বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪

আজ  আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। আমেরিকনরা ৪ বছরের জন্য একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। প্রেসিডেন্ট যেই হোক ফিলিস্তিনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আর আমার বিশ্বাস আমেরিকনরা একজন  পুরষের পরিবর্তে  

মহিলাকে নির্বাচিত করবে না, অর্থাৎ ট্রাম্পেরই বিজয়ী হবার সম্ভাবনা বেশি। যাহোক আমরা আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি এবং ইলেক্ট্রোরাল ভোট সম্পর্কে আলোচনা করি। 


প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে অতীতের মতো এবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে। রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে এবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।


মার্কিন নাগরিকরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে নির্বাচিত করে। ইলেক্টোরাল কলেজ' হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের 'ইলেকটরস' বলা হয়। 

ইলেক্টোরাল কলেজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় আইনের একটি জটিল ব্যবস্থা, যা দেশটির সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত। ‘কলেজ’ শব্দটির অর্থ এখানে সেই ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যারা একটি অঙ্গরাজ্যের ভোট দেওয়ার অধিকারী। এরা এক কথায় নির্বাচক মণ্ডলী। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছাই করেন।এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এর পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নিবেন মার্কিন নাগরিকরা। //


আমেরিকার নির্বাচনে ইলেকটোরাল  ভোটসংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে আছে সর্বোচ্চ ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট। আবার আলাস্কা, সাউথ ডাকোটা, ভারমন্টের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতিটিতে রয়েছে ৩টি করে ইলেকটোরাল ভোট।সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের হাতে থাকা ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীকেই দেয়, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।


যে বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, সেই বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। সেই হিসেবে আজ আমেরিকায় ভোট গ্রহন চলছে। 


সাধারণত নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই জয়লাভ করেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী বেশি সংখ্যক ভোটারের ভোট পাওয়ার পরও বিজয়ী নাও হতে পারেন।যেমন ছিলেন আল গোর তিনি বেশি ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেননি। 


এই কারণ দেশটিতে ভোটাররা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয় ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ একটি ব্যবস্থায়। //


ধরুন  টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫১% পেয়েছেন, তাকে ওই অঙ্গরাজ্যের হাতে থাকা ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলিই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন।

একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও বিজয়ীপ্রার্থী ওই নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন বেশি পাবেন না। 



অর্থ্যাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ হলো একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। দেশটিতে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি।


কোন অঙ্গরাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট থাকবে, তা নির্ধারিত হয় সেখানে কতটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে। প্রতিটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের জন্য একটি করে ভোট এবং দুজন সিনেটরের জন্য দুটি ভোট বরাদ্দ থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫২টি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে। অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর মতোই সেখানেও রয়েছে ২টি সিনেট আসন। ফলে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যটির মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৪টি।


ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুযায়ী যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটও বেশি।

ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, ইলিনয়, পেনসিলভানিয়া—এই ছয় অঙ্গরাজ্যের হাতেই রয়েছে ১৯১টি ইলেকটোরাল কলেজ। উইনার "টেক ইট অল’ নীতির কারণে এই ছয় অঙ্গরাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ যিনি ভবিষ্যতের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এই ছয় অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট পেতে আপ্রাণ চেষ্টা  করেন। //


মাইন ও নেব্রাসকা- এই দু’টি অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিয়ে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পাবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর বিজয়ী প্রার্থীর  রানিং মেট হবেন দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট।



সাধারণ ভোটারদের ভোটে পিছিয়ে থেকেও ইলেকটোরাল ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত পাঁচজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, যার মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জ ডব্লিউ বুশও রয়েছেন। 


২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনায়। দুই প্রার্থীর মধ্যে মাত্র কয়েকশ' ভোটের ব্যবধান ছিল।


এ নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনি যুদ্ধ, যার পরিণামে ভোট পুনর্গণনা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। অবশেষে বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডা রাজ্যের ২৫টি ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলো পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ টি এবং তার বিজয় নিশ্চিত হয়। আল গোর জনগণের  ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন। //



আমেরিকায় বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই আমেরিকান ভোটাররা প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে থাকেন। আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় 'রেড স্টেট' বা 'লাল রাজ্য' আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় 'ব্লু স্টেট' বা 'নীল রাজ্য'।


ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রসিডেন্ট প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোন শিবিরে যেতে পারে।


ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু ‘সুইং স্টেট’এর দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। এগুলোই হল আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনি রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে 'বেগুনি রাজ্য'।২০১৬ সালের নির্বাচনে এভাবেই ‘ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল

অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলি ।//


ইলেক্টোরাল ভোটে যদি কোনো প্রার্থী এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান বা টাই হলে তখন কি হবে? সেক্ষেত্রে মার্কিন আইন সভার নিম্ন-কক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।


এক্ষেত্রে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শীর্ষ তিন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাছাই করে থাকেন। বাকি দুইজন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেয় দেশটির সিনেট।যদিও এরকম ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে একবারই ঘটেছে। 


আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি ইলেকটোরাল ভোট গণনার পর ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামী কখন রাজনীতি করার সুযোগ পায়? এবং কে দেন সেই সুযোগ?

১৯৪১ সালের ২৬ অগাস্ট জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। লাহোরের ইসলামিয়া পার্কে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের ধর্মীয় রাজনীতিক আবুল আলা মওদুদী । তখন দলটির নাম ছিল জামায়াতে ইসলামী হিন্দ বা জামায়াতে ইসলামী ভারত।   পরের বছর জামায়াতের সদর দপ্তর লাহোর থেকে ভারতের পাঠানকোটে নেয়া হয়। 


১৯৪৫  সালে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এর প্রথম কনভেনশন হয় অবিভক্ত ভারতে এবং এর দু'বছর পর দেশভাগের আগ পর্যন্ত এই সংগঠনটি ১৯৪৭ সালে ভারতের মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে  পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলো।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর দলটির প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে যান। //


বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ১৯৫৮ সালে অন্য সব দলের সাথে পাকিস্তানে জামায়াতের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করেন তখনকার সেনা শাসক আইয়ুব খান। 


 মুসলিম পারিবারিক আইন ও শিক্ষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় দলটি।

বিশেষ করে মুসলিম পারিবারিক আইন নিয়ে তুমুল সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতাও তৈরি হয়। অধ্যাদেশের বিরোধিতার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতকে আবার নিষিদ্ধ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।

মওদুদী ও গোলাম আজমসহ অনেককে আটক করা হয়। একই বছরের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৫১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র চারটি আসন পায় দলটি।


মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার জামায়াতসহ ছয়টি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় জামায়াতও এর আওতায় পড়ে।//


বাংলাদেশের বিরোধিতা ও গণহত্যায় সহায়তার জন্য ১৯৭৩ সালে যে ৩৮ জনের নাগরিকত্ব বাংলাদেশ সরকার বাতিল করেছিলো গোলাম আজমও ছিলেন তার একজন। 


বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট  জিয়াউর রহমান  ববহুদলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তন করেন আবার জামায়াতকে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ করে দেন।  জিয়ার সরকার রাজনৈতিক দল সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনায়, ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামীর আবার পুনরুজ্জীবন ঘটে। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ বা আইডিএল থেকে নেতাকর্মীরা জামায়াতে ফেরেন। সেই সুযোগে গোলাম আযম ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে দলের আমির হন। কিন্তু নাগরিকত্ব না থাকায় তা গোপন রাখা হয়। ভারপ্রাপ্ত আমির হন আব্বাস আলী খান। //


পরে ১৯৯২ সালেই জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন গোলাম আযম। ১৯৯৪ সালে উচ্চ আদালত তাঁকে নাগরিকত্ব দেন। 


২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় গেলে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রিত্ব পান। স্বাধীন বাংলাদেশে এটাই জামায়াতের প্রথম সরকারে অংশগ্রহণ।



২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয় এবং গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংস্কার করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি আসন পায় জামায়াত। এরপর তারা আর কোনো ভোটে অংশ নিতে পারেনি।


সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১শে জুলাই জামায়াতে ইসলামীকে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে  নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।