বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

বেক্সিমকোর শ্রমিকের সংখ্যা আসলে কত?সংখ্যাটি কি গল্প?

গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে বেক্সিমকোর ৪০ হাজার শ্রমিকের যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল, তার প্রায় ৪০ শতাংশের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।


তিনি বলেন, বেক্সিমকোতে ৪০ হাজার শ্রমিক থাকার কথা বলা হলেও প্রাথমিক তদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, এর প্রায় ৪০ শতাংশ শ্রমিকের কোনো অস্তিত্ব নেই। অনেক তথ্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যা অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।আসলে আমরা যারা বেক্সিমকোর ব্যপারে জানিনা, তারা দূর থেকেই শুনে আসছি, যে কেউ বলছে ৮০,০০০  শ্রমিক, কেউ বলে ৭০,০০০ আবার কেউ বলে ৬০,০০০, ইদানীং বলা হচ্ছে ৪০,০০০। বানিজ্য উপদেষ্টার কথা মতো ৪০,০০০ এর ৪০% যদি না থেকে থাকে, তাহলে বেক্সিমকোর মোট শ্রমিকের সংখ্যা ১৬,০০০ এর ও কম। আসলে এতদিন অতিরঞ্জিত করেই বলা হচ্ছিল, এত এত শ্রমিক, আসলে বাস্তবে নাই। 



বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, "প্রথমে আমরা  জানতে পারি যে তাদের ২৩ হাজার কোটি টাকার দেনা রয়েছে। পরে দেখি, প্রকৃতপক্ষে এই দায়ের পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। শুরুতে ২৩ হাজার কোটি টাকা দেনা হিসাব করেই প্রতিষ্ঠানটি কোনোভাবে চালু করা যায় কিনা আমরা   চেষ্টা করেছিলাম। তিনি বলেন, সরকার অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিল  প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার জন্য, কারণ এটি একটি জাতীয় সম্পদ। তবে দুঃখজনকভাবে, সরকার বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা পায়নি।


পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতার কারণে সরকারকে বেক্সিমকোতে প্রশাসক নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু প্রশাসককে কোনো ধরনের সহায়তা করা হয়নি। বরং জানানো হয়েছে যে, আইনজীবীর নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো তথ্য শেয়ার করা যাবে না।"



আজ এই পর্যন্তই


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

বেক্সিমকো শ্রমিকদের সমস্ত বেতন ভাতা ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিশোধ করা হবে

আজ  সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) সাখাওয়াত হোসেন বলেন বেক্সিমকো ফার্মা ও সাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার বিক্রি করে বেক্সিমকো শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ পরিশোধ করা হবে। 

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেক্সিমকোর লে-অফ করা কর্মীদের বেতন পরিশোধে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন যা  ৫৫০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার মত  উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পুর্ণ টাকা শেয়ার বিক্রি থেকে সংগ্রহ করা না গেলেও সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যাপারে  চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটি প্রমাণ করে যে সরকার শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। //

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেছেন, বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১২টি ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থাৎ  ২৮,৫৪৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে।

এই ঋণ কীভাবে অনুমোদন এবং বিতরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে এবং জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ চুরির থেকেও বড় কেলেঙ্কারি। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, এই ঘটনা দেশের আর্থিক খাতের জন্য  একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং সমাধান অত্যন্ত জরুরি।

আজ এই পর্যন্তই

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের দাবিগুলো ‘অত্যন্ত অযৌক্তিক’ বলেছেন শ্রম উপদেষ্টা

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেক্সিমকোর শ্রমিকদের দাবিগুলো ‘অত্যন্ত অযৌক্তিক’ এবং বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ধ কারখানাগুলো পুনরায় চালু করা সম্ভব নয়।  


শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, বেশ কিছু দিন আমরা একটা শান্ত পরিবেশে ছিলাম। হঠাৎ গতকাল তারা (বেক্সিমকোর শ্রমিকরা) সমাবেশ করে বলেছে তাদের তিনটা দাবি। দাবিগুলো আমার মনে হয় কোনো সরকারের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। অত্যন্ত অযৌক্তিক এসব দাবি। তারপরও তারা বলেছে মানববন্ধন করবে রাস্তাঘাট বন্ধ করবে। তারা করেছেও, আমরা কিছু বলিনি। পুলিশ মোতায়েন ছিল, আর্মি মোতায়েন ছিল, তারাও তাদের বাধা দেয়নি।


তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম তাদের (শ্রমিকদের) নেতা যারা আছেন তারা অত্যন্ত রেসপনসিবল। মনে করেছি এবং এখনো মনে করি তারা রেসপনসিবল হিসেবে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবে। তাতে কোনো আপত্তি নেই। //


ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত আরও বলেন,  তারা  যা করেছে আপনারা তা জানেন। ১০০টির বেশি বাস জ্বালানো হয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। এটি করার কথা ছিল না। এটি কখনো হয়নি। হঠাৎ করে এটি কেন হলো, তা আমরা খতিয়ে বের করবো।


‘আমি মনে করি এটি করে তারা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। শ্রমিকদের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা টোটালি ফলস কাজ করেছেন। তারা দেশবাসীর জন্য বড় সংকট তৈরি করতে যাচ্ছিল’- বলেন শ্রম উপদেষ্টা।


শ্রম উপদেষ্টা বলেন, চরম ধৈর্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেই ধৈর্যের মর্যাদা তারা (শ্রমিকরা) রাখেননি। এখন পর্যন্ত তো কারও গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। এখন তো দেখছি এটি আমাদের দুর্বলতা মনে করেছে । অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশকে মেরেছে। এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে।//


বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা পুনরায় চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কী দিয়ে করব, হাউ?’


সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, তাহলে কি বায়াররা আসতে পারবেন না- এমন প্রশ্নে বেক্সিমকোর আর্থিক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, বায়াররা আসতে পারবে না, এই কারণে যে এই সম্পদের দায় কে নেবে? এই অবস্থায় কারখানা চালানো সম্ভব কী? আপনি চালাবেন?


২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকোর কর্মীরা। এ নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘ওই জায়গাও তো বন্ধক রয়েছে।’


আমি এর আগেও ভিডিও তে বলেছিলাম যে বর্তমান প্রশাসন অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রশাসনের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। গাড়িতে আগুন লাগানো, ভাংচুর, পুলিশের ও সাংবাদিকের  উপরে হামলা, গ্রামিনের কারখানায় আগুন দেয়া সবই খারাপ কাজ হয়েছে। বহিরাগত কেউ এসে করলেও বদনাম হবে বেক্সিমকো শ্রমিকদের। বহিরাগতরা ঘটনা ঘটিয়ে চলে যেতে পারবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ধরা পরবে বেক্সিমকোর শ্রমিক ও নেতারা। আমি মনে করি সরকারের কাছে শান্তিপুর্নভাবে দাবিগুলো উপস্থাপন করা ভালো, এর দ্বারা বিবেচনা সৃষ্টি হতে পারে। 


আজ এই পর্যন্তই


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

মেডিকেলে চান্স পেতে যে সরকারি কলেজের অবিস্মরণীয় সাফল্য।কি গুন সেই কলেজের?

গত ১৭ জানুয়ারি,শুক্রবার ২০২৪-২০২৫ সেশনের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  ১৯ জানুয়ারি,রবিবার এই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

নীলফামারীর একটা  সরকারি কলেজ থেকে এবছরও অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ সেশনে ৫৩ শিক্ষার্থী সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কলেজটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিজ্ঞান স্কুল। ১৯৭৭ সালে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজ নামকরণ করা হয়। এবং ২০১৯ সালে আবার নাম পরিবর্তন করে করা হয় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। একটা অনুরোধ আপনি যদি সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন ভিডিওটিতে  লাইক দিবেন, শেয়ার করবেন এবং ভালো লাগলে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন।

আবার ফিরে আসি ভিডিওতে, গত বছরও ২০২৩-২০২৪ সেশনে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রতি বছরের মতো এবারেও অসাধারণ এই সাফল্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা দারুণ খুশি।//

কলেজ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে এইচএসসিতে মোট ২৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এদের মধ্যে সবাই উত্তীর্ণ হন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৫৫ জন। এই ব্যাচেরই ৫৩ জন শিক্ষার্থী এবার বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুয়োগ পেলেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২০২৪ সালে ৫২ জন, ২০২৩ সালে ৩৬ জন, ২০২২ সালে ৪৫ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০২০ সালে ৩৮ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন, ২০১৮ সালে ৩৯ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। 

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শারমীন  জানান, তার স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়ার। নিয়মিত অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমে তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তার বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে।  এবারে ভর্তি পরীক্ষায় তার স্কোর ১৮৫। তিনি গত ২০২২ সালে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। 

কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান জানান, ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলে এ সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। এছাড়াও উল্লিখিত বছরগুলোতে অনেক শিক্ষার্থী বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।//

কেন এই সফলতা?

৫৩ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল শিক্ষার পরিবেশ, পাঠদানের সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির কারণে প্রতি বছর আশানুরূপ ফলাফল বয়ে আনছে শিক্ষার্থীরা। 

তিনি আরও বলেন, কলেজে কঠোর নিয়মকানুনের কারণে ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত ক্লাসে আসেন। এতে করে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক লেখাপড়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংস্পর্শে থাকেন। আর কলেজে বছরের নির্ধারিত পরীক্ষার পাশাপাশি ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্টসহ আরও অনেক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ফলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ভীতি অনেকাংশে দূর হওয়াসহ প্রস্তুতি অনেক ভাল হয়। মূলতঃ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিাভবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বোর্ড পরীক্ষা ঈর্ষান্বিত ফলাফল করাসহ মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখছে।

কলেজটির পর্যাপ্ত ছবি না পাওয়ায় অন্য photo দিয়ে শুন্যস্থান পুরন করা হয়েছে।

আজ এই পর্যন্তই

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিক্ষোভ,ভাংচুর,কারখানা ও বাসে অগ্নিসংযোগ

গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ সকল কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে 

গতকাল  বিকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কাঠ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তারা ৪টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাংচুর করে। গ্রামীণ ফেব্রিক্স নামের একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছেন। শ্রমিকদের হামলায় ও মারধরে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। 



বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় রয়েছে। ওই কারখানাগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গত কয়েক মাস ধরে এসব শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।  তাই সরকার ঋণ দিয়ে শ্রমিকদের আংশিক বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে। 


 গত ১৫ ডিসেম্বর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধ করা হয়। এতে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েন। এরপর থেকে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনসহ বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। 


 গত মঙ্গলবার বিকালে ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিক বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও ব্যাংকিং সুবিধাসহ কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে স্থানীয় সানসিটি মাঠে  গণসমাবেশ করেন। সমাবেশে বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত সরকারকে সময় দিয়ে আল্টিমেটাম ঘোষণা দেয় শ্রমিকরা। //


বুধবার বিকাল ৩টার দিকে শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চক্রবর্তীর মোজার মিল এলাকায় কাঠ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন। 


এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা টিআর ট্রাভেলস সার্ভিসসহ চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাংচুর করেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার সময় বিক্ষোভকারীদের বাঁধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময়  ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে শ্রমিকরা। 


তারা সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা-মোবাইল ফোনও ভাংচুর করে।  ঘটনার সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। 


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে।  সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা ও হাজার হাজার যানবাহন ।//


আন্দোলনকারী আনোয়ার হোসেন নামের এক শ্রমিক  বলেন, আমাদের কেউ রাস্তায় নামতে চায় না। কিন্তু বাধ্য হয়ে ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমেছি। আমরা এখন বাসা ভাড়া দিতে পারছি না। পরিবারের জন্য বাজার করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। 


পরিবহন শ্রমিক আব্দুল খালেক  জানান, শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে মহাসড়ককে বেছে নেয়। তারা যানবাহন ভাঙচুর করেন। এতে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সারাদিন রাস্তার মধ্যে দিন কাটাতে হয়। 

 

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন  জানান, তেঁতুইবাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিইপিজেড, সারাবো ও জয়দেবপুর স্টেশনের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এর আগে কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুন নেভাতে যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বাঁধা দেয় শ্রমিকরা। 


আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, শ্রমিক আন্দোলন গাজীপুর এলাকার হলেও সাভার ও আশুলিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এ অঞ্চলেও উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। 


গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব  জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাংচুর করে। রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভ চলছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।


আজ এই পর্যন্তই


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

২১ জানুয়ারী বেক্সিমকোর কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের একটা সমাবেশ হবে

আগামীকাল ২১ জানুয়ারী বেক্সিমকোর কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের একটা সমাবেশ হবে। দুপুর ২ টায় চক্রবর্তী সংলগ্ন সানসিটি মাঠে এই সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি ব্যাংকিং সুবিধা পূর্নবহাল, বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া। আজ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় এর সময় এই সমাবেশের ঘোষণা দেন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

আপনাদের যুক্তিসংগত দাবির  প্রতি আমাদের,সমর্থন ও সমবেদনা আছে।আপনাদের প্রতি অনুরোধ  রাস্তা আটকিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না এবং মানুষের  অভিশাপ নিবেন না। কারন এই রাস্তার কোন বিকল্প নাই। আল্লাহ আপনাদের সবার ভালো করুক।

আজ এই পর্যন্তই

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।