শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশ কে নিয়ে একটা বিশেষগোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে  ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গত

বৃহস্পতিবার  জাতিসংঘ ফোরামে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।


তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর প্রসঙ্গে, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় উদাহরণ স্থাপন করছিল, তখন আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও ভুয়া খবর এবং স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি। এই ধরনের অনেক অপপ্রচারকে বৈশ্বিক গণমাধ্যম উড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সরকার বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’//

বিবৃতিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন, ‘অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, কিছু বক্তা চিন্ময় দাসের গ্রেফতারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি একজন মুসলিম আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরেও আমাদের সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সব ধর্মের নেতাদের সমর্থনে শান্তি বজায় রাখতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সহায়তা করেছে।


বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করে যে, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশির নিজ নিজ ধর্ম পালন বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল ভিত্তি। এটি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের বারবার আশ্বস্ত করেছেন এবং সরকারের প্রথম ১০০ দিনে সেটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।’//


তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার সতর্ক রয়েছে এবং যেকোনও মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার যেকোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে অবিলম্বে কাজ চালিয়ে যাবে।’


তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময়ে  ঘটা সহিংসতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়। ওই সহিংসতার যারা শিকার হয়েছিল তাদের প্রায় সবাই মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ছিল মাত্র কয়েকজন। সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও উদ্দেশ্যমূলক আক্রমণ হয়নি। বরং জুলাই মাসে গণআন্দোলনের পর আমাদের দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুসরণ করে কীভাবে সমগ্র বাংলাদেশ তার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছিল, তা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে আমাদের সরকার সব ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য এবং অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


জামায়াত ১৯৮৬,১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনে কয়টি আসন পেয়েছিল?

বিগত  সংসদ নির্বাচনে জামাত ইসলামের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করব।

তরুন ভোটারদের অনেকেই মনে করেন নির্বাচন হলে এবার বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি সরকার গঠন করবে। কিন্তু বয়স্ক ভোটাররা তা মনে করেন না। ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিগত  পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে জামাত ইসলামের  ফলাফল আলোচনা করা হলো।

তৃতীয় সংসদ নির্বাচন

১৯৮৬ সালে এরশাদের শাসনামলের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ১০টি আসন পায়। উল্লেখ্য বিএনপি সেই নির্বাচন বর্জন করে।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এ নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে।এই নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৫.৪৫ শতাংশ। জামায়াতে ইসলামী এ নির্বাচনে  ১৮টি  আসনে জয়লাভ করে।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৪.৯৬ শতাংশ। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জামায়াতে ইসলামী তিনটি আসনে জয়লাভ করে।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৫.৫৯ শতাংশ। জামায়াতে ইসলামী ১৭টি আসনে জয়লাভ করে।

নবম সংসদ নির্বাচন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এটি সর্বশেষ ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮৭.১৩ শতাংশ জামায়াতে ইসলামী দুটি আসনে জয়লাভ করে।

১৯৮৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে জামাত ইসলামের সবচেয়ে ভালো পারফরমেন্স হল ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। সেই বছর তারা সর্বোচ্চ ১৮ টি আসন পায়। এখন কথা হল যে দলের এ পর্যন্ত  নির্বাচনের সবচেয়ে ভালো  ফলাফল হলো ১৮ টি আসন, সেই দল কিভাবে সরকার গঠন করবে? সেই দল কিভাবে ক্ষমতায় যাবে? তাদের সমর্থন যদি ৫ গুনও বেড়ে  যায় তাও ৯০ টার বেশি আসন হয় না।

জামাত ইসলামের সমর্থকদের অনেকেই মনে করে যে নির্বাচন হলেই জামাত সরকার গঠন করবে বা ক্ষমতায় যাবে যারা এরকম ধারণা করে তারা গত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারে নাই, বয়স ৩০ এর বেশি না। বাংলাদেশের সংসদ  নির্বাচনের হিসাব নিকাশ খুব কমই জানে। আবেগ দিয়ে কি সব কিছু করা সম্ভব?

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ড. মাহাথির মোহাম্মদ এর আহব্বান

 বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মাহাথির মোহাম্মদ যে আহব্বান জানিয়েছেন, 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রবীণ নেতা ও আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির মোহাম্মদ।


গত ২৭ নভেম্বর কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ তানশ্রী সৈয়দ হামিদ আলবারের আত্মজীবনীমূলক বই  এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাহাথির মোহাম্মদ।


 সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও বেসরকারী থিংক ট্যাংক আইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, মাহাথিরের কাছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সাহসিকতার সঙ্গে একজন অজনপ্রিয় ও স্বৈরাচার শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এখন তাদের সামনে সুযোগ এসেছে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার।’


এ সময়ে নতুন করে বিভক্তি এড়িয়ে, ব্যক্তি নয় বরং দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

একই সময়ে তানশ্রী হামিদ আলবার বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের পরিশ্রমী জনগণের প্রচেষ্টায় দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে।//


সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে দেশ পুনর্গঠনের। টেকসই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আয় ও সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন।


তিনি একইসঙ্গে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন ইমেজ গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার বিষয়েও তিনি তার পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


পাকিস্তানে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ, ইন্টারনেট বন্ধ, ৫ জন নিহিত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চলতি মাসের শুরুতে কারাগার থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেন, যাকে তিনি ‘চূড়ান্ত ডাক’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর পর থেকে তার সমর্থকেরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হন। তাদের দাবি, বন্দি নেতাদের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগ।  


পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ উত্তাল হয়ে উঠেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের আন্দলোনের কারণে। 

ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা করে ইমরান খানের  কর্মী-সমর্থকরা। আজ ২৬ শে নভেম্বর মঙ্গলবার তারা রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ডি-চকে পৌঁছেছেন।


তবে তাদের প্রতিহত করতে ইসলামাবাদে সংবিধানের ২৪৫ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গ জানিয়েছে, সেনাদের ইমরানের পক্ষের বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু এই কঠোর নির্দেশের পরও বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় থাকা ঠেকানো যায়নি।  সংঘর্ষে আজ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজনই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। 


বহিঃশক্তির আগ্রাসন এবং যুদ্ধের সময়ের জন্য সংবিধানে এই ধারা রাখা হয়েছে। কিন্তু পিটিআইয়ের বিক্ষোভকারীদের দমনে রাজধানী ইসলামাবাদে এই ধারা সক্রিয় করা হয়েছে।   সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী যা খুশি তাই করতে পারবে। এজন্য ভবিষ্যতে তাদের কোনা ধরনের বিচারিক ঝামেলায় পড়তে হবে না।//


পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘কাউকে যেন ছাড়’ না দেওয়া হয়।


প্রায় ১০ দিন আগে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু এই ধারা ভঙ্গ করেই ইমরান খানের সমর্থকরা রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে কয়েকশ মানুষ ডি-চকে প্রবেশ করছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস এবং তাজা গুলি ছোড়া হয়। 


পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, সরকার বারবার আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে পিটিআই নেতৃত্ব আলোচনা থেকে শুধু সময় নিয়েছে এবং রাজধানীর দিকে অগ্রসর হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদের আইজিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।  


এদিকে, সংঘর্ষের মধ্যেই মুলতান, রাজনপুর, গুজরাটসহ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটছে।  //


অন্যদিকে, ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর আজ মঙ্গলবার গাড়ি বহর নিয়ে ইসলামাবাদের ডি চকে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।  


২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তবে পিটিআই এই মামলা ও অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছে।  


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আমেরিকা প্রবাসী
অধ্যাপক রুমি আহমেদ এর একটা পোস্ট
ফেসবুকে শেয়ার করেন, অধ্যাপক রুমি আমেরিকার একটা মেডিকেল  ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। 

ওই পোস্টে তিনি খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জে উপস্থিতিকে মিরাকল বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে কারাগারে থাকাকালে তার সঠিক চিকিৎসা হয়নি, উল্টো ‘গরুর চিকিৎসা’ তার ওপর প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন এই অধ্যাপক।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ যেই চার-পাঁচ বছর জেলে ছিলেন- তখন তার ওপর গরুর চিকিৎসা হয়েছে, মানুষের চিকিৎসা হয়নি। উনি আধুনিক কোনো চিকিৎসা পাননি! যেই ওষুধ দেয়া হয়েছে- তাতে ওনার ডিজিজ কন্ট্রোলতো হয়ইনি, লিভার ও কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।’

ওই পোস্টে অধ্যাপক রুমি লিখেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জ সফরের অনেক ভিডিও দেখলাম ! আমি যেহেতু চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র- আমি ওনার ভিডিওগুলো দেখেছি অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে! প্রথমত তাকে দেখলাম হাসছেন এবং শ্বাস নেয়ার জন্য না থেমে এবং না হাপিয়ে গিয়ে মোটামুটি লম্বা সময় কথা বলতে পারছেন। আরেকটা বিষয় লক্ষ করলাম ওনার অক্সিজেন লাগছে না! এই পুরো ব্যাপারটা একটা মিরাকল ছাড়া আর কিছু না।’

‘এই কিছুদিন আগে ৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া ৬-৭ মাস টানা আইসিইউতে কাটালেন। ওনার কিডনি ফেইল করেছিল; হার্ট ফেইলিউর ছিল; লিভার পুরো ফেইল করেছে। লিভার ফেইলিউরের জীবনঘাতী কমপ্লিকেশন যা যা হতে পারে সবই তার ছিল- সারা শরীরে পানি, পায়ে পানি, পেটে পানি, ফুসফুসে পানি! প্রতিদিন পেট আর ফুসফুসের পাশ থেকে থেকে সুঁই ঢুকিয়ে লিটারকে লিটার পানি ড্রেইন করতে হতো। তার দুই চেস্টে চেস্ট টিউব ঢোকানো ছিল কন্টিনিউয়াস পানি ড্রেইন করানোর জন্য। ঘাড়ের মধ্যে বিশাল মোটা ডায়ালাইসিস লাইন ছিল। আরো কিছু কঠিন সমস্যা ছিল যেমন রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস। //

তিনি আরও লিখেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে এডভান্সড আইসিইউগুলোতে আমি  গত ২০ বছর ধরে কাজ করছি । ৮০ বছর বয়সি একজন মানুষ অ্যাডভান্সড Completing আর্থ্রাইটিসসহ যার লিভার ফেইল করেছে- কিডনি ফেইল করেছে; সিভিয়ার পালমোনারি হাইপারটেনশন আছে- এইদেশে আমরা আশা ছেড়ে দিতাম! কারণ ৮০ বছর বয়সি একজন মানুষের লিভার ফেইলিউর একটা ওয়ানওয়ে জার্নি। বাকি সব অর্গান ডোমিনোর মতো ফেইল করা শুরু করে। রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।’

মিসেস খালেদা জিয়া যে ৭ মাস আইসিইউ থেকে  সেনাকুঞ্জে এসে সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন- আবারও বলছি এটা মেডিকেল মিরাকল। ওপরওয়ালা কোথাও কেউ নিশ্চয় আছেন; যিনি সম্ভব - অসম্ভবের কারিগর- উনিই হয়তো চেয়েছেন অসম্ভবের ঘড়ির কাটাটাকে হাত দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে। কেউ ওনাকে এই দিনটা দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন! ।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে অধ্যাপক রুমি আরও লিখেছেন, ‘আপনারা কেউ কি ওনার হাত দুটো খেয়াল করেছেন? কীভাবে বেঁকে গিয়েছে? আমরা মেডিকেল কলেজে পড়েছি সোয়ান নেক ডিফর্মিটি; বাটোনেআর ডিফর্মিটি, গত শতব্দীর টার্ম! এই শতাব্দীর মেডিকেল স্টুডেন্টরা এগুলো খুব একটা দেখে না এখন। রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের চিকিৎসা না হলে বার্ন্ট আউট হয়ে যায়। অ্যাডভান্সড রিউমাটোয়েড আর্থরাইটিসের শেষ পর্যায়ে গিয়ে হাতগুলো এভাবে শক্ত হয়ে কুঁকড়ে যায়। দুটো হাতই শুধু অচল হয় না অবর্ণনীয় যন্ত্রণা হয়, হাইডোজ ইমিউনিটি সাপ্রেস করা মেডিসিনে না থাকলে।’//

উনি আরও লিখেছেন, ‘আপনি কি খেয়াল করেছেন উনি পা লম্বা করে হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন। উনি পা ভাঁজ করতে পারেন না! ওনাকে স্ট্র্যাপ দিয়ে হুইল চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল, যাতে পড়ে না যান। আমি খেয়াল করছিলাম ওনার ছোট পুত্রবধূ প্রতিটা মুহূর্ত শ্বাশুড়ির দিকে চোখ রাখছেন- কখন কি হয়ে যায়! একটা জীবন চিন্তা করুনতো? অবর্ণনীয় ব্যাথার কারণে পা ভাঁজ করা যায় না- স্টিফ হয়ে গিয়েছে- হাত দুটো অচল! পুরো পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে ওনাকে! হ্যাঁ, আমি বলছি ‘দেয়া হয়েছে’, এমনি এমনি সব হয়নি!’

আগে ওনাকে যখন টিভিতে দেখেছি- তখনতো এত খারাপ অবস্থা ছিল না। উনি এই হাত দিয়ে করমর্দন করতেন- সারাদিন ফাইল স্বাক্ষর করতেন! একটু খুঁড়িয়ে হলেও হাঁটতে পারতেন। ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৯ ঘণ্টা ক্যাম্পেইন করেছেন- সারারাত পথসভা করেছেন। আজকাল আমরা এই ধরনের রিউমাটয়েড ডিফর্মিটি খুব কম দেখি। কারণ আজকাল রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিসের অনেক ডিজিজ মোডিফাইয়িং ওষুধ আছে। এই ওষুধে রোগ কন্ট্রোল করে রাখা যায়! একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান রিউমাটয়েড আরথ্রাটিসকে এখন আর ওই পর্যায়ে পৌঁছতে দেয় না।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) যেই চার-পাঁচ বছর জেলে ছিলেন- তখন তার ওপর গরুর চিকিৎসা হয়েছে, মানুষের চিকিৎসা হয়নি। উনি আধুনিক কোনো চিকিৎসা পাননি! যেই ওষুধ দেয়া হয়েছে- তাতে ওনার ডিজিজ কন্ট্রোলতো হয়ইনি, লিভার ও কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।’
//
 
অধ্যাপক রুমির মতে, ২০০৭ এর পর থেকে জিয়া পরিবারের ওপর নানা অত্যাচার-নির্যাতনের ঝড় বয়ে গেছে। তিনি লিখেছেন, ‘২০০৭ এর পর থেকে জিয়া পরিবারের ওপর যা গিয়েছে, তা ট্র্যাজিক মহাকাব্য। বড় ছেলেকে মেরে কোমর ভেঙে দেয়া হয়েছিল, তার দশ বছর লেগেছে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে। আরেক ছেলের ওপর ( যে রাজনীতির র-এর সঙ্গেও জড়িত ছিল না) তার ওপর কি ঝড় গিয়েছে আল্লাই জানে। ছাড়া পাবার কিছুদিন পর ৪৫ বছরের সুস্থ তরুণ ক্রিকেট প্লেয়ার মানুষটা ধুম করে মরে গেলেন। এই কাজগুলো যারা করেছেন, যাদের সিদ্ধান্তে হয়েছে, যারা এক্সিকিউট করছেন, তাদের জিয়া পরিবার ক্ষমা করলেও, এই দেশের একটা বিশাল অংশের মানুষ কোনোদিনই ক্ষমা করবে না!’

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যাওয়ার এখনই প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

তার মতে, ‘খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমার মতে এখন পলিটিক্যাল ও পারিবারিক ডিসিশন; মেডিকেল ডিসিশন না। ওনার যে মেডিকেল টিম- তাদের অনেককে আমি চিনি। ওদের ওপর আমার শতভাগ আস্থা আছে। আমি মনে করি, উনারাই যথেষ্ট। ওনাকে (খালেদা জিয়া) টেনে হিঁচড়ে বিদেশে নেবার কোনো যুক্তি বা মেডিকেল নেসিসিটি আমি দেখি না। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। ওনার পরিবার আরো ভালো বুঝবেন।’

পরিশেষে অধ্যাপক রুমি খালেদা জিয়ার দীর্ঘ জীবন কামনা করেন। পাশাপাশি নিজ বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা কাজ চালিয়ে নেয়া এবং তাকে টানা-হিঁচড়া না করারও আহ্বান জানান তিনি। 

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য পাকিস্তান স্কলারশিপ দিবে

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর— সৌহার্দের অংশ হিসেবে ১০০ বাংলাদেশিকে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে।//

@@পাকিস্তানে কিছু কিছু ভালো ভালো ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে,
বিশ্ব রেংকিং এ তারা ঢাকা   ইউনিভার্সিটির চেয়ে এগিয়ে আছে। পাকিস্তানের কিছু  ভালো ইউনিভার্সিটি নাম বলা হলো এবং যারা স্কলারশিপ দেয়।

কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় ... ১৯৬৭  সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটিতে  পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ আছে।

পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত,  পাকিস্তানের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম  বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার,যা ফয়সালাবাদে অবস্থিত।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্সে এন্ড টেকনোলজি (NUST)  ইসলামাবাদে অবস্থিত, পাকিস্তানের একটি বিশিষ্ট পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়।

আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়।  স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রথম  পছন্দ। 

বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭৪ সালে মুলতানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু এটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন সুফি সাধক হযরত বাহা-উদ-দিন জাকারিয়ার নামে। 

লাহোর ইউনিভার্সিটি

করাচি ইউনিভার্সিটি

University of  Management and Technology

University of Peshawar //

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আগেও শিক্ষা বিষয়ক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল। তবে অনেকদিন ধরে তা বন্ধ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে আবারও এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে  কাজ করে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যে অন্যান্য খাতেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে এসে নোঙর করে একটি পণ্যবাহী জাহাজ।পাকিস্তান চাইতেছে বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হোক।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের উপর থেকে কেন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে?

সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের ওপর আরোপিত সব সম্পর্কের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় এবং সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


এর ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ ২০১৫ সালের আগের সেই স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ও পাকিস্তান।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা গণমাধ্যমকে বলেন, এক সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু এটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চান। সে দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি পুরোটাই একাডেমিক, এর বাইরে কোনো কিছু নেই।


এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রায় এক দশক পর উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। //

পাকিস্তানে কিছু কিছু ভালো ভালো ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে, 

বিশ্ব রেংকিং এ তারা ঢাকা   ইউনিভার্সিটির চেয়ে এগিয়ে আছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে ভালো ইউনিভার্সিটি হল :


কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় ... ১৯৬৭  সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটিতে  পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য শিক্ষাদান ও গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ আছে। 


পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত,  পাকিস্তানের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম  বিশ্ববিদ্যালয়। 


ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার,যা ফয়সালাবাদে অবস্থিত। 


ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্সে এন্ড টেকনোলজি (NUST)  ইসলামাবাদে অবস্থিত, পাকিস্তানের একটি বিশিষ্ট পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়।


আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়।  স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রথম  পছন্দ।  


বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭৪ সালে মুলতানে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু এটির নামকরণ করা হয়েছিল একজন সুফি সাধক হযরত বাহা-উদ-দিন জাকারিয়ার নামে।  


লাহোর ইউনিভার্সিটি 


কেন পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল? 


২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আ স ম আরেফিন সিদ্দিক প্রশাসন। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক এক্সচেঞ্জ বা সমঝোতা স্মারক নতুন করে সই হবে না এবং যেগুলো আছে, সেগুলোও স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি ১৯৫ পাকিস্তানির বিচার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো ও পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সিন্ডিকেট সভা থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।


সেসময় সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এ দেশে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়ে তারা অস্বীকার করেছে। যতদিন পর্যন্ত তারা গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে না, ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ঢাবি কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখবে না। নতুন করে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবেন না। একইভাবে তাদের কোনো ছাত্রও আমরা নেব না।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।