শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ কে নিয়ে একটা বিশেষগোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে  ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গত

বৃহস্পতিবার  জাতিসংঘ ফোরামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।


তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর প্রসঙ্গে, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় উদাহরণ স্থাপন করছিল, তখন আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও ভুয়া খবর এবং স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি। এই ধরনের অনেক অপপ্রচারকে বৈশ্বিক গণমাধ্যম উড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সরকার বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’//

বিবৃতিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, ‘অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, কিছু বক্তা চিন্ময় দাসের গ্রেফতারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি একজন মুসলিম আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরেও আমাদের সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সব ধর্মের নেতাদের সমর্থনে শান্তি বজায় রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সহায়তা করেছে।


বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করে যে, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশির নিজ নিজ ধর্ম পালন বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল ভিত্তি। এটি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের বারবার আশ্বস্ত করেছেন এবং সরকারের প্রথম ১০০ দিনে সেটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।’//


তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার সতর্ক রয়েছে এবং যেকোনও মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার যেকোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে অবিলম্বে কাজ চালিয়ে যাবে।’


তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময়ে  ঘটা সহিংসতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। ওই সহিংসতার যারা শিকার হয়েছিল তাদের প্রায় সবাই মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ছিল মাত্র কয়েকজন। সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও উদ্দেশ্যমূলক আক্রমণ হয়নি। বরং জুলাই মাসে গণআন্দোলনের পর আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুসরণ করে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশ তার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছিল, তা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে আমাদের সরকার সব ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য এবং অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


জামায়াত ১৯৮৬,১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনে কয়টি আসন পেয়েছিল?

বিগত  সংসদ নির্বাচনে জামাত ইসলামের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করব।

তরুন ভোটারদের অনেকেই মনে করেন নির্বাচন হলে এবার বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি সরকার গঠন করবে। কিন্তু বয়স্ক ভোটাররা তা মনে করেন না। ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিগত  পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে জামাত ইসলামের  ফলাফল আলোচনা করা হলো।

তৃতীয় সংসদ নির্বাচন

১৯৮৬ সালে এরশাদের শাসনামলের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ১০টি আসন পায়। উল্লেখ্য বিএনপি সেই নির্বাচন বর্জন করে।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এ নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।এই নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৫.৪৫ শতাংশ। জামায়াতে ইসলামী এ নির্বাচনে  ১৮টি  আসনে জয়লাভ করে।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৪.৯৬ শতাংশ। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জামায়াতে ইসলামী তিনটি আসনে জয়লাভ করে।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৫.৫৯ শতাংশ। জামায়াতে ইসলামী ১৭টি আসনে জয়লাভ করে।

নবম সংসদ নির্বাচন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এটি সর্বশেষ ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮৭.১৩ শতাংশ জামায়াতে ইসলামী দুটি আসনে জয়লাভ করে।

১৯৮৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে জামাত ইসলামের সবচেয়ে ভালো পারফরমেন্স হল ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। সেই বছর তারা সর্বোচ্চ ১৮ টি আসন পায়। এখন কথা হল যে দলের এ পর্যন্ত  নির্বাচনের সবচেয়ে ভালো  ফলাফল হলো ১৮ টি আসন, সেই দল কিভাবে সরকার গঠন করবে? সেই দল কিভাবে ক্ষমতায় যাবে? তাদের সমর্থন যদি ৫ গুনও বেড়ে  যায় তাও ৯০ টার বেশি আসন হয় না।

জামাত ইসলামের সমর্থকদের অনেকেই মনে করে যে নির্বাচন হলেই জামাত সরকার গঠন করবে বা ক্ষমতায় যাবে যারা এরকম ধারণা করে তারা গত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারে নাই, বয়স ৩০ এর বেশি না। বাংলাদেশের সংসদ  নির্বাচনের হিসাব নিকাশ খুব কমই জানে। আবেগ দিয়ে কি সব কিছু করা সম্ভব?

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ড. মাহাথির মোহাম্মদ এর আহব্বান

 বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মাহাথির মোহাম্মদ যে আহব্বান জানিয়েছেন, 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রবীণ নেতা ও আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির মোহাম্মদ।


গত ২৭ নভেম্বর কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ তানশ্রী সৈয়দ হামিদ আলবারের আত্মজীবনীমূলক বই  এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাহাথির মোহাম্মদ।


 সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও বেসরকারী থিংক ট্যাংক আইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, মাহাথিরের কাছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সাহসিকতার সঙ্গে একজন অজনপ্রিয় ও স্বৈরাচার শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এখন তাদের সামনে সুযোগ এসেছে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার।’


এ সময়ে নতুন করে বিভক্তি এড়িয়ে, ব্যক্তি নয় বরং দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

একই সময়ে তানশ্রী হামিদ আলবার বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের পরিশ্রমী জনগণের প্রচেষ্টায় দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে।//


সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে দেশ পুনর্গঠনের। টেকসই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আয় ও সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন।


তিনি একইসঙ্গে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন ইমেজ গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার বিষয়েও তিনি তার পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


পাকিস্তানে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ, ইন্টারনেট বন্ধ, ৫ জন নিহিত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চলতি মাসের শুরুতে কারাগার থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেন, যাকে তিনি ‘চূড়ান্ত ডাক’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর পর থেকে তার সমর্থকেরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হন। তাদের দাবি, বন্দি নেতাদের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগ।  


পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ উত্তাল হয়ে উঠেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের আন্দলোনের কারণে। 

ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা করে ইমরান খানের  কর্মী-সমর্থকরা। আজ ২৬ শে নভেম্বর মঙ্গলবার তারা রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ডি-চকে পৌঁছেছেন।


তবে তাদের প্রতিহত করতে ইসলামাবাদে সংবিধানের ২৪৫ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গ জানিয়েছে, সেনাদের ইমরানের পক্ষের বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু এই কঠোর নির্দেশের পরও বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় থাকা ঠেকানো যায়নি।  সংঘর্ষে আজ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। 


বহিঃশক্তির আগ্রাসন এবং যুদ্ধের সময়ের জন্য সংবিধানে এই ধারা রাখা হয়েছে। কিন্তু পিটিআইয়ের বিক্ষোভকারীদের দমনে রাজধানী ইসলামাবাদে এই ধারা সক্রিয় করা হয়েছে।   সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী যা খুশি তাই করতে পারবে। এজন্য ভবিষ্যতে তাদের কোনা ধরনের বিচারিক ঝামেলায় পড়তে হবে না।//


পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘কাউকে যেন ছাড়’ না দেওয়া হয়।


প্রায় ১০ দিন আগে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু এই ধারা ভঙ্গ করেই ইমরান খানের সমর্থকরা রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে কয়েকশ মানুষ ডি-চকে প্রবেশ করছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং তাজা গুলি ছোড়া হয়। 


পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, সরকার বারবার আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে পিটিআই নেতৃত্ব আলোচনা থেকে শুধু সময় নিয়েছে এবং রাজধানীর দিকে অগ্রসর হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদের আইজিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।  


এদিকে, সংঘর্ষের মধ্যেই মুলতান, রাজনপুর, গুজরাটসহ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।  //


অন্যদিকে, ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর আজ মঙ্গলবার গাড়ি বহর নিয়ে ইসলামাবাদের ডি চকে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।  


২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তবে পিটিআই এই মামলা ও অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছে।  


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আমেরিকা প্রবাসী
অধ্যাপক রুমি আহমেদ এর একটা পোস্ট
ফেসবুকে শেয়ার করেন, অধ্যাপক রুমি আমেরিকার একটা মেডিকেল  ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। 

ওই পোস্টে তিনি খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জে উপস্থিতিকে মিরাকল বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে কারাগারে থাকাকালে তার সঠিক চিকিৎসা হয়নি, উল্টো ‘গরুর চিকিৎসা’ তার ওপর প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন এই অধ্যাপক।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ যেই চার-পাঁচ বছর জেলে ছিলেন- তখন তার ওপর গরুর চিকিৎসা হয়েছে, মানুষের চিকিৎসা হয়নি। উনি আধুনিক কোনো চিকিৎসা পাননি! যেই ওষুধ দেয়া হয়েছে- তাতে ওনার ডিজিজ কন্ট্রোলতো হয়ইনি, লিভার ও কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।’

ওই পোস্টে অধ্যাপক রুমি লিখেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জ সফরের অনেক ভিডিও দেখলাম ! আমি যেহেতু চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র- আমি ওনার ভিডিওগুলো দেখেছি অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে! প্রথমত তাকে দেখলাম হাসছেন এবং শ্বাস নেয়ার জন্য না থেমে এবং না হাপিয়ে গিয়ে মোটামুটি লম্বা সময় কথা বলতে পারছেন। আরেকটা বিষয় লক্ষ করলাম ওনার অক্সিজেন লাগছে না! এই পুরো ব্যাপারটা একটা মিরাকল ছাড়া আর কিছু না।’

‘এই কিছুদিন আগে ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া ৬-৭ মাস টানা আইসিইউতে কাটালেন। ওনার কিডনি ফেইল করেছিল; হার্ট ফেইলিউর ছিল; লিভার পুরো ফেইল করেছে। লিভার ফেইলিউরের জীবনঘাতী কমপ্লিকেশন যা যা হতে পারে সবই তার ছিল- সারা শরীরে পানি, পায়ে পানি, পেটে পানি, ফুসফুসে পানি! প্রতিদিন পেট আর ফুসফুসের পাশ থেকে থেকে সুঁই ঢুকিয়ে লিটারকে লিটার পানি ড্রেইন করতে হতো। তার দুই চেস্টে চেস্ট টিউব ঢোকানো ছিল কন্টিনিউয়াস পানি ড্রেইন করানোর জন্য। ঘাড়ের মধ্যে বিশাল মোটা ডায়ালাইসিস লাইন ছিল। আরো কিছু কঠিন সমস্যা ছিল যেমন রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস। //

তিনি আরও লিখেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে এডভান্সড আইসিইউগুলোতে আমি  গত ২০ বছর ধরে কাজ করছি । ৮০ বছর বয়সি একজন মানুষ অ্যাডভান্সড Completing আর্থ্রাইটিসসহ যার লিভার ফেইল করেছে- কিডনি ফেইল করেছে; সিভিয়ার পালমোনারি হাইপারটেনশন আছে- এইদেশে আমরা আশা ছেড়ে দিতাম! কারণ ৮০ বছর বয়সি একজন মানুষের লিভার ফেইলিউর একটা ওয়ানওয়ে জার্নি। বাকি সব অর্গান ডোমিনোর মতো ফেইল করা শুরু করে। রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।’

মিসেস খালেদা জিয়া যে ৭ মাস আইসিইউ থেকে  সেনাকুঞ্জে এসে সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন- আবারও বলছি এটা মেডিকেল মিরাকল। ওপরওয়ালা কোথাও কেউ নিশ্চয় আছেন; যিনি সম্ভব - অসম্ভবের কারিগর- উনিই হয়তো চেয়েছেন অসম্ভবের ঘড়ির কাটাটাকে হাত দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে। কেউ ওনাকে এই দিনটা দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন! ।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে অধ্যাপক রুমি আরও লিখেছেন, ‘আপনারা কেউ কি ওনার হাত দুটো খেয়াল করেছেন? কীভাবে বেঁকে গিয়েছে? আমরা মেডিকেল কলেজে পড়েছি সোয়ান নেক ডিফর্মিটি; বাটোনেআর ডিফর্মিটি, গত শতব্দীর টার্ম! এই শতাব্দীর মেডিকেল স্টুডেন্টরা এগুলো খুব একটা দেখে না এখন। রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের চিকিৎসা না হলে বার্ন্ট আউট হয়ে যায়। অ্যাডভান্সড রিউমাটোয়েড আর্থরাইটিসের শেষ পর্যায়ে গিয়ে হাতগুলো এভাবে শক্ত হয়ে কুঁকড়ে যায়। দুটো হাতই শুধু অচল হয় না অবর্ণনীয় যন্ত্রণা হয়, হাইডোজ ইমিউনিটি সাপ্রেস করা মেডিসিনে না থাকলে।’//

উনি আরও লিখেছেন, ‘আপনি কি খেয়াল করেছেন উনি পা লম্বা করে হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন। উনি পা ভাঁজ করতে পারেন না! ওনাকে স্ট্র্যাপ দিয়ে হুইল চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল, যাতে পড়ে না যান। আমি খেয়াল করছিলাম ওনার ছোট পুত্রবধূ প্রতিটা মুহূর্ত শ্বাশুড়ির দিকে চোখ রাখছেন- কখন কি হয়ে যায়! একটা জীবন চিন্তা করুনতো? অবর্ণনীয় ব্যাথার কারণে পা ভাঁজ করা যায় না- স্টিফ হয়ে গিয়েছে- হাত দুটো অচল! পুরো পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে ওনাকে! হ্যাঁ, আমি বলছি ‘দেয়া হয়েছে’, এমনি এমনি সব হয়নি!’

আগে ওনাকে যখন টিভিতে দেখেছি- তখনতো এত খারাপ অবস্থা ছিল না। উনি এই হাত দিয়ে করমর্দন করতেন- সারাদিন ফাইল স্বাক্ষর করতেন! একটু খুঁড়িয়ে হলেও হাঁটতে পারতেন। ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৯ ঘণ্টা ক্যাম্পেইন করেছেন- সারারাত পথসভা করেছেন। আজকাল আমরা এই ধরনের রিউমাটয়েড ডিফর্মিটি খুব কম দেখি। কারণ আজকাল রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিসের অনেক ডিজিজ মোডিফাইয়িং ওষুধ আছে। এই ওষুধে রোগ কন্ট্রোল করে রাখা যায়! একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান রিউমাটয়েড আরথ্রাটিসকে এখন আর ওই পর্যায়ে পৌঁছতে দেয় না।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) যেই চার-পাঁচ বছর জেলে ছিলেন- তখন তার ওপর গরুর চিকিৎসা হয়েছে, মানুষের চিকিৎসা হয়নি। উনি আধুনিক কোনো চিকিৎসা পাননি! যেই ওষুধ দেয়া হয়েছে- তাতে ওনার ডিজিজ কন্ট্রোলতো হয়ইনি, লিভার ও কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।’
//
 
অধ্যাপক রুমির মতে, ২০০৭ এর পর থেকে জিয়া পরিবারের ওপর নানা অত্যাচার-নির্যাতনের ঝড় বয়ে গেছে। তিনি লিখেছেন, ‘২০০৭ এর পর থেকে জিয়া পরিবারের ওপর যা গিয়েছে, তা ট্র্যাজিক মহাকাব্য। বড় ছেলেকে মেরে কোমর ভেঙে দেয়া হয়েছিল, তার দশ বছর লেগেছে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে। আরেক ছেলের ওপর ( যে রাজনীতির র-এর সঙ্গেও জড়িত ছিল না) তার ওপর কি ঝড় গিয়েছে আল্লাই জানে। ছাড়া পাবার কিছুদিন পর ৪৫ বছরের সুস্থ তরুণ ক্রিকেট প্লেয়ার মানুষটা ধুম করে মরে গেলেন। এই কাজগুলো যারা করেছেন, যাদের সিদ্ধান্তে হয়েছে, যারা এক্সিকিউট করছেন, তাদের জিয়া পরিবার ক্ষমা করলেও, এই দেশের একটা বিশাল অংশের মানুষ কোনোদিনই ক্ষমা করবে না!’

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যাওয়ার এখনই প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

তার মতে, ‘খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমার মতে এখন পলিটিক্যাল ও পারিবারিক ডিসিশন; মেডিকেল ডিসিশন না। ওনার যে মেডিকেল টিম- তাদের অনেককে আমি চিনি। ওদের ওপর আমার শতভাগ আস্থা আছে। আমি মনে করি, উনারাই যথেষ্ট। ওনাকে (খালেদা জিয়া) টেনে হিঁচড়ে বিদেশে নেবার কোনো যুক্তি বা মেডিকেল নেসিসিটি আমি দেখি না। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। ওনার পরিবার আরো ভালো বুঝবেন।’

পরিশেষে অধ্যাপক রুমি খালেদা জিয়ার দীর্ঘ জীবন কামনা করেন। পাশাপাশি নিজ বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা কাজ চালিয়ে নেয়া এবং তাকে টানা-হিঁচড়া না করারও আহ্বান জানান তিনি। 

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পাকিস্তান স্কলারশিপ দিবে

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর— সৌহার্দের অংশ হিসেবে ১০০ বাংলাদেশিকে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে।//

@@পাকিস্তানে কিছু কিছু ভালো ভালো ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে,
বিশ্ব রেংকিং এ তারা ঢাকা   ইউনিভার্সিটির চেয়ে এগিয়ে আছে। পাকিস্তানের কিছু  ভালো ইউনিভার্সিটি নাম বলা হলো এবং যারা স্কলারশিপ দেয়।

কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় ... ১৯৬৭  সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটিতে  পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ আছে।

পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত,  পাকিস্তানের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম  বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার,যা ফয়সালাবাদে অবস্থিত।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্সে এন্ড টেকনোলজি (NUST)  ইসলামাবাদে অবস্থিত, পাকিস্তানের একটি বিশিষ্ট পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়।

আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়।  স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রথম  পছন্দ। 

বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭৪ সালে মুলতানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু এটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন সুফি সাধক হযরত বাহা-উদ-দিন জাকারিয়ার নামে। 

লাহোর ইউনিভার্সিটি

করাচি ইউনিভার্সিটি

University of  Management and Technology

University of Peshawar //

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আগেও শিক্ষা বিষয়ক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল। তবে অনেকদিন ধরে তা বন্ধ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে আবারও এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে  কাজ করে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যে অন্যান্য খাতেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে এসে নোঙর করে একটি পণ্যবাহী জাহাজ।পাকিস্তান চাইতেছে বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হোক।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের উপর থেকে কেন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে?

সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের ওপর আরোপিত সব সম্পর্কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় এবং সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


এর ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ ২০১৫ সালের আগের সেই স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ও পাকিস্তান।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা গণমাধ্যমকে বলেন, এক সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু এটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চান। সে দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি পুরোটাই একাডেমিক, এর বাইরে কোনো কিছু নেই।


এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রায় এক দশক পর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। //

পাকিস্তানে কিছু কিছু ভালো ভালো ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে, 

বিশ্ব রেংকিং এ তারা ঢাকা   ইউনিভার্সিটির চেয়ে এগিয়ে আছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে ভালো ইউনিভার্সিটি হল :


কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় ... ১৯৬৭  সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটিতে  পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ আছে। 


পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত,  পাকিস্তানের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম  বিশ্ববিদ্যালয়। 


ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার,যা ফয়সালাবাদে অবস্থিত। 


ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্সে এন্ড টেকনোলজি (NUST)  ইসলামাবাদে অবস্থিত, পাকিস্তানের একটি বিশিষ্ট পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়।


আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়।  স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রথম  পছন্দ।  


বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭৪ সালে মুলতানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু এটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন সুফি সাধক হযরত বাহা-উদ-দিন জাকারিয়ার নামে।  


লাহোর ইউনিভার্সিটি 


কেন পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল? 


২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আ স ম আরেফিন সিদ্দিক প্রশাসন। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক এক্সচেঞ্জ বা সমঝোতা স্মারক নতুন করে সই হবে না এবং যেগুলো আছে, সেগুলোও স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি ১৯৫ পাকিস্তানির বিচার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো ও পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সিন্ডিকেট সভা থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।


সেসময় সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এ দেশে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়ে তারা অস্বীকার করেছে। যতদিন পর্যন্ত তারা গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে না, ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ঢাবি কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখবে না। নতুন করে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবেন না। একইভাবে তাদের কোনো ছাত্রও আমরা নেব না।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪

জমজমের পানি কেন পান করবেন? জমজম কূপের পানি পানের সময় যা যা করতে বলেছে সৌদি আরব

আসসালামু আলাইকুম,
জমজম কূপের পানি পান নিয়ে  সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়  যা যা করতে বলেছে তা জানার আগে, জমজমের পানির ব্যাপারে কিছু হাদিস জেনে নেই।

নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন , জমজমের পানি যেই নিয়তে পান করা হয় সেই নিয়ত হাছেল হয়। অন্য হাদীছে আছে, জমজমের পানি  পেট ভরার জন্য খেলে পেট ভরে আর তৃষ্ণা নিবারণের জন্য খেলে পিপাসা মিটে। উহা জিব্রাঈলের খেদমত, ইছমাঈলের রাস্তা। খেদমত অর্থ জিব্রাঈলের চেষ্টায় উহা বাহির হয়েছে।  নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন আর সাধারণ পানি বসে পান করতেন।

বিখ্যাত হাদিছ সম্রাট  ছুফিয়ান বিন্ উয়াইনার খেদমতে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হুজুর! জমজমের পানি যে নিয়তে খাওয়া হয় সেই নিয়ত পুরা হয়- এই হাদীছ কি সত্য? তিনি বলেন, হাঁ সত্য। লোকটি বলল, আমি
এই নিয়তে পান করেছি যে, আপনি আমাকে ২০০ শত হাদীছ শুনাবেন। তিনি বললেন, আচ্ছা বস। এই বলে তিনি দুই শত হাদীছ শুনিয়ে দিলেন।

হজরত ওমর (রাঃ) জমজমের পানি পান করতে করতে বলেন, ইয়া আল্লাহ! আমি কেয়ামতের দিন পিপাসা নিবারণের জন্য পান করতেছি।//

হাদীছে আছে, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের দিন জমজমের পানি খুব বেশী বেশী পান করেছেন এবং বলেছেন, আমার দেখাদেখি সকলেই শুরু করবে, নচেৎ আমি বালতি ভরে পান করতাম।
অন্য হাদিসে আছে, তিনি জমজমের পানি
চোখে দেন এবং মাথায় ঢালেন। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আরও বলেন, আমাদের এবং মোনাফেকদের মধ্যে পার্থক্য হল, আমরা জমজমের পানি পেট ভরিয়া পান করি আর তারা সাধারণভাবে পান করে।

হজরত মা আয়েশা (রাঃ) জমজমের পানি তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতেন এবং বলতেন, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও  জমজমের পানি সঙ্গে নিয়া যেতেন এবং রুগীদের উপর ছিটিয়ে দিতেন। তাহনীকের সময় অর্থাৎ বাচ্চার মুখের প্রথম খাদ্য খাওয়ানোর সময় হজরত হাছান হোসেনের মুখে জমজমের পানি দেয়া হয়।

মে'রাজের রাত্রে হজতর জিব্রাইল (আঃ) হুজুরের ছিনা চাক করে অর্থাৎ ছিনা ফেড়ে কলব জমজমের পানি দ্বারা ধুইয়েছিলেন। অথচ জিব্রাঈল (আঃ) বেহেশত হতে বোরাক, তশতরী আরও কতকিছু এনেছিলেন। ইচ্ছা করলে পানিও আনতে পারতেন। কিন্তু আনেননি।  ইহা হতে বড় ফজীলত আর কি হতে পারে?

হজরত ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বলেন, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম   জমজমের পানি পান করে এই দোয়া পড়তেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَزِرْنَا وَاسْعًا وَشِفَاء مِنْ

আল্লাহম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিজকান ওয়াসিয়ান ওয়া শিফাআন মিন কুল্লি দাঈ
كُلِّ دَاءٍ - "
অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমি আপনার  নিকট উপকারী এলেম, প্রশস্ত রিজিক ও যাবতীয় রোগ হতে শেফা চাইতেছি। //

হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন।

তারা আরও বলেছে, এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়
পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

ড.ইউনুস বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত আনার ব্যাপারে যা বললেন

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনুস বলেন, জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে।

গণআন্দোলনের মুখে পলায়ন  করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিটি হত্যার বিচার আমরা করবই। জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, তার কাজও বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব।”


কেবল দেশেই নয়, গুম, খুন ও জুলাই-অগাস্ট গণহত্যার সাথে জড়িতদের আমরা আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে আমার এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে।”


জাতির উদ্দেশে তার চতুর্থ ভাষণে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত সব অপকর্মের বিচার করার কথাও বলেন ইউনূস।//


তিনি বলেন, “কেবল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডই নয়, আমরা গত ১৫ বছরে সব অপকর্মের বিচার করব। অসংখ্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে এই সময়ে। আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি। কমিশন প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, অক্টোবর পর্যন্ত তারা ১,৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা এই সংখ্যা ৩,৫০০ ছাড়িয়ে যাবে।”


পরে আক্রান্ত হতে পারেন, এই ভয়ে অনেকে কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

 

তিনি গুমের শিকার পরিবারগুলোকে বলেন,

“আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা দ্বিধাহীন চিত্তে কমিশনকে আপনাদের অভিযোগ জানান। কারো সাধ্য নেই আপনাদের গায়ে আবার হাত দেয়,” অভয় দিয়ে বলেন তিনি।


গুম কমিশনে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “গুম কমিশনের সদস্যদের কাছে ভুক্তভোগীদের যে বিবরণ আমরা পেয়েছি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। জুলাই-অগাস্টের বিপ্লবের পর ছাত্রছাত্রীরা শহর বন্দরের দেয়ালে-দেয়ালে তাদের মনের কথা লিখেছে। তাদেরও আগে যারা গুমের শিকার হয়েছে, প্রতিটি গোপন আস্তানার দেয়ালে-দেয়ালে তারা লিখে গেছেন তাদের কষ্টের মর্মস্পর্শী বিবরণ। তাদের এসব কষ্টের কথা শুনে আমাদের হৃদয় কেঁপে উঠেছে।//


“এসবের সঙ্গে জড়িতদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবই। অভিযুক্ত যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 


ইউনূস বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। আপনারা দেখেছেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফলকার তুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন।


মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ”বিপ্লব চলাকালে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-শ্রমিক জনতার শহীদী মৃত্যু হয়। সরকার প্রতিটি মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত যত্নের সাথে জোগাড় করছে। এই বিপ্লবে আহত হয়েছে ১৯,৯৩১ জন। আহতদের জন্য ঢাকার ১৩টি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”


“জাতিসংঘ জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তারা আমাদেরকে তাদের রিপোর্ট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অতীতের গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত কাজেও আমরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করতে ঢাকায় তারা তাদের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।”


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

নবী করিম (সা:) এর রওজা জিয়ারতেও সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,"যে ব্যক্তি আমার জিয়ারত করল তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে গেল। "


নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আমার জিয়ারতের জন্য আসল, এতে তার অন্য কোন নিয়ত ছিল না, তার জন্য সুপারিশ করা আমার উপরে জরুরী হয়ে গেল। ""


পৃথিবীতে এমন কে আছে যার জন্য হাশরের ময়দানের মহাসংকটের দিন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুপারিশের প্রয়োজন হবে না। আর কত বড় ভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি যার জন্য  দয়ার নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুপারিশের জিম্মাদারী নিয়েছেন। //


হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম  সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, "আমার মৃত্যুর পর যে আমার জিয়ারত করিল সে যেন জীবিত অবস্থায়  আমার সাথে  জিয়ারত করল।" 


নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি হজ্ব করল আর আমার জিয়ারত  করল না  সে যেন আমার উপর জুলুম করল। "


আসলে নবী করিম  সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর তার উম্মতের জন্য যে অপরিসীম দয়া ও এহসান,  তা আমরা চিন্তাও করতে পারব না তাই ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির না হয়,এর চেয়ে জুলুমের কথা আর কি হতে পারে?


হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হিজরতের সময় মক্কা ছেড়ে  গেলেন,তখন মক্কার যাবতীয় বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল। আর যখন মদিনা পৌছলেন তখন সেখানকার যাবতীয় বস্তু  আলোকিত হয়ে গেল। 

নবী করিম  সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন মদিনা আমার ঘর, সেখানে আমার কবর হবে। //


একজন মুসলমান পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকুক না কেন, তার ভিতরে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য মহব্বত ভালোবাসা আছে। এবং প্রত্যেকেই এই স্বপ্ন লালন করেন জীবনে একবার হলেও তার রওজা জিয়ারত করবেন। সেই রওজা জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। রওজা জিয়ারতে এই নতুন নির্দেশনায় কোটি কোটি মুসলমানের কষ্টের কারন হবে। 


সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের গত শুক্রবারের ঘোষণায় বলা হয়, রওজা শরিফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম কমানোর লক্ষ্যে কিছু  নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আগাম অনুমতি ছাড়া রওজা শরিফে প্রবেশ করা যাবে না। আগের মতো অনুমতি ছাড়া প্রবেশের বিষয়টি আর বৈধ থাকবে না।

অর্থাৎ রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। জিয়ারতের সময় এক ঘণ্টায় সীমিত রাখা হবে। এবং বছরে একবারের বেশি রওজা শরিফ পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে না। অর্থাৎ মনে করেন আপনি দুবাইতে চাকরি করেন বছরে ২-৩ বার মদিনায় যান, কিন্তু নবীর রওজা জিয়ারত করতে পারবেন মাত্র একবার। কত বড় বদ নসীব। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমি মদিনায় ১২-১৪ দিন ছিলাম যেদিন আমার মদিনা থেকে চলে আসার দিন ছিল আমি নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা জিয়ারত করার পরে দোয়ায় এত কেদেছিলাম যা আমার কোন আত্নীয়র মৃত্যুতে কাদি নি।? //

সৌদি সরকারের রওজা জিয়ারত নতুন  নির্দেশনা কি? 


সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরিফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।


তাদের বক্তব্য হলো  অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।


হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরিফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।


সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের  মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ দেয়া হলো না। 


আমার মনে হয় সৌদি সরকার পর্যটক বাড়াবার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে আয় বেশি হয়। ওরা এখন খালি ধান্দা করে কিভাবে বেশি আয় হবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

জেল থেকে ইমরান খানের ফাইনাল আন্দোলনের ডাক

 জেল থেকে ইমরান খান ফাইনাল আন্দোলনের  ডাক দিয়েছেন তার দলের নেতা কর্মী এবং জনগণের প্রতি। 


পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা  পিটিআই এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন । কারাগারে বন্দি থেকেই একের পর এক আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আন্দোলন ও জনপ্রিয়তার কারণে রীতিমতো ক্ষমতাসীন দলের আতংকে পরিণত হয়েছেন তিনি। এবার কারাগার থেকেই  ‘আগামী  ২৪ নভেম্বর সারাদেশে চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তাঁর বোন আলেমা খান আদিয়ালা কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের জানান, সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অধিকার হরনের পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। এ নিয়ে ইসলামাবাদ অভিমুখে পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন ইমরান খান। এ কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।


ইমরানের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী বলেন, ইসলামাবাদ পদযাত্রার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। ২৪ নভেম্বর বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হবে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এবং বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হবে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, এটি প্রতিবাদের চূড়ান্ত ডাক। //


ডন জানায়, ইমরান খান এই আন্দোলনকে কারচুপি করা নির্বাচনী ফলাফল, অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের ২৬তম সাংবিধানিক সংশোধনী পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


বর্তমানে একাধিক আইনি মামলার সম্মুখীন ইমরান প্রতিবাদে কর্মসূচিতে দেশের সব নাগরিককে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিবাদটি শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়। এটি দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রামও হবে।  সারাদেশে একসঙ্গে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলেন তিনি।  


এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার সমর্থকরা দেশজুড়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি ও বারবার গ্রেপ্তার হচ্ছেন।//


ইমরান খানের বোন আলিমা খান বুধবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানান, এই আন্দোলনের ডাক সবার জন্য বিশেষত দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য। ইমরান খান বলেছেন, ‘এটি সেই মুহূর্ত যখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি সামরিক শাসনের অধীনে থাকতে চান, না কি স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচতে চান।’


অপরদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সহসভাপতি শেরি রেহমান,, ইমরান খানের এই আহ্বানকে ‘উসকানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পরিবর্তে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা।


ইমরান খানের এই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা বাড়িয়ে তুলেছে।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

ওমরাহ করা নিয়ে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম জেনে নিন

সৌদি আরবের হজ্জ মন্ত্রণালয়ের  নির্দেশনায় জানা গেছে, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। এখন থেকে ওমরাহ যাত্রীরা স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন এবং যে কোনো বিমানবন্দর থেকে স্বদেশে ফিরতে পারবেন। 


এছাড়া নারীদের ওমরাহর সুবিধার জন্যও নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। কিন্তু আমি যতটুকু জানি ইসলাম বৈধ পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের এই লম্বা সফর সমর্থন করে না, এর দ্বারা অনেক সময় নানা ধরনের অঘটন ঘটে। উপকারের পরিবর্তে অপকার হয়। তাই  হাক্কানী  অভিজ্ঞ আলেমের কাছে এই ব্যাপারে জানুন ইসলাম কি বলে? । বর্তমান সৌদি সরকার টাকা আয় করার জন্য অনেক কিছুই শিথিল করেছে।//


সৌদি  হজ্জ মন্ত্রণালয় ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এ নির্দেশনায় মক্কার মসজিদুল হারামে ওমরাহর তাওয়াফ ও সাঈ শেষ করার পর শুধু অনুমোদিত নাপিতের কাছেই চুল কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মক্কার আশপাশে নির্দিষ্ট নাপিতের দোকানে জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়, যা ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে তাদের ওমরাহ যাত্রা আরও নির্ভেজাল হবে।


স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।  


নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নাপিতের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কঠোর স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা ও শেভিং রেজার পুনরায় ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


এছাড়া ওই নির্দেশনায় ওমরাহ পালনকারীদের পায়ের যত্ন নিতে বলা হয়েছে। আরামদায়ক জুতা পরিধান করতে এবং দীর্ঘ সময় খালি পায়ে না হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্লান্তি এলে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওমরাহর সফরে ভারী খাবার এড়িয়ে চলতে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হয়েছে।


ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।  //


 আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ওমরাহর পর অন্য ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গোনাহের জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ বুখারি: ১৭৭৩)


নবী করিম (সা:) এরশাদ করেন, পর পর হজ্ব ও ওমরাহ করতে থাক। কেননা এই উভয় আমল গরীবী এবং গোনাসমুহ এমনভাবে দূর করিয়া দেয়, যেমন আগুন লোহা এবং স্বর্ন রুপার ময়লা পরিস্কার করে। (তিরমিজি)


হজরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হুজুর (ছঃ) এরশাদ করেন, হজ্ব এবং ওমরা করনেওয়ালা আল্লাহ্ পাকের প্রতিনিধি। তারা দোআ করলে আল্লাহ্ পাক কবুল করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে গোনাহ মাফ করিয়া দেন। অন্যত্র আছে, তিন প্রকারের লোক আল্লাহ্ প্রতিনিধি। মুজাহিদ,  হাজী এবং ওমরা করনেওয়ালা। 


ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালেক (রহ:) বলেন, সামর্থ থাকলে জীবনে কমপক্ষে একবার ওমরা করা ছুন্নত। ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ (রহ:) এর নিকট ওয়াজেব। 


বছরে পাঁচটি দিন ব্যতীত সারা বছর ওমরাহ পালন করা যায়। ওই পাঁচটি দিন হলো জিলহজ মাসের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ। এ দিনগুলোতে ওমরাহ করা মাকরুহ তাহরিমি। এ ছাড়া সারা বছরই ওমরাহ করা জায়েজ ও সওয়াবের কাজ।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

প্রবাসীদের জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে লাউঞ্জের উদ্বোধন করা হলো

এই প্রথমবারের মত প্রবাসীদের জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে লাউঞ্জ চালু করা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকরা বিশ্রাম করতে পারবেন এবং কম টাকায় খাবার খেতে পারবেন, খাবার পরিবেশনের জন্য ভর্তুকি দেবে সরকার। 


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস গত ১১ ই নভেম্বর  হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জের উদ্বোধন করেছেন।


ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তাঁরা বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমরা তাঁদের কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ।’" তিনি আরও বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জটি তাদের যাত্রা সহজ করবে।"


বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মিশনের উপপ্রধান ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালি বলেন, আইওএম-এর তত্ত্বাবধানে এ লাউঞ্জটি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের সহায়তার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।//


ফাতিমা নুসরাত আরও বলেন, "এটি সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টার একটি উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। বর্তমানে বিমানবন্দরে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রবাসীদের সহায়তার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এর পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করছেন।"


গত ৫ অক্টোবর বিমানবন্দরে বিশেষ লাউঞ্জের কথা  জানিয়েছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেদিন তিনি বলেছিলেন, লাউঞ্জ হলে প্রবাসী শ্রমিক ভাই-বোনদের যন্ত্রণা অনেক লাঘব হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যে ভিআইপি সুবিধা সেগুলোও থাকবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের মুহূর্ত থেকে প্লেনে ওঠার আগ পর্যন্ত যে লাউঞ্জ থাকে সেই পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের সঙ্গে একজন লোক থাকবে সহায়তার জন্য। আমরা মনে করি, এটি প্রবাসীদের প্রতি উদারতা নয়। এটি আমাদের দায়বদ্ধতা ওনাদের প্রতি। এটি বহু আগে করা উচিত ছিল।


অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক এবং দেশের কোটি কোটি প্রবাসীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "তারা বারবার তাদের দেশকে তাদের সময় ও শ্রম দিয়ে উৎসর্গ করেছেন।"


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকোর সম্পদ দেখাশুনার করার জন্য রিসিভার নিয়োগ দিল সরকার

গত ৫ ই সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি একত্র করে তা ব্যবস্থাপনায় ছয় মাসের জন্য একজন রিসিভার নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।


এর পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য “রিসিভার” নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার কাজ হবে বেক্সিমকো গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের নেওয়া অর্থ আদায় করতে ও বিদেশে পাঠানো অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়।//


রিসিভার হলেন একজন স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যাকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি, সাধারণ সম্পদ বা ব্যবসার কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই সমস্থ কাজ পরিচালনা করার জন্যই রিসিভার নিয়োগ 


গত সেপ্টেম্বর মাসে  বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা এবং এর সব সম্পদ জব্দের (ক্রোক) জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, গ্রুপটির মালিক সালমান এফ রহমানের বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত। এ আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে ব্যাংকটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।



বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল  বা আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন এর ওপর আজ ১২ ই নভেম্বর মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে লিভ টু আপিলটি করা হয়।//


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এখন কারাবন্দী। পোশাক রপ্তানি ও ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হলো  বেক্সিমকো।



এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের জন্য সহকারী রিসিভার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন- ড. সুমন্ত সাহা, সিএফএ অতিরিক্ত পরিচালক; মো. নাহিম উদ্দিন, সিএফএ, যুগ্ম পরিচালক এবং মো. আতিউর রহমান, উপ-পরিচালক।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

১৩ টি সরকারি বেসরকারি ব্যাংক মাত্রাতিরিক্ত ঋণ দিয়ে গ্রাহকদের টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে? ব্যাংকগুলো কি কি?

১৩ টি ব্যাংক মাত্রাতিরিক্ত ঋণ বিতরন করায় গ্রাহকদের জমানো টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আজকের পত্রিকায় এই ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। 


এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক সভাপতি আনিস  খান বলেন, সীমা অতিক্রম করে ঋণ বিতরণ করলে ব্যাংকের আমানত ঝুঁকিতে থাকবে। এডিআরের নীতিমালা অমান্য করলে ব্যাংকের কমপ্লায়েন্স লঙ্ঘিত হবে। আগ্রাসী ঋণ বিতরণ করলে তা আদায়ে সমস্যা দেখা দেবে।


এডিআর কি? অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিওর সংক্ষেপ হলো  এডিআর। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিমালা অনুযায়ী যে কোন ব্যাংককে বেধে দেয়া ঋণ বিতরণের নির্ধারিত সীমা  (এডিআর)। যেই সীমার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোনভাবেই বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিমালা অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংক ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা এবং ইসলামি ধারার ব্যাংক ৯২ টাকা ঋণ দিতে পারে। একে ব্যাংকিং পরিভাষায় এডিআর বা ঋণ-আমানত অনুপাত সীমা বলা হয়।//


কোন ব্যাংক এডিআর সীমা লঙ্ঘন করলে হস্তক্ষেপের সুযোগ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেখানে শৈথিল্য দেখিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের শৈথিল্যই এর কারণ। এইভাবেই অনুমোদিত সীমার বেশি ঋণ বিতরণ করে ফেঁসে গেছে সরকারি-বেসরকারি খাতের ১৩ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ এর জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা থেকে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জনগণের কাছ থেকে আমানত তুলে এসব ব্যাংক বেশি লাভের আশায়, যাকে-তাকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ দিয়েছে। এতে ভেঙে পড়েছে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের নির্ধারিত সীমা বা অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) শৃঙ্খলা।তবে শঙ্কা এবং ভয়ের খবর হচ্ছে, চেষ্টা করেও ওই ঋণ ব্যাংকের ভল্টে ফেরানো যাচ্ছে না।


এদিকে ঋণ আদায় না হওয়ায় বেশির ভাগ ব্যাংক এখন liquid money বা তারল্যসংকটের ভুগছে। এতে আমানতকারীর সঞ্চিত অর্থ ফেরত পাওয়ায় যেমন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, তেমনি ব্যাংকগুলোও বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের অন্য ব্যাংকগুলো এই অবস্থা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। //


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, প্রচলিত ধারার ন্যাশনাল ব্যাংক সীমার চেয়ে ১৭ টাকা বেশি ঋণ দিয়েছে। এতে ন্যাশনাল ব্যাংকের এডিআর সীমা দাঁড়িয়েছে ১০৩ দশমিক ৬৪ শতাংশে। এ বাস্তবতায় ব্যাংকটি এখন গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। পদ্মা ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে ৯১ দশমিক ৪১ শতাংশ। সীমার বেশি ঋণ দিলেও ব্যাংকটি এখন তা আদায় করতে পারছে না। আবার গ্রাহকের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। এভাবে  যে সমস্ত ব্যাংক ঋণ দিয়ে বিপদে  পড়েছে সেই ব্যাংকগুলো হলো 

সরকারি ব্যাংক হিসেবে আছে  ১৩) জনতা ব্যাংক। বাকীগুলো সব বেসরকারি ব্যাংক 


১) এবি ব্যাংকের ২) বেসিক ব্যাংক ৩) ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ৪) ইউনিয়ন ব্যাংক  ৫) স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৬) গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৭) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৮) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৯) এক্সিম ব্যাংক ১০) বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ১১) ন্যাশনাল ব্যাংক ১২) পদ্মা ব্যাংক 


এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত এডিআর তদারক করে। সীমা লঙ্ঘন করলে জরিমানাসহ শাস্তি দেওয়া হয়।


কিন্তু ১৩ টি ব্যাংকের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বিগত সরকারের সময়ে উদাসীন থেকেছে। একজন বিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন বাংলাদেশ যাতে আস্তে আস্তে দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিনত হয় এবং অর্থনৈতিক ভাবে গ্রাহক ও রাষ্ট্র নিস্ব হয় সেজন্যই এইসব করা হয়েছে। আমরা আশা করব প্রফেসরের ইউনুসের সরকার এই সমস্থ অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে যাতে ভবিষ্যতে আর কোন ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে না যায়। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪

আজ  আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। আমেরিকনরা ৪ বছরের জন্য একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। প্রেসিডেন্ট যেই হোক ফিলিস্তিনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আর আমার বিশ্বাস আমেরিকনরা একজন  পুরষের পরিবর্তে  

মহিলাকে নির্বাচিত করবে না, অর্থাৎ ট্রাম্পেরই বিজয়ী হবার সম্ভাবনা বেশি। যাহোক আমরা আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি এবং ইলেক্ট্রোরাল ভোট সম্পর্কে আলোচনা করি। 


প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে অতীতের মতো এবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে। রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে এবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।


মার্কিন নাগরিকরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে নির্বাচিত করে। ইলেক্টোরাল কলেজ' হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের 'ইলেকটরস' বলা হয়। 

ইলেক্টোরাল কলেজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় আইনের একটি জটিল ব্যবস্থা, যা দেশটির সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত। ‘কলেজ’ শব্দটির অর্থ এখানে সেই ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যারা একটি অঙ্গরাজ্যের ভোট দেওয়ার অধিকারী। এরা এক কথায় নির্বাচক মণ্ডলী। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছাই করেন।এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এর পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নিবেন মার্কিন নাগরিকরা। //


আমেরিকার নির্বাচনে ইলেকটোরাল  ভোটসংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে আছে সর্বোচ্চ ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট। আবার আলাস্কা, সাউথ ডাকোটা, ভারমন্টের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতিটিতে রয়েছে ৩টি করে ইলেকটোরাল ভোট।সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের হাতে থাকা ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীকেই দেয়, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।


যে বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, সেই বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। সেই হিসেবে আজ আমেরিকায় ভোট গ্রহন চলছে। 


সাধারণত নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই জয়লাভ করেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী বেশি সংখ্যক ভোটারের ভোট পাওয়ার পরও বিজয়ী নাও হতে পারেন।যেমন ছিলেন আল গোর তিনি বেশি ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেননি। 


এই কারণ দেশটিতে ভোটাররা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয় ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ একটি ব্যবস্থায়। //


ধরুন  টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫১% পেয়েছেন, তাকে ওই অঙ্গরাজ্যের হাতে থাকা ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলিই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন।

একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও বিজয়ীপ্রার্থী ওই নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন বেশি পাবেন না। 



অর্থ্যাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ হলো একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। দেশটিতে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি।


কোন অঙ্গরাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট থাকবে, তা নির্ধারিত হয় সেখানে কতটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে। প্রতিটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের জন্য একটি করে ভোট এবং দুজন সিনেটরের জন্য দুটি ভোট বরাদ্দ থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫২টি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে। অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর মতোই সেখানেও রয়েছে ২টি সিনেট আসন। ফলে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যটির মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৪টি।


ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুযায়ী যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটও বেশি।

ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, ইলিনয়, পেনসিলভানিয়া—এই ছয় অঙ্গরাজ্যের হাতেই রয়েছে ১৯১টি ইলেকটোরাল কলেজ। উইনার "টেক ইট অল’ নীতির কারণে এই ছয় অঙ্গরাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ যিনি ভবিষ্যতের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এই ছয় অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট পেতে আপ্রাণ চেষ্টা  করেন। //


মাইন ও নেব্রাসকা- এই দু’টি অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিয়ে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পাবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর বিজয়ী প্রার্থীর  রানিং মেট হবেন দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট।



সাধারণ ভোটারদের ভোটে পিছিয়ে থেকেও ইলেকটোরাল ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত পাঁচজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, যার মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জ ডব্লিউ বুশও রয়েছেন। 


২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনায়। দুই প্রার্থীর মধ্যে মাত্র কয়েকশ' ভোটের ব্যবধান ছিল।


এ নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনি যুদ্ধ, যার পরিণামে ভোট পুনর্গণনা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। অবশেষে বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডা রাজ্যের ২৫টি ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলো পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ টি এবং তার বিজয় নিশ্চিত হয়। আল গোর জনগণের  ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন। //



আমেরিকায় বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই আমেরিকান ভোটাররা প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে থাকেন। আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় 'রেড স্টেট' বা 'লাল রাজ্য' আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় 'ব্লু স্টেট' বা 'নীল রাজ্য'।


ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রসিডেন্ট প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোন শিবিরে যেতে পারে।


ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু ‘সুইং স্টেট’এর দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। এগুলোই হল আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনি রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে 'বেগুনি রাজ্য'।২০১৬ সালের নির্বাচনে এভাবেই ‘ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল

অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলি ।//


ইলেক্টোরাল ভোটে যদি কোনো প্রার্থী এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান বা টাই হলে তখন কি হবে? সেক্ষেত্রে মার্কিন আইন সভার নিম্ন-কক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।


এক্ষেত্রে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শীর্ষ তিন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাছাই করে থাকেন। বাকি দুইজন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেয় দেশটির সিনেট।যদিও এরকম ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে একবারই ঘটেছে। 


আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি ইলেকটোরাল ভোট গণনার পর ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামী কখন রাজনীতি করার সুযোগ পায়? এবং কে দেন সেই সুযোগ?

১৯৪১ সালের ২৬ অগাস্ট জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। লাহোরের ইসলামিয়া পার্কে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের ধর্মীয় রাজনীতিক আবুল আলা মওদুদী । তখন দলটির নাম ছিল জামায়াতে ইসলামী হিন্দ বা জামায়াতে ইসলামী ভারত।   পরের বছর জামায়াতের সদর দপ্তর লাহোর থেকে ভারতের পাঠানকোটে নেয়া হয়। 


১৯৪৫  সালে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এর প্রথম কনভেনশন হয় অবিভক্ত ভারতে এবং এর দু'বছর পর দেশভাগের আগ পর্যন্ত এই সংগঠনটি ১৯৪৭ সালে ভারতের মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে  পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলো।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর দলটির প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে যান। //


বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ১৯৫৮ সালে অন্য সব দলের সাথে পাকিস্তানে জামায়াতের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করেন তখনকার সেনা শাসক আইয়ুব খান। 


 মুসলিম পারিবারিক আইন ও শিক্ষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় দলটি।

বিশেষ করে মুসলিম পারিবারিক আইন নিয়ে তুমুল সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতাও তৈরি হয়। অধ্যাদেশের বিরোধিতার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতকে আবার নিষিদ্ধ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।

মওদুদী ও গোলাম আজমসহ অনেককে আটক করা হয়। একই বছরের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৫১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র চারটি আসন পায় দলটি।


মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার জামায়াতসহ ছয়টি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় জামায়াতও এর আওতায় পড়ে।//


বাংলাদেশের বিরোধিতা ও গণহত্যায় সহায়তার জন্য ১৯৭৩ সালে যে ৩৮ জনের নাগরিকত্ব বাংলাদেশ সরকার বাতিল করেছিলো গোলাম আজমও ছিলেন তার একজন। 


বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট  জিয়াউর রহমান  ববহুদলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তন করেন আবার জামায়াতকে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ করে দেন।  জিয়ার সরকার রাজনৈতিক দল সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনায়, ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামীর আবার পুনরুজ্জীবন ঘটে। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ বা আইডিএল থেকে নেতাকর্মীরা জামায়াতে ফেরেন। সেই সুযোগে গোলাম আযম ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে দলের আমির হন। কিন্তু নাগরিকত্ব না থাকায় তা গোপন রাখা হয়। ভারপ্রাপ্ত আমির হন আব্বাস আলী খান। //


পরে ১৯৯২ সালেই জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন গোলাম আযম। ১৯৯৪ সালে উচ্চ আদালত তাঁকে নাগরিকত্ব দেন। 


২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় গেলে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রিত্ব পান। স্বাধীন বাংলাদেশে এটাই জামায়াতের প্রথম সরকারে অংশগ্রহণ।



২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয় এবং গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংস্কার করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি আসন পায় জামায়াত। এরপর তারা আর কোনো ভোটে অংশ নিতে পারেনি।


সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১শে জুলাই জামায়াতে ইসলামীকে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে  নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।