মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

আজ আমরা জানব কি কি কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যায়।  


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচরণবিধি ১৯৮৯ অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হয়। তবে এই বছরেরটা জমা দিতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে  সিলগালা খামে করে।//


সচিব বলেন, আগে পাঁচ বছর পর পর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ছিল। এখন প্রতি বছর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর সবাইকেই সম্পদের হিসাব জানাতে হবে।


সম্পদের তথ্য জমা না দিলে অথবা ভুল বা মিথ্যা হিসাব জমা দিলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এরকম এক প্রশ্নের জবাবে  এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, লঘুদণ্ডের মধ্যে প্রথমে রয়েছে তিরষ্কার করা। এছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে পদোন্নতি হবে না, আর্থিক ক্ষতি আদায় করা হবে। গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পদ থেকে নিচে নামিয়ে দেয়া, চাকরি থেকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর ও অপসারণের মতো পদক্ষেপ।//


তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রশাসনে ব্যাপক  আকারে দুর্নীতি করেছে তারা এখন সতর্ক হবে এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।



সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সম্পদের ভুল হিসাব জমা দিলে যেমন চাকরিচুত্যি হতে পারেন সেরকম আরও কিছু কারণে চাকরি যেতে পারে তা হলো :


১) ব্যাপক দুর্নীতির সাথে জড়িত হওয়া। 

২) প্রকাশ্য বা গোপনে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করা। 

৩) রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করা। 

৪) বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা বা তাদের এজেণ্টের পক্ষে কাজ করা। 

৫) বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করা যা

যা দেশের উপরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খারাপ প্রভাব পরে। //


যারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়ে দেশের স্বার্থের বিরোধী  কাজ করেন এবং অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে  দেশের গোপনীয়  তথ্য উপাত্ত দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেন তারা আসলে দেশ ও জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের প্রতি অর্পিত আমানতের খেয়ানত করেন। আমানতের খেয়ানত করা মুনাফিকের আলামত, মুনাফিকের আলামত তিনটা, মিথ্যা কথা বলা, আমানতের খেয়ানত করা, ওয়াদা ভঙ করা।  এই তিন দোষই ঐ সমস্থ বিশ্বাসঘাতক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে থাকে, এরা দুনিয়াতেও বিভিন্নভাবে অপদস্ত হয়,  পরিবার, সমাজ ও পরিবেশ থেকে মানসিকভাবে কখনো শান্তি পায় না, হতাশাগ্রস্থ থাকে আর আখেরাতে জাহান্নামের আগুন ছাড়া  তাদের জন্য কিছুই অপেক্ষা করে না। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

শেখ হাসিনা ভারত থেকে আরব আমিরাত গেছে, কিন্তু কবে কখন তা এখনো জানা যায়

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের দূর্ণীতি, অনিয়ম, দুঃশাসন আর অসংখ্য বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাকান্ড এবং ছাত্র জনতার  আন্দোলনে গুলি চালানোর জন্য  এই সাবেক সরকার প্রধানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের দাবীতে  ছাত্র-জনতা এখন একজোট। 


ছাত্র-জনতার প্রবল গন আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি।শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়  কিছুদিন আগেই। 


 দুই মাস ভারতে অবস্থান করার পর শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।


যদিও নিশ্চিতভাবে কোন সূত্রই বিস্তারিত জানায়নি যে, তিনি কখন কিভাবে ভারত ছেড়েছেন।  তিনি আরব আমিরাতের আজমান শহরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরব আমিরাতের আজমানে শামীম ওসমানকে দেখা গেছে এবং সেখানে  তার একটি বাড়ি আছে বলে শোনা গেছে।সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও আছেন বলে খবরে দাবি করা হচ্ছে। তবে সেখানেও সম্ভবত  দীর্ঘস্থায়ীভাবে থাকবেন  না তারা।


এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দেশটি রাজি হয়নি। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে  মানা করে দেয়।


একাধিক সূত্রের খবর সম্প্রতি  যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছিল, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন।


 আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে দেশের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পরতে হয়েছে। মোদি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে বেশকিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়।


আরব আমিরাতের আজমাইনে শেখ হাসিনা ঠিক কত দিন অবস্থান করবেন এবং তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, সে বিষয়েও এখনো জানা যায়নি। তবে সম্ভবত শিগগিরই পাড়ি জমাতে পারেন অন্য কোনো দেশে। হতে পারে তা ইউরোপ, মধ্য এশিয়া বা আফ্রিকার কোন দেশে। 


কোন প্রেক্ষাপটে এবং কি শর্তে  আরব আমিরাত শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ের অনুমতি দিয়েছে সে সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আশাকরি খুব শীঘ্রই সব কিছু জানা যাবে। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের দলের ব্যাপক সংঘর্ষ, এবং সেখানে বাংলাদেশ কায়দায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে ইমরান খানের দলের ব্যাপক সংঘর্ষ, এবং সেখানে বাংলাদেশ কায়দায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। 


গত শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়  সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই এর সমর্থকদের সাথে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর  মধ্যে,  এরপর সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। গতকাল শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সেখানেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়,

ইসলামাবাদেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডিও উত্তপ্ত হয়ে আছে। এর মধ্যেই সেখানকার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে যাতে আন্দলোন ব্যাহত হয়। 


ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে,

গতশুক্রবার ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থকরা জড়ো হন। যদিও সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এটি ভঙ্গ করে তারা সমবেত হন। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।


গতকাল  শনিবার ছিল লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে জড়ো হওয়ার দিন ইমরানের সমর্থকদের জন্য  এজন্য  মিনার-ই-পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। তারা জড়ো হলে লাহোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে পাঞ্জাব প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করে। সেনাদের বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে মোতায়েন করা হয়। মিনার-ই-পাকিস্তানে ইমরানের পিটিআই সমর্থকেরা জড়ো হয় এবং ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এর আগে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কর্মী সমর্থকদের লাহোরের সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন , যদি পুলিশি বাধায় লাহোরে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে যেন সবাই যার যার শহরেই অবস্থান নেন।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন কি? এই ডিভিশন কারা পাবেন?

আসসালামু আলাইকুম, আজ আমরা আলোচনা করব জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন এর ব্যাপারে। 


সারা পৃথিবীর এবং সব অপরাধীদের কাছেই জেলখানা একটা ভয়ংকর জায়গা। যেখানে কেউই কোন সুখের কিছু আশা করে না, অনেক বাধ্য বাধকতার মধ্যে যেখানে আবদ্ধ থাকতে হয়। এই কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যেই কিছু অপরাধী অন্যদের তুলনায় ভালো সুযোগ পান যা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জেলখানার সেই সৌভাগ্যবান অপরাধী কারা? এবং তারা কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পান? 


বিবিসি বাংলাকে , সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুল হায়দার সিদ্দিকী

বলেন, জেল কোড অনুসারে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কারাগারে ডিভিশন প্রদান করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশেও কাউকে কাউকে ডিভিশন দেওয়া হয়। 


তিনি বলেন, তিন শ্রেণীর ডিভিশন দেয়া হয়ে থাকে। ডিভিশন-১, ডিভিশন-২ এবং ডিভিশন-৩।


এ ধরনের ডিভিশনপ্রাপ্তরা কি ধরনের সুবিধা পাবেন জানতে চাইলে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মি: হায়দার বলেন, " বিধি অনুসারে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন-প্রাপ্তদের প্রত্যেক বন্দির জন্য আলাদা রুম থাকে। খাট, টেবিল,চেয়ার,তোষক,বালিশ, তেল, চিরুনী, আয়না সবকিছুই থাকে। আর তার কাজকর্ম করে দেয়ার জন্য আরেকজন বন্দীও দেয়া হয়। ছেলে বন্দীর ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসেবে ছেলে আর মেয়ে বন্দীর জন্য একজন মেয়ে থাকবেন।"


এছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে কারাগারের ভেতরে পাঠিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বন্দির চাহিদার প্রেক্ষিতে বইপত্র এবং দু-তিনটি দৈনিক পত্রিকাও থাকবে। 


সাধারণ বন্দিদের চেয়ে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির খাবারের মানও যথেষ্ট ভালো থাকে। সাধারণ বন্দিরা যেখানে ফ্লোরে শুয়ে থাকেন সেখানে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা খাটের উপরে শুয়ে থাকেন। 


সাধারণত সামাজিক মান- মর্যাদা অবস্থান বিবেচনায় ডিভিশন প্রদান করা হয় বলে জানান সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক শামসুল হায়দার।


কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পান সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সিআইপি ও সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া ডিভিশন সুবিধার জন্য যে কোনো বন্দি নিজের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন।


কারা কর্তৃপক্ষ সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসবে তিনি ডিভিশন পাবেন কি-না?


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালত যদি কোনো বন্দিকে ডিভিশন সুবিধার আবেদন মঞ্জুর করে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়- তাহলে সেই বন্দি ডিভিশন সুবিধা পেয়ে থাকেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাসে হাফ ভাড়া কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে?

বাসে হাফ ভাড়া কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে? 

আসসালামু আলাইকুম, আমরা সবাই-ই বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় পেলে খুশী হই, কিন্তু এই ছাড় আসলে কারা পাবে? 



গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বরে  সড়ক পরিবহন সেক্টরে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা ও বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া নিয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন  প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিনই হাফ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। //


 ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম 

স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটনে চলাচল করা বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া সপ্তাহে সাতদিনই কার্যকর থাকবে বলে 

জানিয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্ত শুধু মেট্রো এলাকায় কার্যকর থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো  বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। হাফ ভাড়ার জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইউনিফর্ম পরা থাকতে হবে অথবা পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আফগানিস্তান যেই বিরল উদাহরণ দেখালো তা বিশ্বে বিরল

 আফগানিস্তান যেই বিরল উদাহরণ দেখালো তা বিশ্বে বিরল। সারা পৃথিবী আফগানিস্তানকে দারিদ্র্য পীরিত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ বলেই চিনে। কিন্তু তালেবানরা যখন দ্বিতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসলো তখন থেকেই তারা কাজেকর্মে   আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক। এবং অনেক উল্লেখযোগ্য ভালো ভালো কাজ তারা করে যাচ্ছে। সেই ভালো কাজেরই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানের হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৪ সালে হজের জন্য জমা দেয়া অর্থ থেকে যা বেঁচে গেছে তা হাজীদেরকে ফেরত দেয়া হবে। এরকম ঘটনা কি আমরা বাংলাদেশের ব্যাপারে কল্পনা করতে পারি? /


২০২২ সালেই প্রথম আফগানিস্তান হাজিদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দেয়।  সেবারই প্রথমবারের মতো তালেবান শাসনামলে আফগানরা হজযাত্রা করেন। তখন প্রত্যেক হাজি ফেরত পেয়েছিলেন  ৫১৫ ডলার।


আফগানিস্তানের  ধর্মমন্ত্রী নূর মোহাম্মদ সাকিব

বলেন, এ বছর হজ্জের জন্য হাজিদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১১ কোটি ২০ লাখের বেশি ডলার ব্যয় হয়েছে। বাকি অর্থ সরকারের কাছে রয়ে গেছে। মন্ত্রী  জানান, বেঁচে যাওয়া অর্থ থেকে প্রত্যেক হাজি ৩৭ ডলার করে ফেরত পাবেন।/


হাজিদের অর্থ ফেরত দেয়ার খবরে  এক আফগান নাগরিক মন্তব্য করেন, সুদিন আসছে এবং এভাবেই আসবে। আমরা আবারও সততা, বিশ্বস্ততা এবং গৌরব ও আভিজাত্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো- ইনশাআল্লাহ।


আর আমাদের দেশে হজ্জের খরচ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করে। ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া থেকে  সৌদি আরবের দূরত্ব বেশি হওয়ার পরেও তাদের দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশের চেয়ে কম টাকায় হজ্জ করে। দূরত্ব বেশি হলে স্বাভাবিক ভাবেই বিমান ভাড়া বেশি পরে। কিন্তু তারপরও ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ার মানুষ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম টাকায় হজ্জ করে। /


যেমন বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজ্জের জন্য সরকারিভাবে হজ্জ প্যাকেজ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।


ইন্দোনেশিয়া থেকে  হজ্জে যেতে হলে জনপ্রতি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৩ টাকা খরচ হয়। হজ্জযাত্রায় আরও টাকা লাগলে সেটি সরকারের ‘হজ্জ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ থেকে ভর্তুকি দেওয়া হয়।


মালয়েশিয়া থেকে হজ্জে যেতে সর্বনিম্ন ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হয়।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ এর ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার আযমী কি বলেন?

   মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ  এর ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার আযমী কি বলেন?

আমরা শুনেছি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হওয়ার কথা এই ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার আযমী যা বলেন।

গতকাল  ৩ রা সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ব্রিগেডিয়ার আযমী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে  প্রশ্ন তুলেছেন। 


  তিনি ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের তথ্যকে ‘কাল্পনিক’ বলায়  সমালোচিত হয়েছিলেন।


সংবাদ সম্মেলনে সেই একই প্রশ্ন তুলে তিনি আবার বলেন, “শেখ মুজিব সাহেব ৩ লাখ বলতে গিয়ে ভুলে  ৩ মিলিয়ন বলেছেন এবং এটাই পরবর্তীতে ৩০ লাখ হয়ে গেছে। কোনো জরিপ ছাড়া ৩০ লাখ শহীদ বলে বলে তারা মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।


“আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আপনারা জরিপ করে বের করেন, একচুয়ালি ৩০ লাখ হোক আর ৩ কোটি হোক। আমার জানামতে, এটা ২ লাখ ৮৬ হাজার। তারা ৩ লাখকে ৩০ লাখ বানিয়ে ফেলেছে। এখনো সময় আছে, জাতিকে সত্য ইতিহাস জানতে দিন। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মিথ্যার উপরে আপনারা গড়ে তুলতে দেবেন না। আপনারা সত্যিকার একটা জরিপ করার   ব্যবস্থা করেন।”



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।