নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,"যে ব্যক্তি আমার জিয়ারত করল তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে গেল। "
নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আমার জিয়ারতের জন্য আসল, এতে তার অন্য কোন নিয়ত ছিল না, তার জন্য সুপারিশ করা আমার উপরে জরুরী হয়ে গেল। ""
পৃথিবীতে এমন কে আছে যার জন্য হাশরের ময়দানের মহাসংকটের দিন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুপারিশের প্রয়োজন হবে না। আর কত বড় ভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি যার জন্য দয়ার নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুপারিশের জিম্মাদারী নিয়েছেন। //
হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, "আমার মৃত্যুর পর যে আমার জিয়ারত করিল সে যেন জীবিত অবস্থায় আমার সাথে জিয়ারত করল।"
নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি হজ্ব করল আর আমার জিয়ারত করল না সে যেন আমার উপর জুলুম করল। "
আসলে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তার উম্মতের জন্য যে অপরিসীম দয়া ও এহসান, তা আমরা চিন্তাও করতে পারব না তাই ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির না হয়,এর চেয়ে জুলুমের কথা আর কি হতে পারে?
হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হিজরতের সময় মক্কা ছেড়ে গেলেন,তখন মক্কার যাবতীয় বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল। আর যখন মদিনা পৌছলেন তখন সেখানকার যাবতীয় বস্তু আলোকিত হয়ে গেল।
নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন মদিনা আমার ঘর, সেখানে আমার কবর হবে। //
একজন মুসলমান পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকুক না কেন, তার ভিতরে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য মহব্বত ভালোবাসা আছে। এবং প্রত্যেকেই এই স্বপ্ন লালন করেন জীবনে একবার হলেও তার রওজা জিয়ারত করবেন। সেই রওজা জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। রওজা জিয়ারতে এই নতুন নির্দেশনায় কোটি কোটি মুসলমানের কষ্টের কারন হবে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের গত শুক্রবারের ঘোষণায় বলা হয়, রওজা শরিফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম কমানোর লক্ষ্যে কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আগাম অনুমতি ছাড়া রওজা শরিফে প্রবেশ করা যাবে না। আগের মতো অনুমতি ছাড়া প্রবেশের বিষয়টি আর বৈধ থাকবে না।
অর্থাৎ রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। জিয়ারতের সময় এক ঘণ্টায় সীমিত রাখা হবে। এবং বছরে একবারের বেশি রওজা শরিফ পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে না। অর্থাৎ মনে করেন আপনি দুবাইতে চাকরি করেন বছরে ২-৩ বার মদিনায় যান, কিন্তু নবীর রওজা জিয়ারত করতে পারবেন মাত্র একবার। কত বড় বদ নসীব। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমি মদিনায় ১২-১৪ দিন ছিলাম যেদিন আমার মদিনা থেকে চলে আসার দিন ছিল আমি নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা জিয়ারত করার পরে দোয়ায় এত কেদেছিলাম যা আমার কোন আত্নীয়র মৃত্যুতে কাদি নি।? //
সৌদি সরকারের রওজা জিয়ারত নতুন নির্দেশনা কি?
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরিফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাদের বক্তব্য হলো অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরিফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।
সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ দেয়া হলো না।
আমার মনে হয় সৌদি সরকার পর্যটক বাড়াবার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে আয় বেশি হয়। ওরা এখন খালি ধান্দা করে কিভাবে বেশি আয় হবে।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন