রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকো পরিস্থিতির কোনো দায় নিতে চায় না সরকার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেক্সিমকো শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘিরে উদ্ভূত কোনো পরিস্থিতির দায় দায় নেবে না সরকার,দায় এই প্রতিষ্ঠানটিকেই নিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, “বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের তিন মাসের টাকার অতিরিক্ত আর কোনও আর্থিক সহায়তা দেবে না সরকার। বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে তা বন্ধ করবে কি-না, সে বিষয়ে বেক্সিমকোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় বেক্সিমকোকেই নিতে হবে।”  

২০২৪ সালে ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমানে ঋণ নেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। ২০২১ সালে জনতা ব্যাংকে বেক্সিমকোর ঋণ ছিল ১৪ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকায়। এই ঋণের বেশিরভাগই খেলাপি। এখন আবার নতুন করে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ করছে গ্রুপটি। অথচ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় দেশে ফেরত আনছে না বেক্সিমকো।//

উপদেষ্টা কমিটির  সভার শুরুতেই বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কর্মরতদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  জনতা ব্যাংক পিএলসির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক সভাকে অবহিত করেন যে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ মাসের বেতনের টাকা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। তা ছাড়ও করা হয়েছে।


সরকার এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের পর যেহেতু আর কোনও আর্থিক সহযোগিতা করতে পারবে না সেহেতু বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষের কোম্পানিসমূহের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে সম্পর্কে সভায় অন্যান্য সদস্যদের মতামত আহ্বান করা হয়। এছাড়া শ্রমিক-কর্মচারিদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার জন্য সভাপতি কর্তৃক মালিকপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।


তবে কোনোভাবেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর না পড়ে সে বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়। 

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর না পড়ে সে বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে কোনরূপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

আয়কর রিটার্ন কি? আয়কর রিটার্ন কাদের জন্য প্রযোজ্য? Zero return (জিরো রিটার্ন) বা শূন্য রিটার্ন  কি?

আয়কর রিটার্ন কি?

আয়কর রিটার্ন হচ্ছে বাৎসরিক আয়ের সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণী। আয়কর রিটার্ন হল এমন একটি ফর্ম যেখানে আয়কর বিভাগে তার আয় এবং ট্যাক্স সম্পর্কিত তথ্য ফাইল করা হয়। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত  একটি  ফর্মে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।  ফরমে আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য উপস্থাপন করার নামই হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। এই কাঠামোবদ্ধ ফরমটি আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রস্তুত করে। আয়কর রিটার্নের কাঠামে আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে।

এই ফর্মটি মূলত নির্ধারিত আয়ের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার জন্য তাদের করযোগ্য আয়ের হিসাব এবং মোট কর দায় বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে।//

কারা আয়কর রিটার্ন  দিবে?  আয়কর রিটার্ন কাদের জন্য প্রযোজ্য?

আয়কর রিটার্ন কিভাবে দিতে হয় জানার আগে আমরা জানব আয়কর রিটার্ন দেয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি কারা। আমাদের মনে রাখা উচিত  হবে যে রিটার্ন দাখিল করা আর আয়কর পরিশোধ করা দুটি এক জিনিস নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেবার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই চলবে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।


আয়কর রিটার্ন যারা দাখিল করবে  

১) সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার আয় যদি বছরে ৩,৫০,০০০ টাকার বেশি হলে তাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে

২) মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৪,০০,০০০

৩) প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে বছরে ৪,০০,০০০ টাকা আয় সীমা এবং

৪) গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৫,০০,০০০ টাকা।

৫) তৃতীয় লিংগ করদাতাদের জন্য ৪,৭৫,০০০ টাকা।
//

জিরো রিটার্ন কি?

যে পরিপ্রেক্ষিতে কোনো রূপ ট্যাক্স বা কর প্রদান ছাড়াই রিটার্ন জমা দেওয়া হয়, তখন তা শূন্য বা জিরো রিটার্ন হিসেবে অভিহিত হয়। সহযে বলা যায়, যদি কোনো পুরুষের বাৎসরিক আয়  ৩,৫০,০০০ টাকা এবং মহিলার বাৎসরিক আয়  ৪,০০,০০০ টাকার নিচে হয় তবে তাকে কোনো প্রকার ট্যাক্স পরিশোধ করার দরকার নেই। এক্ষেত্রে কেবল সরকারকে বৈধ উপায়ে বার্ষিক আয়-ব্যায়ের হিসাব দেখানোর পদ্ধতিকেই জিরো ট্যাক্স রিটার্ন বলে। অর্থাৎ করমুক্ত সীমার মধ্যে থাকা আয়ের বিপরীতে প্রদানকৃত রিটার্নকেই Zero return বা শূন্য রিটার্ন বলে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

এস আলম গ্রুপের ৬ টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেনে নিন কারখানাগুলোর নাম

এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালে গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়। এরপর আরও একাধিক ব্যাংক ও বিমা দখল করে নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয় গ্রুপটি। পাশাপাশি গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেও ঋণ অনুমোদন করা হয়। জালিয়াতি করে ব্যাংক লুটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। এস আলম গ্রুপের ছয়টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সই করা নোটিশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। গত ২৪ শে ডিসেম্বর দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও বাঁশখালী থানা এলাকার এসব কারখানায় বন্ধের নোটিশ টাঙানো হয়। 


এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের উৎপাদন ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কারখানায় সবকিছু স্বাভাবিক চললেও আকস্মিক ছুটির নোটিশ দেওয়া হলো। কোন কারণে সাধারণ ছুটি দিয়ে দিলো, জানি না।’


বন্ধ ঘোষণাকৃত ছয়টি কারখানা হলো- এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ছয়টির কথা বললেও নাম পাওয়া গেছে ৫ টি। এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল, তিনটি ইছানগর ও একটি বাঁশখালীতে অবস্থিত।এইসব কারখানায় অন্তত ১২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন।


এর আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখল করার পর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা ‘অন্তত’ ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বের করে নিয়েছেন ।



গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শিকলবাহা খালের পশ্চিম প্রান্তের কালারপুল এলাকার এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডে শতাধিক শ্রমিক কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করেন। তারা আকস্মিক নোটিশে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় পরিবার–পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা বলেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে

পোশাক শিল্পে নানামুখী সমস্যার পরেও আল্লাহর রহমতে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি ধীরে ধীরে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি কম হলেও   ইউরোপের বাজারে বাড়ছে। চীন ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষে রয়েছে।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।



প্রথম  ১০ মাসে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বিশ্লেষকরা এটি দেশের পোশাক খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ হিসেবে দেখছেন, যদিও আমাদের দেশী বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা এই খবরে দু:খিত। ইইউ বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের পরেই অবস্থান করছে তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। এসব দেশের মধ্যে কিছু দেশের রপ্তানি বেড়েছে। যেমন—কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, মরক্কো, ভিয়েতনাম ও ভারত। তবে, অন্যদিকে তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে।


রপ্তানিকারকেরা আশা করছেন, শিল্প খাতে স্থিতিশীলতা ফিরলে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি আরও বাড়বে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।//


ইউরোস্টেটের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ইইউর কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। চীন ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষে রয়েছে। চলতি বছর চীন ২ হাজার ১৫৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক ইইউতে রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ইইউতে ১ হাজার ৬৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬২৯ কোটি ডলার। ফলে, এই সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।


অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬১৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম। গত বছর বাংলাদেশ ৬৩৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।


বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইউরোপের বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ তাদের অর্থনীতির উন্নতি। অথচ আগে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক আমদানি কমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা আবার বিভিন্ন উৎস দেশ থেকে আমদানি বাড়িয়েছে, যার ফলে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। তবে, কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা দূর হলে আমরা আরও ভালো ফলাফল পেতে পারব।’//


 প্রতিযোগী দেশ কম্বোডিয়া ইউরোপের বাজারেও দ্রুত প্রবৃদ্ধি করছে, যা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ। যেমন ইইউ বাজারে তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক তুরস্কের রপ্তানি চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ৮৫৯ কোটি ডলার, বা সাড়ে ৫ শতাংশ কমেছে। ভারত জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে রপ্তানি করেছে মোট ৩৯৯ কোটি ডলার, অর্থাৎ এই বাজারে তাদের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। কিন্তু কম্বোডিয়া আগস্টে ষষ্ঠ থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে আসে এবং অক্টোবর মাসে তাদের রপ্তানি ২০ শতাংশ বেড়ে ৩৪৮ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। যদিও ইউরোপে কম্বোডিয়ার রপ্তানি এখনো বাংলাদেশের মাত্র ২০ শতাংশের সমান।


মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ক্রেতারা সস্তা ও দ্রুত পণ্য পেতে যেখানে সুবিধা পাবে, সেখান থেকেই আমদানি করবে। এ কারণেই বাংলাদেশের তুলনায় কম্বোডিয়ার রপ্তানি দ্রুত বেড়েছে। তবে এটি আমাদের জন্য খুব বড় উদ্বেগের বিষয় নয়, যদি আমরা উৎপাদন খরচ কমিয়ে ক্রেতাদের উপযুক্ত মূল্য না দিতে পারি, তবে এটি চ্যালেঞ্জ হবে।  //


তবে সহায়ক শিল্প, কম লিড টাইম এবং শ্রমিক অসন্তোষ না হলে ইউরোপে আমাদের অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব,এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্ক বৃদ্ধি হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।


যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হলেও এই বছর প্রথম ১০ মাসে ইইউতে ৩৫৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, তাদের রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ। পাকিস্তানের পোশাক রপ্তানি ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩১৩ কোটি ডলার। এবং মরক্কো ২৫০ কোটি ডলারের রপ্তানি করেছে, বেড়েছে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার রপ্তানি শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার ৭ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

৫৪ বছর পর বাংলাদেশে আসছে পাক সেনা অফিসার, ফেব্রুয়ারিতে হবে বাংলাদেশ পাকিস্তান নৌ মহড়া

ভারতের একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে  বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা নিউজ দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ সাহির শামশাদ বাংলাদেশের সেনা অ্যাকাডেমিতে পাকিস্তানের সেনা অফিসার পাঠাতে চান বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। যারা বাংলাদেশি সেনা অফিসারদের কে কমান্ড এন্ড ট্যাকটিসের ট্রেনিং দিবে। এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। যার ফলে পাকিস্তানের সেনা অফিসার ও  জেনারেলরা  বাংলাদেশ সফরে আসবেন।  তবে কবে ওই পাক অফিসাররা আসছেন তা এখনও ঠিক হয়নি।

যারা বাংলাদেশের ভালো চায়না, তারা চায় যে বাংলাদেশ সবসময় বন্ধুহীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকুক, তাহলে বাংলাদেশকে গপ করে গিলে ফেলা যাবে, বা কাবু করে রাখা যাবে।  এজন্য বাংলাদেশ মুসলিম দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে এটা অনেকেই পছন্দ করে  করে না।  চীনের সাথে,  তুরস্কের সাথে বা পাকিস্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক হোক তা আমাদের দেশের অনেকেই মানতে পারে না। এইজন্য যুগ যুগ ধরে এই জাতিকে ব্রেইন ওয়াশ দেয়া হয়েছে।


কিন্তু পাকিস্তান এবং তুরস্ক  বাংলাদেশের কোন ক্ষতি করবে না,দেশটা দখল করতে আসবে না।  হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এসে বাংলাদেশ দখল করার ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। কিন্তু সেই পাকিস্তানের জুজুর ভয় দেখানো হয় স্বাধীনতার পর থেকেই। শেখ মুজিবের সময়ে বাংলাদেশকে ওআইসি তেও যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। পাকিস্তান যেরকম আমাদেরকে  প্রায় ২৫ বছর শাসন করছে ঠিক এরকম ব্রিটিশরাও  তো আমাদের  ২০০ বছর শাসন করছে, অনেক নির্মম নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে, সেই ব্রিটিশদের সাথে ভারতের বা পাকিস্তানের বা বাংলাদেশের কারো সম্পর্ক খারাপ না, এরকম কেউই মনে করে না যে ব্রিটিশদের সাথে সম্পর্ক রাখলে গুনাহ হবে বা ইজ্জত চলে যাবে। ব্রিটিশদের সাথে কোন সমস্যা নাই কিন্তু বাংলাদেশ সাথে পাকিস্তানের ভালো  সম্পর্ক দেখলেই অনেকের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। শরীর ও মন  জ্বলতে থাকে। 

পাকিস্তানের সঙ্গে একটা  যৌথ নৌ মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী বছর ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ৭-১১ তারিখ করাচিতে ওই নৌ মহড়া হবে। এ নৌ মহড়া নিয়ে ভারতের  সামরিক বিশেষজ্ঞ অশোক কুমার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বেড়েই চলেছে। এটা ক্রমশ ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

পাকিস্তানের কাছে শর্ট ও লং রেঞ্জ এর মিসাইল প্রযুক্তি আছে, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি নিয়ে নিজেরাই তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশের জন্য আফসোস স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমরা  শর্ট বা লং রেঞ্জ এর মিসাইল বানানো শিখলাম না যা ইয়েমেনের হুথি আর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ
যোদ্ধারাও পারে। আসলে বাংলাদেশের নিজের আগ্রহ না থাকলে কেউই তাকে তৈরি করে দিবে না।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বেক্সিমকোর কোন কারখানা বন্ধ হয়নি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কে যা বলেছে বেক্সিমকো লিমিটেড

বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর , তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ না থাকা ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে না পারায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ।


এই ব্যাপারে  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর পক্ষ থেকে বেক্সিমকো লিমিটেডের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবে বেক্সিমকো লিমিটেড জানায়, আলোচিত  ১৫ টি কারখানা  তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বেক্সিমকোর কারখানা এখনো উৎপাদনে আছে। কোনো কারখানা লে-অফ বা বন্ধ হয়নি। যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো বেক্সিমকোর কারখানা নয়।বেক্সিমকো বলে যাচ্ছে,

বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড চালু রয়েছে এবং এর কোনো ইউনিট বন্ধ হয়নি। সংবাদে যে ১৫টি পোশাক ইউনিট বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান নয়।'


অথচ বেক্সিমকো গ্রুপের একজন পরিচালক এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী গত ১৭ ডিসেম্বর  বলেন, গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গ্রুপের ১৬টি পোশাক কারখানা থেকে ৩০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।  //


তিনি বলেন, ছাঁটাইয়ের কারণ হলো ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সহায়তার অভাব।


কায়সার চৌধুরী আরও বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী, ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা ৪৫ দিনের জন্য তাদের মূল বেতন এবং ভাতার অর্ধেক পাবেন।'


কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও শ্রম আইন অনুযায়ী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ দেবে জনতা ব্যাংক।

 বেক্সিমকো গ্রুপের এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।


ঢাকা ও চট্টগ্রাম  স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড বেক্সিমকো গ্রুপের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। এটি টেক্সটাইল, পিপিই, সিরামিক, আইসিটি, রিয়েল এস্টেট, সামুদ্রিক খাদ্য এবং পণ্য ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।  


টেক্সটাইল বিভাগ বেক্সিমকোর সবচেয়ে বড়। এই বিভাগ  অভ্যন্তরীণ এবং রপ্তানি বাজারের জন্য পুরুষ, নারী ও শিশুদের সুতি ও পলিয়েস্টার পোশাক তৈরির একটি সম্পূর্ণ সমন্বিত প্রস্তুতকারক।  


উল্লেখ্য, ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা গ্রুপের গাজীপুর শিল্প পার্কের মোট কর্মীর ৭৫ শতাংশ। এর ফলে বর্তমানে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল এবং পিপিই বিভাগে ১০ হাজার কর্মী কর্মরত আছেন।


বেক্সিমকো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কে যা বলেছে তা আমাদের জন্য রহস্যাবৃত। আশা করি শীঘ্রই রহস্য উন্মোচন হয়ে বেক্সিমকো আবার চালু হবে এবং বেক্সিমকোর লে-অফে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের স্বাভাবিক কর্মক্ষেত্র আবার ফিরে পাবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকোর বন্ধ হওয়া ১৬ টি কারখানা কি কি?

বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের রিসিভার রুহুল আমিন  বলেন, 'কার্যাদেশ না থাকায় পোশাক কারখানাগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে। উৎপাদন আবার শুরু করার জন্য তহবিল সংগ্রহ না করা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।'

শিগগিরই কারখানা খোলার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, 'বেক্সিমকোর শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আবার কার্যক্রম চালু করতে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছে।'

তবে কারখানা খোলার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার।

বন্ধ করে দেয়া কারখানাগুলোর মধ্যে আছে:

শাইনপুকুর গার্মেন্টস,
আরবান ফ্যাশনস,
ইয়েলো অ্যাপারেলস,
প্রিফিক্স ফ্যাশনস,
আরআর ওয়াশিং,
বেক্সিমকো ফ্যাশনস,
বেক্সিমকো গার্মেন্টস,
নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ,
ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস,
এসেস ফ্যাশনস,
এসকর্প অ্যাপারেলস,
ক্রিসেন্ট ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন ও
ক্রিসেন্ট এক্সেসরিজ লিমিটেড।

বাকি দুই কারখানার নাম জানা যায়নি।

আগামী ৩০ জানুয়ারি আবার কারখানা খোলার সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত সব ধরনের উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকবে।

বেক্সিমকোর ওষুধ ও সিরামিকস কারখানায় উৎপাদন চলমান থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।//

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত নভেম্বর পর্যন্ত বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে  অর্ধেকের বেশি খেলাপি হয়ে পড়েছে।

আর্থিক বিবরণীতে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেক্সিমকো ৩৬ কোটি টাকা লোকসান করেছে। আগের অর্থবছরের মুনাফা হয়েছিল ৭১০ কোটি টাকা।

বেক্সিমকোর অর্থ ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী বলেন, কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় উৎপাদন চালানো যাচ্ছে না।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরামর্শ দিয়েছিল। কারণ সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য নগদ সহায়তা দিতে পারছে না। বাধ্য হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর জারি করা বিজ্ঞাপ্তিতে বেক্সিমকো গ্রুপের এসব কারখানার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ছাঁটাই কার্যকরের কথা জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের কারখানায় রিপোর্ট করার প্রয়োজন নেই। আগামী ৩০ জানুয়ারি আবার কারখানা খোলার সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত সব ধরনের উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকবে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।