বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪

জমজমের পানি কেন পান করবেন? জমজম কূপের পানি পানের সময় যা যা করতে বলেছে সৌদি আরব

আসসালামু আলাইকুম,
জমজম কূপের পানি পান নিয়ে  সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়  যা যা করতে বলেছে তা জানার আগে, জমজমের পানির ব্যাপারে কিছু হাদিস জেনে নেই।

নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন , জমজমের পানি যেই নিয়তে পান করা হয় সেই নিয়ত হাছেল হয়। অন্য হাদীছে আছে, জমজমের পানি  পেট ভরার জন্য খেলে পেট ভরে আর তৃষ্ণা নিবারণের জন্য খেলে পিপাসা মিটে। উহা জিব্রাঈলের খেদমত, ইছমাঈলের রাস্তা। খেদমত অর্থ জিব্রাঈলের চেষ্টায় উহা বাহির হয়েছে।  নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন আর সাধারণ পানি বসে পান করতেন।

বিখ্যাত হাদিছ সম্রাট  ছুফিয়ান বিন্ উয়াইনার খেদমতে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হুজুর! জমজমের পানি যে নিয়তে খাওয়া হয় সেই নিয়ত পুরা হয়- এই হাদীছ কি সত্য? তিনি বলেন, হাঁ সত্য। লোকটি বলল, আমি
এই নিয়তে পান করেছি যে, আপনি আমাকে ২০০ শত হাদীছ শুনাবেন। তিনি বললেন, আচ্ছা বস। এই বলে তিনি দুই শত হাদীছ শুনিয়ে দিলেন।

হজরত ওমর (রাঃ) জমজমের পানি পান করতে করতে বলেন, ইয়া আল্লাহ! আমি কেয়ামতের দিন পিপাসা নিবারণের জন্য পান করতেছি।//

হাদীছে আছে, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের দিন জমজমের পানি খুব বেশী বেশী পান করেছেন এবং বলেছেন, আমার দেখাদেখি সকলেই শুরু করবে, নচেৎ আমি বালতি ভরে পান করতাম।
অন্য হাদিসে আছে, তিনি জমজমের পানি
চোখে দেন এবং মাথায় ঢালেন। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আরও বলেন, আমাদের এবং মোনাফেকদের মধ্যে পার্থক্য হল, আমরা জমজমের পানি পেট ভরিয়া পান করি আর তারা সাধারণভাবে পান করে।

হজরত মা আয়েশা (রাঃ) জমজমের পানি তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতেন এবং বলতেন, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও  জমজমের পানি সঙ্গে নিয়া যেতেন এবং রুগীদের উপর ছিটিয়ে দিতেন। তাহনীকের সময় অর্থাৎ বাচ্চার মুখের প্রথম খাদ্য খাওয়ানোর সময় হজরত হাছান হোসেনের মুখে জমজমের পানি দেয়া হয়।

মে'রাজের রাত্রে হজতর জিব্রাইল (আঃ) হুজুরের ছিনা চাক করে অর্থাৎ ছিনা ফেড়ে কলব জমজমের পানি দ্বারা ধুইয়েছিলেন। অথচ জিব্রাঈল (আঃ) বেহেশত হতে বোরাক, তশতরী আরও কতকিছু এনেছিলেন। ইচ্ছা করলে পানিও আনতে পারতেন। কিন্তু আনেননি।  ইহা হতে বড় ফজীলত আর কি হতে পারে?

হজরত ইবনে আব্বাছ (রাঃ) বলেন, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম   জমজমের পানি পান করে এই দোয়া পড়তেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَزِرْنَا وَاسْعًا وَشِفَاء مِنْ

আল্লাহম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিজকান ওয়াসিয়ান ওয়া শিফাআন মিন কুল্লি দাঈ
كُلِّ دَاءٍ - "
অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমি আপনার  নিকট উপকারী এলেম, প্রশস্ত রিজিক ও যাবতীয় রোগ হতে শেফা চাইতেছি। //

হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন।

তারা আরও বলেছে, এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়
পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে।

আজ এই পর্যন্তই!

ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

ড.ইউনুস বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত আনার ব্যাপারে যা বললেন

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনুস বলেন, জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে।

গণআন্দোলনের মুখে পলায়ন  করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিটি হত্যার বিচার আমরা করবই। জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, তার কাজও বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব।”


কেবল দেশেই নয়, গুম, খুন ও জুলাই-অগাস্ট গণহত্যার সাথে জড়িতদের আমরা আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে আমার এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে।”


জাতির উদ্দেশে তার চতুর্থ ভাষণে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত সব অপকর্মের বিচার করার কথাও বলেন ইউনূস।//


তিনি বলেন, “কেবল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডই নয়, আমরা গত ১৫ বছরে সব অপকর্মের বিচার করব। অসংখ্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে এই সময়ে। আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি। কমিশন প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, অক্টোবর পর্যন্ত তারা ১,৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা এই সংখ্যা ৩,৫০০ ছাড়িয়ে যাবে।”


পরে আক্রান্ত হতে পারেন, এই ভয়ে অনেকে কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

 

তিনি গুমের শিকার পরিবারগুলোকে বলেন,

“আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা দ্বিধাহীন চিত্তে কমিশনকে আপনাদের অভিযোগ জানান। কারো সাধ্য নেই আপনাদের গায়ে আবার হাত দেয়,” অভয় দিয়ে বলেন তিনি।


গুম কমিশনে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “গুম কমিশনের সদস্যদের কাছে ভুক্তভোগীদের যে বিবরণ আমরা পেয়েছি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। জুলাই-অগাস্টের বিপ্লবের পর ছাত্রছাত্রীরা শহর বন্দরের দেয়ালে-দেয়ালে তাদের মনের কথা লিখেছে। তাদেরও আগে যারা গুমের শিকার হয়েছে, প্রতিটি গোপন আস্তানার দেয়ালে-দেয়ালে তারা লিখে গেছেন তাদের কষ্টের মর্মস্পর্শী বিবরণ। তাদের এসব কষ্টের কথা শুনে আমাদের হৃদয় কেঁপে উঠেছে।//


“এসবের সঙ্গে জড়িতদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবই। অভিযুক্ত যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 


ইউনূস বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। আপনারা দেখেছেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফলকার তুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন।


মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ”বিপ্লব চলাকালে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-শ্রমিক জনতার শহীদী মৃত্যু হয়। সরকার প্রতিটি মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত যত্নের সাথে জোগাড় করছে। এই বিপ্লবে আহত হয়েছে ১৯,৯৩১ জন। আহতদের জন্য ঢাকার ১৩টি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”


“জাতিসংঘ জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তারা আমাদেরকে তাদের রিপোর্ট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অতীতের গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত কাজেও আমরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করতে ঢাকায় তারা তাদের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।”


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

নবী করিম (সা:) এর রওজা জিয়ারতেও সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,"যে ব্যক্তি আমার জিয়ারত করল তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে গেল। "


নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আমার জিয়ারতের জন্য আসল, এতে তার অন্য কোন নিয়ত ছিল না, তার জন্য সুপারিশ করা আমার উপরে জরুরী হয়ে গেল। ""


পৃথিবীতে এমন কে আছে যার জন্য হাশরের ময়দানের মহাসংকটের দিন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুপারিশের প্রয়োজন হবে না। আর কত বড় ভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি যার জন্য  দয়ার নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুপারিশের জিম্মাদারী নিয়েছেন। //


হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম  সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, "আমার মৃত্যুর পর যে আমার জিয়ারত করিল সে যেন জীবিত অবস্থায়  আমার সাথে  জিয়ারত করল।" 


নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি হজ্ব করল আর আমার জিয়ারত  করল না  সে যেন আমার উপর জুলুম করল। "


আসলে নবী করিম  সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর তার উম্মতের জন্য যে অপরিসীম দয়া ও এহসান,  তা আমরা চিন্তাও করতে পারব না তাই ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির না হয়,এর চেয়ে জুলুমের কথা আর কি হতে পারে?


হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হিজরতের সময় মক্কা ছেড়ে  গেলেন,তখন মক্কার যাবতীয় বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল। আর যখন মদিনা পৌছলেন তখন সেখানকার যাবতীয় বস্তু  আলোকিত হয়ে গেল। 

নবী করিম  সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন মদিনা আমার ঘর, সেখানে আমার কবর হবে। //


একজন মুসলমান পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকুক না কেন, তার ভিতরে নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য মহব্বত ভালোবাসা আছে। এবং প্রত্যেকেই এই স্বপ্ন লালন করেন জীবনে একবার হলেও তার রওজা জিয়ারত করবেন। সেই রওজা জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। রওজা জিয়ারতে এই নতুন নির্দেশনায় কোটি কোটি মুসলমানের কষ্টের কারন হবে। 


সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের গত শুক্রবারের ঘোষণায় বলা হয়, রওজা শরিফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম কমানোর লক্ষ্যে কিছু  নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আগাম অনুমতি ছাড়া রওজা শরিফে প্রবেশ করা যাবে না। আগের মতো অনুমতি ছাড়া প্রবেশের বিষয়টি আর বৈধ থাকবে না।

অর্থাৎ রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। জিয়ারতের সময় এক ঘণ্টায় সীমিত রাখা হবে। এবং বছরে একবারের বেশি রওজা শরিফ পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে না। অর্থাৎ মনে করেন আপনি দুবাইতে চাকরি করেন বছরে ২-৩ বার মদিনায় যান, কিন্তু নবীর রওজা জিয়ারত করতে পারবেন মাত্র একবার। কত বড় বদ নসীব। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমি মদিনায় ১২-১৪ দিন ছিলাম যেদিন আমার মদিনা থেকে চলে আসার দিন ছিল আমি নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা জিয়ারত করার পরে দোয়ায় এত কেদেছিলাম যা আমার কোন আত্নীয়র মৃত্যুতে কাদি নি।? //

সৌদি সরকারের রওজা জিয়ারত নতুন  নির্দেশনা কি? 


সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরিফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।


তাদের বক্তব্য হলো  অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।


হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরিফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।


সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের  মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ দেয়া হলো না। 


আমার মনে হয় সৌদি সরকার পর্যটক বাড়াবার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে আয় বেশি হয়। ওরা এখন খালি ধান্দা করে কিভাবে বেশি আয় হবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

জেল থেকে ইমরান খানের ফাইনাল আন্দোলনের ডাক

 জেল থেকে ইমরান খান ফাইনাল আন্দোলনের  ডাক দিয়েছেন তার দলের নেতা কর্মী এবং জনগণের প্রতি। 


পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা  পিটিআই এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন । কারাগারে বন্দি থেকেই একের পর এক আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আন্দোলন ও জনপ্রিয়তার কারণে রীতিমতো ক্ষমতাসীন দলের আতংকে পরিণত হয়েছেন তিনি। এবার কারাগার থেকেই  ‘আগামী  ২৪ নভেম্বর সারাদেশে চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তাঁর বোন আলেমা খান আদিয়ালা কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের জানান, সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অধিকার হরনের পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। এ নিয়ে ইসলামাবাদ অভিমুখে পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন ইমরান খান। এ কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।


ইমরানের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী বলেন, ইসলামাবাদ পদযাত্রার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। ২৪ নভেম্বর বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হবে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এবং বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হবে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, এটি প্রতিবাদের চূড়ান্ত ডাক। //


ডন জানায়, ইমরান খান এই আন্দোলনকে কারচুপি করা নির্বাচনী ফলাফল, অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের ২৬তম সাংবিধানিক সংশোধনী পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


বর্তমানে একাধিক আইনি মামলার সম্মুখীন ইমরান প্রতিবাদে কর্মসূচিতে দেশের সব নাগরিককে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিবাদটি শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়। এটি দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রামও হবে।  সারাদেশে একসঙ্গে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলেন তিনি।  


এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার সমর্থকরা দেশজুড়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি ও বারবার গ্রেপ্তার হচ্ছেন।//


ইমরান খানের বোন আলিমা খান বুধবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানান, এই আন্দোলনের ডাক সবার জন্য বিশেষত দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য। ইমরান খান বলেছেন, ‘এটি সেই মুহূর্ত যখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি সামরিক শাসনের অধীনে থাকতে চান, না কি স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচতে চান।’


অপরদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সহসভাপতি শেরি রেহমান,, ইমরান খানের এই আহ্বানকে ‘উসকানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পরিবর্তে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা।


ইমরান খানের এই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা বাড়িয়ে তুলেছে।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

ওমরাহ করা নিয়ে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম জেনে নিন

সৌদি আরবের হজ্জ মন্ত্রণালয়ের  নির্দেশনায় জানা গেছে, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। এখন থেকে ওমরাহ যাত্রীরা স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন এবং যে কোনো বিমানবন্দর থেকে স্বদেশে ফিরতে পারবেন। 


এছাড়া নারীদের ওমরাহর সুবিধার জন্যও নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তারা পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। কিন্তু আমি যতটুকু জানি ইসলাম বৈধ পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের এই লম্বা সফর সমর্থন করে না, এর দ্বারা অনেক সময় নানা ধরনের অঘটন ঘটে। উপকারের পরিবর্তে অপকার হয়। তাই  হাক্কানী  অভিজ্ঞ আলেমের কাছে এই ব্যাপারে জানুন ইসলাম কি বলে? । বর্তমান সৌদি সরকার টাকা আয় করার জন্য অনেক কিছুই শিথিল করেছে।//


সৌদি  হজ্জ মন্ত্রণালয় ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এ নির্দেশনায় মক্কার মসজিদুল হারামে ওমরাহর তাওয়াফ ও সাঈ শেষ করার পর শুধু অনুমোদিত নাপিতের কাছেই চুল কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মক্কার আশপাশে নির্দিষ্ট নাপিতের দোকানে জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়, যা ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে তাদের ওমরাহ যাত্রা আরও নির্ভেজাল হবে।


স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।  


নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নাপিতের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং কঠোর স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা ও শেভিং রেজার পুনরায় ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


এছাড়া ওই নির্দেশনায় ওমরাহ পালনকারীদের পায়ের যত্ন নিতে বলা হয়েছে। আরামদায়ক জুতা পরিধান করতে এবং দীর্ঘ সময় খালি পায়ে না হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্লান্তি এলে বিরতি নিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওমরাহর সফরে ভারী খাবার এড়িয়ে চলতে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হয়েছে।


ওমরাহ পালনকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় এই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।  //


 আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ওমরাহর পর অন্য ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গোনাহের জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ বুখারি: ১৭৭৩)


নবী করিম (সা:) এরশাদ করেন, পর পর হজ্ব ও ওমরাহ করতে থাক। কেননা এই উভয় আমল গরীবী এবং গোনাসমুহ এমনভাবে দূর করিয়া দেয়, যেমন আগুন লোহা এবং স্বর্ন রুপার ময়লা পরিস্কার করে। (তিরমিজি)


হজরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, হুজুর (ছঃ) এরশাদ করেন, হজ্ব এবং ওমরা করনেওয়ালা আল্লাহ্ পাকের প্রতিনিধি। তারা দোআ করলে আল্লাহ্ পাক কবুল করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে গোনাহ মাফ করিয়া দেন। অন্যত্র আছে, তিন প্রকারের লোক আল্লাহ্ প্রতিনিধি। মুজাহিদ,  হাজী এবং ওমরা করনেওয়ালা। 


ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালেক (রহ:) বলেন, সামর্থ থাকলে জীবনে কমপক্ষে একবার ওমরা করা ছুন্নত। ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ (রহ:) এর নিকট ওয়াজেব। 


