সৌদি আরবের হজ্জ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জানা গেছে, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। এখন থেকে ওমরাহ যাত্রীরা স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন এবং যে কোনো বিমানবন্দর থেকে স্বদেশে ফিরতে পারবেন।
এছাড়া নারীদের ওমরাহর সুবিধার জন্যও নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। কিন্তু আমি যতটুকু জানি ইসলাম বৈধ পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের এই লম্বা সফর সমর্থন করে না, এর দ্বারা অনেক সময় নানা ধরনের অঘটন ঘটে। উপকারের পরিবর্তে অপকার হয়। তাই হাক্কানী অভিজ্ঞ আলেমের কাছে এই ব্যাপারে জানুন ইসলাম কি বলে? । বর্তমান সৌদি সরকার টাকা আয় করার জন্য অনেক কিছুই শিথিল করেছে।//
সৌদি হজ্জ মন্ত্রণালয় ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এ নির্দেশনায় মক্কার মসজিদুল হারামে ওমরাহর তাওয়াফ ও সাঈ শেষ করার পর শুধু অনুমোদিত নাপিতের কাছেই চুল কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মক্কার আশপাশে নির্দিষ্ট নাপিতের দোকানে জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়, যা ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে তাদের ওমরাহ যাত্রা আরও নির্ভেজাল হবে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নাপিতের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কঠোর স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা ও শেভিং রেজার পুনরায় ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া ওই নির্দেশনায় ওমরাহ পালনকারীদের পায়ের যত্ন নিতে বলা হয়েছে। আরামদায়ক জুতা পরিধান করতে এবং দীর্ঘ সময় খালি পায়ে না হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্লান্তি এলে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওমরাহর সফরে ভারী খাবার এড়িয়ে চলতে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হয়েছে।
ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। //
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ওমরাহর পর অন্য ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গোনাহের জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ বুখারি: ১৭৭৩)
নবী করিম (সা:) এরশাদ করেন, পর পর হজ্ব ও ওমরাহ করতে থাক। কেননা এই উভয় আমল গরীবী এবং গোনাসমুহ এমনভাবে দূর করিয়া দেয়, যেমন আগুন লোহা এবং স্বর্ন রুপার ময়লা পরিস্কার করে। (তিরমিজি)
হজরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হুজুর (ছঃ) এরশাদ করেন, হজ্ব এবং ওমরা করনেওয়ালা আল্লাহ্ পাকের প্রতিনিধি। তারা দোআ করলে আল্লাহ্ পাক কবুল করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে গোনাহ মাফ করিয়া দেন। অন্যত্র আছে, তিন প্রকারের লোক আল্লাহ্ প্রতিনিধি। মুজাহিদ, হাজী এবং ওমরা করনেওয়ালা।
ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালেক (রহ:) বলেন, সামর্থ থাকলে জীবনে কমপক্ষে একবার ওমরা করা ছুন্নত। ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ (রহ:) এর নিকট ওয়াজেব।
বছরে পাঁচটি দিন ব্যতীত সারা বছর ওমরাহ পালন করা যায়। ওই পাঁচটি দিন হলো জিলহজ মাসের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ। এ দিনগুলোতে ওমরাহ করা মাকরুহ তাহরিমি। এ ছাড়া সারা বছরই ওমরাহ করা জায়েজ ও সওয়াবের কাজ।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন