বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

সমুদ্র পথে গরিবের হজ্জের স্বপ্ন পুরন হবে কি?

এক সময়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠী যারা মক্কা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকতো তাদের সারাজীবন এর স্বপ্ন হজ্জে যাওয়ার একমাত্র ব্যবস্থা ছিল পানির জাহাজে করে হজ্জে যাওয়া। ধনী গরিব সবার জন্য এই একই ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা ছিল। 


ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন বলেন, হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবছর যে চুক্তি হয়, তাতে উড়োজাহাজের কথা উল্লেখ থাকে, জাহাজের কথা বলা থাকে না। তা ছাড়া সমুদ্রপথে সময় লাগবে বেশি। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে? তিনি বলেন, ‘এসব সমস্যার কথা আমরা জানিয়েছি।, //


হজের খরচ কমানো এবং সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে দুই দেশ। সম্প্রতি 

সৌদি আরবের জেদ্দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে এ সম্মতির কথা জানানো হয়। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মতি লাগবে। 



আগামী হজ্জ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সমুদ্রপথে দুই-তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এ প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে সৌদি আরব।


সমুদ্রপথে জাহাজে করে হাজিদের পাঠানো গেলে বিমান থেকে ভাড়া ৪০ শতাংশ কম পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘একটা জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। তিন হাজার হাজি ধারণক্ষমতার এত বড় জাহাজ আমাদের নেই। আমাদের চার্টার্ড শিপ আনতে হবে। এটা আনতে দুই হাজার কোটি টাকা লাগবে।//


ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ বলেন, ‘সমুদ্রপথের বিষয়ে সৌদি সরকার থেকে চুড়ান্ত  অনুমোদন পেলে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করব। তারা যদি দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দেন, তাহলে হাজিদের নেওয়া হবে। এটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আরেকটি ইতিহাস তৈরি হবে।’



বিমানের ভাড়াও এবছর কমবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে বৈঠক করেছি, তারা ভাড়া কমানোর ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। ফলে আমরা আশাবাদী যৌক্তিকভাবে বিমানের ভাড়া নামিয়ে আনতে পারবো।’


তিনি বলেন, ‘আমরা দুটি হজ প্যাকেজ করতে চাই, একটি হারাম শরিফের কাছে এবং আরেকটি দুই-তিন কিলোমিটার দূরত্বে। দুই প্যাকেজেই আমরা আশা করছি, উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারবো।’


আমি নিজে দেখেছি পাকিস্তানিরা মক্কা শরীফ থেকে ৩-৪ কি.মি দুরের হোটেলে থাকে এজন্য তাদের হোটেল ভাড়া বেচে যায়। 


আমরাও আশা করছি যাদের কম সামর্থ্য আছে তারাও হজ্জে যেতে পারবেন এবং একজন মুসলমান হিসেবে তার জীবনের স্বপ্ন মক্কায় গিয়ে হজ্জ করতে পারবেন। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন