সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

২১ জানুয়ারী বেক্সিমকোর কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের একটা সমাবেশ হবে

আগামীকাল ২১ জানুয়ারী বেক্সিমকোর কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের একটা সমাবেশ হবে। দুপুর ২ টায় চক্রবর্তী সংলগ্ন সানসিটি মাঠে এই সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি ব্যাংকিং সুবিধা পূর্নবহাল, বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া। আজ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় এর সময় এই সমাবেশের ঘোষণা দেন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

আপনাদের যুক্তিসংগত দাবির  প্রতি আমাদের,সমর্থন ও সমবেদনা আছে।আপনাদের প্রতি অনুরোধ  রাস্তা আটকিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না এবং মানুষের  অভিশাপ নিবেন না। কারন এই রাস্তার কোন বিকল্প নাই। আল্লাহ আপনাদের সবার ভালো করুক।

আজ এই পর্যন্তই

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫

শেয়ারবাজারকে ভালো অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য কি করছে সরকার?

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়েছে, একইসময়ে বিশ্বের অন্যসব দেশের শেয়ারবাজার এগিয়েছে। দেশের শেয়ারবাজারকে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিয়ে যেতে কাজ করা হচ্ছে, তবে আমাদের শেয়ারবাজারের সমস্যা অনেক গভীরে। তাই সমাধানে একটু সময় লাগবে।এই অবস্থায় বর্তমান সময়ে দেশের সব স্টেকহোল্ডাররা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে অনেক সমস্যায় ছিল। এরমধ্যে অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপ। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের মানব সম্পদের অদক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।



ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান বলেন, সবকিছুই বিফলে যাবে, যদি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আমরা ধরে রাখতে না পারি। এজন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪টি কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।//



তিনি বলেন, ৪টি কাজের মধ্যে দ্রুত সময়ে কিছু ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এছাড়া নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যার সমাধান, ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া ও ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করা। এই ধরনের ট্রেডিংয়ের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নিয়েছি। 


তিনি আরও  বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে দেশের পুঁজিবাজার গতি ফিরে পাবে। দীর্ঘদিনের অনিয়ম-দুনীতির বিষয়ে টাক্সফোর্স কাজ করছে। ইতিমধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। জুনের মধ্যে সব সংস্কারগুলো শেষ হবে না। তবে কিছু কিছু সংস্কার হয়ে যাবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়তা করবে। বিনিয়োগিকারী বিশ্বাস করতে শুরু করবে যে, সংস্কার হচ্ছে। পুঁজিবাজারে দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। এখানে অন্যায় করে ছাড় পাওয়া যাবে না, সেই আস্থা ফিরবে। ফলে জুন নাগাদ সংষ্কারের কিছু ব্যাপারে বাজারে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে। আমরা আশা করছি জুন নাগাদ শেয়ারবাজারে ভালো অবস্থা দেখতে পারবো।



আমরাও আশাকরি শেয়ারবাজার ভালো অবস্থায় ফিরবে এবং বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাবে। 


আজ এই পর্যন্তই


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫

পিনাকী ভট্টাচার্য এর পোস্ট লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তির ব্যাপারে

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ১৬ ই জানুয়ারি বেলা দুইটার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় কারা ফটকে অপেক্ষমাণ নেত্রকোনা থেকে আসা তাঁর সমর্থক ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।


গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে হওয়া বিভিন্ন মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় আট বছরের দণ্ড থেকে ও ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ শে আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন  আদালত। সবশেষ ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে লুৎফুজ্জামান বাবর খালাস পান।//



এবার সেই  বাবরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশি লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, "পৃথিবী এমন অনেক চমক নিয়ে অপেক্ষা করে।"


 পিনাকী  ভট্টাচার্য আরও লিখেন, লুৎফুজ্জামান বাবরকে অভিনন্দন। সতেরো বছর জালেমের কারাগারে থেকে নিপিড়ীত হওয়ার পরে কোনো একদিন তিনি মুক্ত হবেন এইটা হাসিনার দলের লোকেরাও হয়তো ভাবেনি।


পৃথিবী এমন অনেক চমক নিয়ে অপেক্ষা করে বলে পিনাকী লিখেছেন, আশা করি তিনি পূর্ণ উদ্যমে রাজনীতি আর মানুষের সেবায় কাজ শুরু করবেন।


আজ এই পর্যন্তই


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।



রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫

চীনের নতুন HMPV ভাইরাস এবং কোভিড-১৯ এর মধ্যে পার্থক্য কি?

COVID-19 এর প্রাদুর্ভাব এর পাঁচ বছর পরেই, চীনে সারাবিশ্ব  হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV) এর প্রাদুর্ভাব প্রত্যক্ষ করছে। আরেকটি মহামারীর আশংকাজনক হুমকি সোশ্যাল মিডিয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট এ দেখা যাচ্ছে যে চীনের হাসপাতাল এবং শ্মশানগুলি এইচএমপিভি ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার খবরে অভিভূত।


 বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের কিছু ভিডিও তে   দাবি করা হচ্ছে যে হাসপাতালগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯, এইচএমপিভি এবং মাইকোপ্লাজমা এবং নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দ্বারা পরিপূর্ণ।  এমনকি এও দাবি করা হচ্ছে যে চীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।  তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চিয়তা জানা যায়নি। 

//



চিন থেকেই COVID-19 ছড়িয়েছিল।করোনাভাইরাসের সঙ্গে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস সংক্রমণের ধরণ, উপসর্গে অনেক মিল আছে।যে গোষ্ঠীকে অ্যাটাক করছে, সেটার ক্ষেত্রেও মিল রয়েছে। HMPV এবং কোভিড-১৯-এর মধ্যে অনেক মিল রয়েছে,  উভয় ভাইরাসই কাশি, জ্বর, স্বাস আটকেযাওয়া , গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো  সমস্যা সৃষ্টি করে এবং উভয়ই হাচি কাশির মাধ্যমে পতিত droplet এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু  করোনাভাইরাস যখন এসেছিল, তখন বলা হয়েছিল যে COVID-19  একটি অজানা ভাইরাস। সেক্ষেত্রে HMPV হলো  ২৪ বছরের পুরনো ভাইরাস। 


রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে উভয় ভাইরাসের  ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। HMPV  ভাইরাস সাধারণত শীত ও বসন্তের সময় বেশি ছড়ায় কিন্তু , কোভিড-১৯ তার  বিবর্তিত রূপের কারণে সারা বছর ধরেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।


আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫

সেভেন সিস্টার্সকে বাঁচাতেই মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করে ভারত: সারজিস

গতকাল চট্টগ্রামে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত ‘ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কসারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন‍্য নয়, সেভেন সিস্টারসকে বাঁচাতেই ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল। সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগের মাধ‍্যমে ভারত দীর্ঘদিন আমাদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ভুল করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আসলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি,  বাংলাদেশের ব্যাপারে পাকিস্তান ছিল অদূরদর্শী কিন্তু ভারত সেখানে অনেক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি থাকার পরও তারা বাংলাদেশের মানুষকে সমান অধিকার  দূরের কথা সামান্য অধিকারও দেয়নি, অথচ বাংলাদেশে যে  উপজাতিরা  থাকে তারা আমাদের সমস্ত সমগ্র জনসংখ্যার ১ শতাংশও না। অথচ তাদেরকে যেই সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় পাকিস্তান যদি আমাদেরকে সেই  সুযোগ সুবিধাও দিত তাহলে যুদ্ধ হত না। আর পাকিস্তানও বাংলাদেশকে হারাত না, বাংলাদেশকে হারালে তাদের কি ক্ষতি হবে এই বিষয়ে তাদের কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। আসলে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে অনেক দূর থেকে এসে দমিয়ে রাখা কঠিন। //

এখন আসা যাক বাংলাদেশ তার বাংলাদেশের উপজাতিদের সাথে কেমন ব্যবহার করে, আমি সম্ভবত ১৯৯২ ৯৩ সালের কথা বলছি। বুয়েটে  কম্পিউটার সাইন্স চালু হয়  ২০ টা আসন নিয়ে তার মধ্যে ১৮ টা ছিল বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের জন্য  আর ২টা আসন ছিল উপজাতীয় কোটায় উপজাতিদের জন্য, অথচ তাদের চেয়ে হাজার হাজার মেধাবী  ছাত্র থাকার পরেও কোটার কারণে তারা ভর্তি হতে পারেনি। বাংলাদেশের উপজাতিরা আকারে খাটো হবার পরেও আইন পরিবর্তন করে বিভিন্ন বাহিনীতে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশের বাঙালিরা তাদের চেয়ে লম্বা হওয়ার পরও কোটার কারণে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়।  আর একটা একটা উদাহরণ দেই যা বিশ্বে বিরল,  আপনি একজন বাংলাদেশী হিসাবে আপনি অধিকার রাখেন যে আপনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলার যে কোন জেলায় জমি কিনবেন কিন্তু একজন বাংলাদেশের বাঙালি হিসেবে আপনার সেই অধিকার নেই, আপনি বাংলাদেশের তিন জেলায় জমি কিনতে পারবেন না  ওই জেলা তিনটা হলো   রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। কিন্তু বাংলাদেশের উপজাতিরা বাংলাদেশের ৬৪ জেলায়ই জমি কিনতে পারবেন। তাদের কোন বাধা নেই,কিরকম বৈষম্যমুলক আইন।  এরকম বিরল আইন  পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কিনা সন্দেহ। এইসব চিন্তা করলে পাকিস্তান আমাদেরকে সামান্যতম সুযোগ সুবিধা দেয়নি অথচ  সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশ থেকে।

কিন্তু পাকিস্তানের চেয়ে চীন  অনেক বেশি দূরদর্শী ছিল তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় চীন মনে সবচেয়ে বেশি  কষ্ট পেয়েছিল।  এবং এই কারণে  তারা সবার শেষে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে, ভারতের বর্তমান মানচিত্র এতদিনে হয়তো পরিবর্তন হয়ে যেত। 

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকো পরিস্থিতির কোনো দায় নিতে চায় না সরকার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেক্সিমকো শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘিরে উদ্ভূত কোনো পরিস্থিতির দায় দায় নেবে না সরকার,দায় এই প্রতিষ্ঠানটিকেই নিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, “বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের তিন মাসের টাকার অতিরিক্ত আর কোনও আর্থিক সহায়তা দেবে না সরকার। বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে তা বন্ধ করবে কি-না, সে বিষয়ে বেক্সিমকোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় বেক্সিমকোকেই নিতে হবে।”  

২০২৪ সালে ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমানে ঋণ নেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। ২০২১ সালে জনতা ব্যাংকে বেক্সিমকোর ঋণ ছিল ১৪ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকায়। এই ঋণের বেশিরভাগই খেলাপি। এখন আবার নতুন করে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ করছে গ্রুপটি। অথচ হাজার কোটি টাকার বেশি রপ্তানি আয় দেশে ফেরত আনছে না বেক্সিমকো।//

উপদেষ্টা কমিটির  সভার শুরুতেই বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কর্মরতদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  জনতা ব্যাংক পিএলসির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক সভাকে অবহিত করেন যে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ মাসের বেতনের টাকা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। তা ছাড়ও করা হয়েছে।


সরকার এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের পর যেহেতু আর কোনও আর্থিক সহযোগিতা করতে পারবে না সেহেতু বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষের কোম্পানিসমূহের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে সম্পর্কে সভায় অন্যান্য সদস্যদের মতামত আহ্বান করা হয়। এছাড়া শ্রমিক-কর্মচারিদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার জন্য সভাপতি কর্তৃক মালিকপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।


তবে কোনোভাবেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর না পড়ে সে বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়। 

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর না পড়ে সে বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে কোনরূপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

আয়কর রিটার্ন কি? আয়কর রিটার্ন কাদের জন্য প্রযোজ্য? Zero return (জিরো রিটার্ন) বা শূন্য রিটার্ন  কি?

আয়কর রিটার্ন কি?

আয়কর রিটার্ন হচ্ছে বাৎসরিক আয়ের সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণী। আয়কর রিটার্ন হল এমন একটি ফর্ম যেখানে আয়কর বিভাগে তার আয় এবং ট্যাক্স সম্পর্কিত তথ্য ফাইল করা হয়। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত  একটি  ফর্মে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।  ফরমে আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য উপস্থাপন করার নামই হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। এই কাঠামোবদ্ধ ফরমটি আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রস্তুত করে। আয়কর রিটার্নের কাঠামে আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে।

এই ফর্মটি মূলত নির্ধারিত আয়ের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার জন্য তাদের করযোগ্য আয়ের হিসাব এবং মোট কর দায় বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে।//

কারা আয়কর রিটার্ন  দিবে?  আয়কর রিটার্ন কাদের জন্য প্রযোজ্য?

আয়কর রিটার্ন কিভাবে দিতে হয় জানার আগে আমরা জানব আয়কর রিটার্ন দেয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি কারা। আমাদের মনে রাখা উচিত  হবে যে রিটার্ন দাখিল করা আর আয়কর পরিশোধ করা দুটি এক জিনিস নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেবার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই চলবে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।


আয়কর রিটার্ন যারা দাখিল করবে  

১) সাধারণভাবে কোন ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার আয় যদি বছরে ৩,৫০,০০০ টাকার বেশি হলে তাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে

২) মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৪,০০,০০০

৩) প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে বছরে ৪,০০,০০০ টাকা আয় সীমা এবং

৪) গেজেটভূক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ক্ষেত্রে এই আয় সীমা ৫,০০,০০০ টাকা।

৫) তৃতীয় লিংগ করদাতাদের জন্য ৪,৭৫,০০০ টাকা।
//

জিরো রিটার্ন কি?

যে পরিপ্রেক্ষিতে কোনো রূপ ট্যাক্স বা কর প্রদান ছাড়াই রিটার্ন জমা দেওয়া হয়, তখন তা শূন্য বা জিরো রিটার্ন হিসেবে অভিহিত হয়। সহযে বলা যায়, যদি কোনো পুরুষের বাৎসরিক আয়  ৩,৫০,০০০ টাকা এবং মহিলার বাৎসরিক আয়  ৪,০০,০০০ টাকার নিচে হয় তবে তাকে কোনো প্রকার ট্যাক্স পরিশোধ করার দরকার নেই। এক্ষেত্রে কেবল সরকারকে বৈধ উপায়ে বার্ষিক আয়-ব্যায়ের হিসাব দেখানোর পদ্ধতিকেই জিরো ট্যাক্স রিটার্ন বলে। অর্থাৎ করমুক্ত সীমার মধ্যে থাকা আয়ের বিপরীতে প্রদানকৃত রিটার্নকেই Zero return বা শূন্য রিটার্ন বলে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।