গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে বেক্সিমকোর ৪০ হাজার শ্রমিকের যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল, তার প্রায় ৪০ শতাংশের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বেক্সিমকোতে ৪০ হাজার শ্রমিক থাকার কথা বলা হলেও প্রাথমিক তদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, এর প্রায় ৪০ শতাংশ শ্রমিকের কোনো অস্তিত্ব নেই। অনেক তথ্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যা অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।আসলে আমরা যারা বেক্সিমকোর ব্যপারে জানিনা, তারা দূর থেকেই শুনে আসছি, যে কেউ বলছে ৮০,০০০ শ্রমিক, কেউ বলে ৭০,০০০ আবার কেউ বলে ৬০,০০০, ইদানীং বলা হচ্ছে ৪০,০০০। বানিজ্য উপদেষ্টার কথা মতো ৪০,০০০ এর ৪০% যদি না থেকে থাকে, তাহলে বেক্সিমকোর মোট শ্রমিকের সংখ্যা ১৬,০০০ এর ও কম। আসলে এতদিন অতিরঞ্জিত করেই বলা হচ্ছিল, এত এত শ্রমিক, আসলে বাস্তবে নাই।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, "প্রথমে আমরা জানতে পারি যে তাদের ২৩ হাজার কোটি টাকার দেনা রয়েছে। পরে দেখি, প্রকৃতপক্ষে এই দায়ের পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। শুরুতে ২৩ হাজার কোটি টাকা দেনা হিসাব করেই প্রতিষ্ঠানটি কোনোভাবে চালু করা যায় কিনা আমরা চেষ্টা করেছিলাম। তিনি বলেন, সরকার অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার জন্য, কারণ এটি একটি জাতীয় সম্পদ। তবে দুঃখজনকভাবে, সরকার বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা পায়নি।
পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতার কারণে সরকারকে বেক্সিমকোতে প্রশাসক নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু প্রশাসককে কোনো ধরনের সহায়তা করা হয়নি। বরং জানানো হয়েছে যে, আইনজীবীর নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো তথ্য শেয়ার করা যাবে না।"
আজ এই পর্যন্তই
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন