শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫

সেভেন সিস্টার্সকে বাঁচাতেই মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করে ভারত: সারজিস

গতকাল চট্টগ্রামে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত ‘ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কসারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন‍্য নয়, সেভেন সিস্টারসকে বাঁচাতেই ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল। সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগের মাধ‍্যমে ভারত দীর্ঘদিন আমাদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ভুল করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আসলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি,  বাংলাদেশের ব্যাপারে পাকিস্তান ছিল অদূরদর্শী কিন্তু ভারত সেখানে অনেক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি থাকার পরও তারা বাংলাদেশের মানুষকে সমান অধিকার  দূরের কথা সামান্য অধিকারও দেয়নি, অথচ বাংলাদেশে যে  উপজাতিরা  থাকে তারা আমাদের সমস্ত সমগ্র জনসংখ্যার ১ শতাংশও না। অথচ তাদেরকে যেই সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় পাকিস্তান যদি আমাদেরকে সেই  সুযোগ সুবিধাও দিত তাহলে যুদ্ধ হত না। আর পাকিস্তানও বাংলাদেশকে হারাত না, বাংলাদেশকে হারালে তাদের কি ক্ষতি হবে এই বিষয়ে তাদের কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। আসলে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে অনেক দূর থেকে এসে দমিয়ে রাখা কঠিন। //

এখন আসা যাক বাংলাদেশ তার বাংলাদেশের উপজাতিদের সাথে কেমন ব্যবহার করে, আমি সম্ভবত ১৯৯২ ৯৩ সালের কথা বলছি। বুয়েটে  কম্পিউটার সাইন্স চালু হয়  ২০ টা আসন নিয়ে তার মধ্যে ১৮ টা ছিল বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের জন্য  আর ২টা আসন ছিল উপজাতীয় কোটায় উপজাতিদের জন্য, অথচ তাদের চেয়ে হাজার হাজার মেধাবী  ছাত্র থাকার পরেও কোটার কারণে তারা ভর্তি হতে পারেনি। বাংলাদেশের উপজাতিরা আকারে খাটো হবার পরেও আইন পরিবর্তন করে বিভিন্ন বাহিনীতে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশের বাঙালিরা তাদের চেয়ে লম্বা হওয়ার পরও কোটার কারণে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়।  আর একটা একটা উদাহরণ দেই যা বিশ্বে বিরল,  আপনি একজন বাংলাদেশী হিসাবে আপনি অধিকার রাখেন যে আপনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলার যে কোন জেলায় জমি কিনবেন কিন্তু একজন বাংলাদেশের বাঙালি হিসেবে আপনার সেই অধিকার নেই, আপনি বাংলাদেশের তিন জেলায় জমি কিনতে পারবেন না  ওই জেলা তিনটা হলো   রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। কিন্তু বাংলাদেশের উপজাতিরা বাংলাদেশের ৬৪ জেলায়ই জমি কিনতে পারবেন। তাদের কোন বাধা নেই,কিরকম বৈষম্যমুলক আইন।  এরকম বিরল আইন  পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কিনা সন্দেহ। এইসব চিন্তা করলে পাকিস্তান আমাদেরকে সামান্যতম সুযোগ সুবিধা দেয়নি অথচ  সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশ থেকে।

কিন্তু পাকিস্তানের চেয়ে চীন  অনেক বেশি দূরদর্শী ছিল তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় চীন মনে সবচেয়ে বেশি  কষ্ট পেয়েছিল।  এবং এই কারণে  তারা সবার শেষে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে, ভারতের বর্তমান মানচিত্র এতদিনে হয়তো পরিবর্তন হয়ে যেত। 

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন