সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের ওপর আরোপিত সব সম্পর্কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় এবং সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ ২০১৫ সালের আগের সেই স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পাকিস্তান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা গণমাধ্যমকে বলেন, এক সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু এটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চান। সে দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি পুরোটাই একাডেমিক, এর বাইরে কোনো কিছু নেই।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রায় এক দশক পর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। //
পাকিস্তানে কিছু কিছু ভালো ভালো ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে,
বিশ্ব রেংকিং এ তারা ঢাকা ইউনিভার্সিটির চেয়ে এগিয়ে আছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে ভালো ইউনিভার্সিটি হল :
কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় ... ১৯৬৭ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ আছে।
পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত, পাকিস্তানের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।
ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার,যা ফয়সালাবাদে অবস্থিত।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্সে এন্ড টেকনোলজি (NUST) ইসলামাবাদে অবস্থিত, পাকিস্তানের একটি বিশিষ্ট পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়।
আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রথম পছন্দ।
বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭৪ সালে মুলতানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু এটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন সুফি সাধক হযরত বাহা-উদ-দিন জাকারিয়ার নামে।
লাহোর ইউনিভার্সিটি
কেন পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল?
২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আ স ম আরেফিন সিদ্দিক প্রশাসন। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক এক্সচেঞ্জ বা সমঝোতা স্মারক নতুন করে সই হবে না এবং যেগুলো আছে, সেগুলোও স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি ১৯৫ পাকিস্তানির বিচার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো ও পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সিন্ডিকেট সভা থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সেসময় সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এ দেশে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়ে তারা অস্বীকার করেছে। যতদিন পর্যন্ত তারা গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে না, ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ঢাবি কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখবে না। নতুন করে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবেন না। একইভাবে তাদের কোনো ছাত্রও আমরা নেব না।
আজ এই পর্যন্তই!
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন