শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেক্সিমকোর শ্রমিকদের দাবিগুলো ‘অত্যন্ত অযৌক্তিক’ এবং বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ধ কারখানাগুলো পুনরায় চালু করা সম্ভব নয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, বেশ কিছু দিন আমরা একটা শান্ত পরিবেশে ছিলাম। হঠাৎ গতকাল তারা (বেক্সিমকোর শ্রমিকরা) সমাবেশ করে বলেছে তাদের তিনটা দাবি। দাবিগুলো আমার মনে হয় কোনো সরকারের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। অত্যন্ত অযৌক্তিক এসব দাবি। তারপরও তারা বলেছে মানববন্ধন করবে রাস্তাঘাট বন্ধ করবে। তারা করেছেও, আমরা কিছু বলিনি। পুলিশ মোতায়েন ছিল, আর্মি মোতায়েন ছিল, তারাও তাদের বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম তাদের (শ্রমিকদের) নেতা যারা আছেন তারা অত্যন্ত রেসপনসিবল। মনে করেছি এবং এখনো মনে করি তারা রেসপনসিবল হিসেবে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবে। তাতে কোনো আপত্তি নেই। //
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত আরও বলেন, তারা যা করেছে আপনারা তা জানেন। ১০০টির বেশি বাস জ্বালানো হয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। এটি করার কথা ছিল না। এটি কখনো হয়নি। হঠাৎ করে এটি কেন হলো, তা আমরা খতিয়ে বের করবো।
‘আমি মনে করি এটি করে তারা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। শ্রমিকদের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা টোটালি ফলস কাজ করেছেন। তারা দেশবাসীর জন্য বড় সংকট তৈরি করতে যাচ্ছিল’- বলেন শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, চরম ধৈর্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেই ধৈর্যের মর্যাদা তারা (শ্রমিকরা) রাখেননি। এখন পর্যন্ত তো কারও গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। এখন তো দেখছি এটি আমাদের দুর্বলতা মনে করেছে । অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশকে মেরেছে। এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে।//
বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা পুনরায় চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কী দিয়ে করব, হাউ?’
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, তাহলে কি বায়াররা আসতে পারবেন না- এমন প্রশ্নে বেক্সিমকোর আর্থিক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বায়াররা আসতে পারবে না, এই কারণে যে এই সম্পদের দায় কে নেবে? এই অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব কী? আপনি চালাবেন?
২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকোর কর্মীরা। এ নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘ওই জায়গাও তো বন্ধক রয়েছে।’
আমি এর আগেও ভিডিও তে বলেছিলাম যে বর্তমান প্রশাসন অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রশাসনের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। গাড়িতে আগুন লাগানো, ভাংচুর, পুলিশের ও সাংবাদিকের উপরে হামলা, গ্রামিনের কারখানায় আগুন দেয়া সবই খারাপ কাজ হয়েছে। বহিরাগত কেউ এসে করলেও বদনাম হবে বেক্সিমকো শ্রমিকদের। বহিরাগতরা ঘটনা ঘটিয়ে চলে যেতে পারবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ধরা পরবে বেক্সিমকোর শ্রমিক ও নেতারা। আমি মনে করি সরকারের কাছে শান্তিপুর্নভাবে দাবিগুলো উপস্থাপন করা ভালো, এর দ্বারা বিবেচনা সৃষ্টি হতে পারে।
আজ এই পর্যন্তই
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন