বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪

আজ  আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। আমেরিকনরা ৪ বছরের জন্য একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। প্রেসিডেন্ট যেই হোক ফিলিস্তিনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আর আমার বিশ্বাস আমেরিকনরা একজন  পুরষের পরিবর্তে  

মহিলাকে নির্বাচিত করবে না, অর্থাৎ ট্রাম্পেরই বিজয়ী হবার সম্ভাবনা বেশি। যাহোক আমরা আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি এবং ইলেক্ট্রোরাল ভোট সম্পর্কে আলোচনা করি। 


প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে অতীতের মতো এবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে। রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে এবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।


মার্কিন নাগরিকরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচকমণ্ডলীকে নির্বাচিত করে। ইলেক্টোরাল কলেজ' হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের 'ইলেকটরস' বলা হয়। 

ইলেক্টোরাল কলেজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় আইনের একটি জটিল ব্যবস্থা, যা দেশটির সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত। ‘কলেজ’ শব্দটির অর্থ এখানে সেই ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যারা একটি অঙ্গরাজ্যের ভোট দেওয়ার অধিকারী। এরা এক কথায় নির্বাচক মণ্ডলী। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছাই করেন।এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এর পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নিবেন মার্কিন নাগরিকরা। //


আমেরিকার নির্বাচনে ইলেকটোরাল  ভোটসংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে আছে সর্বোচ্চ ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট। আবার আলাস্কা, সাউথ ডাকোটা, ভারমন্টের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতিটিতে রয়েছে ৩টি করে ইলেকটোরাল ভোট।সাধারণত অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের হাতে থাকা ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীকেই দেয়, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।


যে বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, সেই বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। সেই হিসেবে আজ আমেরিকায় ভোট গ্রহন চলছে। 


সাধারণত নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই জয়লাভ করেন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী বেশি সংখ্যক ভোটারের ভোট পাওয়ার পরও বিজয়ী নাও হতে পারেন।যেমন ছিলেন আল গোর তিনি বেশি ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেননি। 


এই কারণ দেশটিতে ভোটাররা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয় ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ একটি ব্যবস্থায়। //


ধরুন  টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫১% পেয়েছেন, তাকে ওই অঙ্গরাজ্যের হাতে থাকা ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলিই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন।

একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও বিজয়ীপ্রার্থী ওই নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন বেশি পাবেন না। 



অর্থ্যাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ হলো একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। দেশটিতে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি।


কোন অঙ্গরাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট থাকবে, তা নির্ধারিত হয় সেখানে কতটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে। প্রতিটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের জন্য একটি করে ভোট এবং দুজন সিনেটরের জন্য দুটি ভোট বরাদ্দ থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫২টি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে। অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর মতোই সেখানেও রয়েছে ২টি সিনেট আসন। ফলে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যটির মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৪টি।


ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুযায়ী যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটও বেশি।

ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, ইলিনয়, পেনসিলভানিয়া—এই ছয় অঙ্গরাজ্যের হাতেই রয়েছে ১৯১টি ইলেকটোরাল কলেজ। উইনার "টেক ইট অল’ নীতির কারণে এই ছয় অঙ্গরাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ যিনি ভবিষ্যতের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এই ছয় অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট পেতে আপ্রাণ চেষ্টা  করেন। //


মাইন ও নেব্রাসকা- এই দু’টি অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিয়ে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পাবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর বিজয়ী প্রার্থীর  রানিং মেট হবেন দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট।



সাধারণ ভোটারদের ভোটে পিছিয়ে থেকেও ইলেকটোরাল ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত পাঁচজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, যার মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জ ডব্লিউ বুশও রয়েছেন। 


২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছিল ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনায়। দুই প্রার্থীর মধ্যে মাত্র কয়েকশ' ভোটের ব্যবধান ছিল।


এ নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনি যুদ্ধ, যার পরিণামে ভোট পুনর্গণনা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। অবশেষে বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডা রাজ্যের ২৫টি ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলো পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ টি এবং তার বিজয় নিশ্চিত হয়। আল গোর জনগণের  ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন। //



আমেরিকায় বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই আমেরিকান ভোটাররা প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে থাকেন। আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় 'রেড স্টেট' বা 'লাল রাজ্য' আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় 'ব্লু স্টেট' বা 'নীল রাজ্য'।


ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রসিডেন্ট প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোন শিবিরে যেতে পারে।


ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু ‘সুইং স্টেট’এর দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। এগুলোই হল আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনি রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে 'বেগুনি রাজ্য'।২০১৬ সালের নির্বাচনে এভাবেই ‘ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল

অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলি ।//


ইলেক্টোরাল ভোটে যদি কোনো প্রার্থী এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান বা টাই হলে তখন কি হবে? সেক্ষেত্রে মার্কিন আইন সভার নিম্ন-কক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।


এক্ষেত্রে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শীর্ষ তিন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাছাই করে থাকেন। বাকি দুইজন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেয় দেশটির সিনেট।যদিও এরকম ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে একবারই ঘটেছে। 


আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি ইলেকটোরাল ভোট গণনার পর ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামী কখন রাজনীতি করার সুযোগ পায়? এবং কে দেন সেই সুযোগ?

১৯৪১ সালের ২৬ অগাস্ট জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। লাহোরের ইসলামিয়া পার্কে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের ধর্মীয় রাজনীতিক আবুল আলা মওদুদী । তখন দলটির নাম ছিল জামায়াতে ইসলামী হিন্দ বা জামায়াতে ইসলামী ভারত।   পরের বছর জামায়াতের সদর দপ্তর লাহোর থেকে ভারতের পাঠানকোটে নেয়া হয়। 


১৯৪৫  সালে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এর প্রথম কনভেনশন হয় অবিভক্ত ভারতে এবং এর দু'বছর পর দেশভাগের আগ পর্যন্ত এই সংগঠনটি ১৯৪৭ সালে ভারতের মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে  পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলো।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর দলটির প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে যান। //


বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ১৯৫৮ সালে অন্য সব দলের সাথে পাকিস্তানে জামায়াতের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করেন তখনকার সেনা শাসক আইয়ুব খান। 


 মুসলিম পারিবারিক আইন ও শিক্ষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় দলটি।

বিশেষ করে মুসলিম পারিবারিক আইন নিয়ে তুমুল সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতাও তৈরি হয়। অধ্যাদেশের বিরোধিতার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতকে আবার নিষিদ্ধ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।

মওদুদী ও গোলাম আজমসহ অনেককে আটক করা হয়। একই বছরের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৫১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র চারটি আসন পায় দলটি।


মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার জামায়াতসহ ছয়টি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় জামায়াতও এর আওতায় পড়ে।//


বাংলাদেশের বিরোধিতা ও গণহত্যায় সহায়তার জন্য ১৯৭৩ সালে যে ৩৮ জনের নাগরিকত্ব বাংলাদেশ সরকার বাতিল করেছিলো গোলাম আজমও ছিলেন তার একজন। 


বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট  জিয়াউর রহমান  ববহুদলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তন করেন আবার জামায়াতকে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ করে দেন।  জিয়ার সরকার রাজনৈতিক দল সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনায়, ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামীর আবার পুনরুজ্জীবন ঘটে। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ বা আইডিএল থেকে নেতাকর্মীরা জামায়াতে ফেরেন। সেই সুযোগে গোলাম আযম ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে দলের আমির হন। কিন্তু নাগরিকত্ব না থাকায় তা গোপন রাখা হয়। ভারপ্রাপ্ত আমির হন আব্বাস আলী খান। //


পরে ১৯৯২ সালেই জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হন গোলাম আযম। ১৯৯৪ সালে উচ্চ আদালত তাঁকে নাগরিকত্ব দেন। 


২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় গেলে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রিত্ব পান। স্বাধীন বাংলাদেশে এটাই জামায়াতের প্রথম সরকারে অংশগ্রহণ।



২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয় এবং গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংস্কার করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি আসন পায় জামায়াত। এরপর তারা আর কোনো ভোটে অংশ নিতে পারেনি।


সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১শে জুলাই জামায়াতে ইসলামীকে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে  নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

সমুদ্র পথে গরিবের হজ্জের স্বপ্ন পুরন হবে কি?

এক সময়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠী যারা মক্কা থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকতো তাদের সারাজীবন এর স্বপ্ন হজ্জে যাওয়ার একমাত্র ব্যবস্থা ছিল পানির জাহাজে করে হজ্জে যাওয়া। ধনী গরিব সবার জন্য এই একই ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা ছিল। 


ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন বলেন, হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবছর যে চুক্তি হয়, তাতে উড়োজাহাজের কথা উল্লেখ থাকে, জাহাজের কথা বলা থাকে না। তা ছাড়া সমুদ্রপথে সময় লাগবে বেশি। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে? তিনি বলেন, ‘এসব সমস্যার কথা আমরা জানিয়েছি।, //


হজের খরচ কমানো এবং সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে দুই দেশ। সম্প্রতি 

সৌদি আরবের জেদ্দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে এ সম্মতির কথা জানানো হয়। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মতি লাগবে। 



আগামী হজ্জ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সমুদ্রপথে দুই-তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এ প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে সৌদি আরব।


সমুদ্রপথে জাহাজে করে হাজিদের পাঠানো গেলে বিমান থেকে ভাড়া ৪০ শতাংশ কম পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘একটা জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। তিন হাজার হাজি ধারণক্ষমতার এত বড় জাহাজ আমাদের নেই। আমাদের চার্টার্ড শিপ আনতে হবে। এটা আনতে দুই হাজার কোটি টাকা লাগবে।//


ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ বলেন, ‘সমুদ্রপথের বিষয়ে সৌদি সরকার থেকে চুড়ান্ত  অনুমোদন পেলে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করব। তারা যদি দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দেন, তাহলে হাজিদের নেওয়া হবে। এটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আরেকটি ইতিহাস তৈরি হবে।’



বিমানের ভাড়াও এবছর কমবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে বৈঠক করেছি, তারা ভাড়া কমানোর ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। ফলে আমরা আশাবাদী যৌক্তিকভাবে বিমানের ভাড়া নামিয়ে আনতে পারবো।’


তিনি বলেন, ‘আমরা দুটি হজ প্যাকেজ করতে চাই, একটি হারাম শরিফের কাছে এবং আরেকটি দুই-তিন কিলোমিটার দূরত্বে। দুই প্যাকেজেই আমরা আশা করছি, উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারবো।’


আমি নিজে দেখেছি পাকিস্তানিরা মক্কা শরীফ থেকে ৩-৪ কি.মি দুরের হোটেলে থাকে এজন্য তাদের হোটেল ভাড়া বেচে যায়। 


আমরাও আশা করছি যাদের কম সামর্থ্য আছে তারাও হজ্জে যেতে পারবেন এবং একজন মুসলমান হিসেবে তার জীবনের স্বপ্ন মক্কায় গিয়ে হজ্জ করতে পারবেন। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।  


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচরণবিধি ১৯৮৯ অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হয়। তবে এই বছরেরটা জমা দিতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে  সিলগালা খামে করে।//


সচিব বলেন, আগে পাঁচ বছর পর পর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ছিল। এখন প্রতি বছর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর সবাইকেই সম্পদের হিসাব জানাতে হবে।


সম্পদের তথ্য জমা না দিলে অথবা ভুল বা মিথ্যা হিসাব জমা দিলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এরকম এক প্রশ্নের জবাবে  এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, লঘুদণ্ডের মধ্যে প্রথমে রয়েছে তিরষ্কার করা। এছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে পদোন্নতি হবে না, আর্থিক ক্ষতি আদায় করা হবে। গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পদ থেকে নিচে নামিয়ে দেয়া, চাকরি থেকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর ও অপসারণের মতো পদক্ষেপ।//


তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রশাসনে ব্যাপক  আকারে দুর্নীতি করেছে তারা এখন সতর্ক হবে এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।



সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সম্পদের ভুল হিসাব জমা দিলে যেমন চাকরিচুত্যি হতে পারেন সেরকম আরও কিছু কারণে চাকরি যেতে পারে তা হলো :


১) ব্যাপক দুর্নীতির সাথে জড়িত হওয়া। 

২) প্রকাশ্য বা গোপনে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করা। 

৩) রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করা। 

৪) বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা বা তাদের এজেণ্টের পক্ষে কাজ করা। 

৫) বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করা যা

যা দেশের উপরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খারাপ প্রভাব পরে। //


যারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়ে দেশের স্বার্থের বিরোধী  কাজ করেন এবং অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে  দেশের গোপনীয়  তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেন তারা আসলে দেশ ও জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের প্রতি অর্পিত আমানতের খেয়ানত করেন। আমানতের খেয়ানত করা মুনাফিকের আলামত, মুনাফিকের আলামত তিনটা, মিথ্যা কথা বলা, আমানতের খেয়ানত করা, ওয়াদা ভঙ করা।  এই তিন দোষই ঐ সমস্থ বিশ্বাসঘাতক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে থাকে, এরা দুনিয়াতেও বিভিন্নভাবে অপদস্ত হয়,  পরিবার, সমাজ ও পরিবেশ থেকে মানসিকভাবে কখনো শান্তি পায় না, হতাশাগ্রস্থ থাকে আর আখেরাতে জাহান্নামের আগুন ছাড়া  তাদের জন্য কিছুই অপেক্ষা করে না। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

শেখ হাসিনা ভারত থেকে আরব আমিরাত গেছে, কিন্তু কবে কখন তা এখনো জানা যায়

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের দূর্ণীতি, অনিয়ম, দুঃশাসন আর অসংখ্য বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাকান্ড এবং ছাত্র জনতার  আন্দোলনে গুলি চালানোর জন্য  এই সাবেক সরকার প্রধানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের দাবীতে  ছাত্র-জনতা এখন একজোট। 


ছাত্র-জনতার প্রবল গন আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি।শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়  কিছুদিন আগেই। 


 দুই মাস ভারতে অবস্থান করার পর শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।


যদিও নিশ্চিতভাবে কোন সূত্রই বিস্তারিত জানায়নি যে, তিনি কখন কিভাবে ভারত ছেড়েছেন।  তিনি আরব আমিরাতের আজমান শহরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরব আমিরাতের আজমানে শামীম ওসমানকে দেখা গেছে এবং সেখানে  তার একটি বাড়ি আছে বলে শোনা গেছে।সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও আছেন বলে খবরে দাবি করা হচ্ছে। তবে সেখানেও সম্ভবত  দীর্ঘস্থায়ীভাবে থাকবেন  না তারা।


এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দেশটি রাজি হয়নি। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে  মানা করে দেয়।


একাধিক সূত্রের খবর সম্প্রতি  যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছিল, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন।


 আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে দেশের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পরতে হয়েছে। মোদি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে বেশকিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়।


আরব আমিরাতের আজমাইনে শেখ হাসিনা ঠিক কত দিন অবস্থান করবেন এবং তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, সে বিষয়েও এখনো জানা যায়নি। তবে সম্ভবত শিগগিরই পাড়ি জমাতে পারেন অন্য কোনো দেশে। হতে পারে তা ইউরোপ, মধ্য এশিয়া বা আফ্রিকার কোন দেশে। 


কোন প্রেক্ষাপটে এবং কি শর্তে  আরব আমিরাত শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ের অনুমতি দিয়েছে সে সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আশাকরি খুব শীঘ্রই সব কিছু জানা যাবে। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের দলের ব্যাপক সংঘর্ষ, এবং সেখানে বাংলাদেশ কায়দায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের দলের ব্যাপক সংঘর্ষ, এবং সেখানে বাংলাদেশ কায়দায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। 


গত শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়  সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই এর সমর্থকদের সাথে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর  মধ্যে,  এরপর সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। গতকাল শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সেখানেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়,

ইসলামাবাদেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডিও উত্তপ্ত হয়ে আছে। এর মধ্যেই সেখানকার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে যাতে আন্দলোন ব্যাহত হয়। 


ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে,

গতশুক্রবার ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থকরা জড়ো হন। যদিও সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এটি ভঙ্গ করে তারা সমবেত হন। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।


গতকাল  শনিবার ছিল লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে জড়ো হওয়ার দিন ইমরানের সমর্থকদের জন্য  এজন্য  মিনার-ই-পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। তারা জড়ো হলে লাহোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে পাঞ্জাব প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করে। সেনাদের বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে মোতায়েন করা হয়। মিনার-ই-পাকিস্তানে ইমরানের পিটিআই সমর্থকেরা জড়ো হয় এবং ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর আগে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কর্মী সমর্থকদের লাহোরের সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন , যদি পুলিশি বাধায় লাহোরে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে যেন সবাই যার যার শহরেই অবস্থান নেন।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন কি? এই ডিভিশন কারা পাবেন?

আসসালামু আলাইকুম, আজ আমরা আলোচনা করব জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন এর ব্যাপারে। 


সারা পৃথিবীর এবং সব অপরাধীদের কাছেই জেলখানা একটা ভয়ংকর জায়গা। যেখানে কেউই কোন সুখের কিছু আশা করে না, অনেক বাধ্য বাধকতার মধ্যে যেখানে আবদ্ধ থাকতে হয়। এই কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যেই কিছু অপরাধী অন্যদের তুলনায় ভালো সুযোগ পান যা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জেলখানার সেই সৌভাগ্যবান অপরাধী কারা? এবং তারা কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পান? 


বিবিসি বাংলাকে , সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুল হায়দার সিদ্দিকী

বলেন, জেল কোড অনুসারে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কারাগারে ডিভিশন প্রদান করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশেও কাউকে কাউকে ডিভিশন দেওয়া হয়। 


তিনি বলেন, তিন শ্রেণীর ডিভিশন দেয়া হয়ে থাকে। ডিভিশন-১, ডিভিশন-২ এবং ডিভিশন-৩।


এ ধরনের ডিভিশনপ্রাপ্তরা কি ধরনের সুবিধা পাবেন জানতে চাইলে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মি: হায়দার বলেন, " বিধি অনুসারে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন-প্রাপ্তদের প্রত্যেক বন্দির জন্য আলাদা রুম থাকে। খাট, টেবিল,চেয়ার,তোষক,বালিশ, তেল, চিরুনী, আয়না সবকিছুই থাকে। আর তার কাজকর্ম করে দেয়ার জন্য আরেকজন বন্দীও দেয়া হয়। ছেলে বন্দীর ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসেবে ছেলে আর মেয়ে বন্দীর জন্য একজন মেয়ে থাকবেন।"


এছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে কারাগারের ভেতরে পাঠিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বন্দির চাহিদার প্রেক্ষিতে বইপত্র এবং দু-তিনটি দৈনিক পত্রিকাও থাকবে। 


সাধারণ বন্দিদের চেয়ে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির খাবারের মানও যথেষ্ট ভালো থাকে। সাধারণ বন্দিরা যেখানে ফ্লোরে শুয়ে থাকেন সেখানে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা খাটের উপরে শুয়ে থাকেন। 


সাধারণত সামাজিক মান- মর্যাদা অবস্থান বিবেচনায় ডিভিশন প্রদান করা হয় বলে জানান সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক শামসুল হায়দার।


কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পান সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সিআইপি ও সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া ডিভিশন সুবিধার জন্য যে কোনো বন্দি নিজের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন।


কারা কর্তৃপক্ষ সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসবে তিনি ডিভিশন পাবেন কি-না?


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালত যদি কোনো বন্দিকে ডিভিশন সুবিধার আবেদন মঞ্জুর করে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়- তাহলে সেই বন্দি ডিভিশন সুবিধা পেয়ে থাকেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।