাহের  সাথে তাল মেলানোর জন্য WorkInGreece.io-নামে একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম  চালু করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মটি নিজে যাচাই বাছাই করে দেখার জন্য বাংলাদেশীদের প্রতি আহব্বান জানাচ্ছি। এই পোর্টালে একটা  ছোট পারিবারের কর্মী  থেকে শুরু করে বৃহৎ বহুজাতিক পর্যন্ত ২০০০ টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  বিদেশ থেকে লোক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।  যেখানে  বাংলাদেশ, মিশর, জর্জিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মলদোভা, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম সহ ১১ টি দেশের ৩৫,০০০ এরও বেশি সম্ভাব্য কর্মচারী এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কাজ পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি বিদেশে কাজের জন্য যেতে কাউকে টাকা দেবার আগে অবশ্যই যাচাই বাচাই করে দিবেন। ওয়েবসাইটের নাম description box এ দিয়ে দিলাম।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।