বছরে পাঁচটি দিন ব্যতীত সারা বছর ওমরাহ পালন করা যায়। ওই পাঁচটি দিন হলো জিলহজ মাসের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ। এ দিনগুলোতে ওমরাহ করা মাকরুহ তাহরিমি। এ ছাড়া সারা বছরই ওমরাহ করা জায়েজ ও সওয়াবের কাজ।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

প্রবাসীদের জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে লাউঞ্জের উদ্বোধন করা হলো

এই প্রথমবারের মত প্রবাসীদের জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে লাউঞ্জ চালু করা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকরা বিশ্রাম করতে পারবেন এবং কম টাকায় খাবার খেতে পারবেন, খাবার পরিবেশনের জন্য ভর্তুকি দেবে সরকার। 


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস গত ১১ ই নভেম্বর  হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জের উদ্বোধন করেছেন।


ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তাঁরা বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমরা তাঁদের কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ।’" তিনি আরও বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জটি তাদের যাত্রা সহজ করবে।"


বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মিশনের উপপ্রধান ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালি বলেন, আইওএম-এর তত্ত্বাবধানে এ লাউঞ্জটি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের সহায়তার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।//


ফাতিমা নুসরাত আরও বলেন, "এটি সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টার একটি উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। বর্তমানে বিমানবন্দরে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রবাসীদের সহায়তার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এর পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করছেন।"


গত ৫ অক্টোবর বিমানবন্দরে বিশেষ লাউঞ্জের কথা  জানিয়েছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেদিন তিনি বলেছিলেন, লাউঞ্জ হলে প্রবাসী শ্রমিক ভাই-বোনদের যন্ত্রণা অনেক লাঘব হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যে ভিআইপি সুবিধা সেগুলোও থাকবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের মুহূর্ত থেকে প্লেনে ওঠার আগ পর্যন্ত যে লাউঞ্জ থাকে সেই পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের সঙ্গে একজন লোক থাকবে সহায়তার জন্য। আমরা মনে করি, এটি প্রবাসীদের প্রতি উদারতা নয়। এটি আমাদের দায়বদ্ধতা ওনাদের প্রতি। এটি বহু আগে করা উচিত ছিল।


অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক এবং দেশের কোটি কোটি প্রবাসীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "তারা বারবার তাদের দেশকে তাদের সময় ও শ্রম দিয়ে উৎসর্গ করেছেন।"


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

বেক্সিমকোর সম্পদ দেখাশুনার করার জন্য রিসিভার নিয়োগ দিল সরকার

গত ৫ ই সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি একত্র করে তা ব্যবস্থাপনায় ছয় মাসের জন্য একজন রিসিভার নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।


এর পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য “রিসিভার” নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার কাজ হবে বেক্সিমকো গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের নেওয়া অর্থ আদায় করতে ও বিদেশে পাঠানো অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়।//


রিসিভার হলেন একজন স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যাকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি, সাধারণ সম্পদ বা ব্যবসার কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই সমস্থ কাজ পরিচালনা করার জন্যই রিসিভার নিয়োগ 


গত সেপ্টেম্বর মাসে  বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা এবং এর সব সম্পদ জব্দের (ক্রোক) জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, গ্রুপটির মালিক সালমান এফ রহমানের বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত। এ আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে ব্যাংকটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।



বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল  বা আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন এর ওপর আজ ১২ ই নভেম্বর মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে লিভ টু আপিলটি করা হয়।//


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এখন কারাবন্দী। পোশাক রপ্তানি ও ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হলো  বেক্সিমকো।



এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের জন্য সহকারী রিসিভার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন- ড. সুমন্ত সাহা, সিএফএ অতিরিক্ত পরিচালক; মো. নাহিম উদ্দিন, সিএফএ, যুগ্ম পরিচালক এবং মো. আতিউর রহমান, উপ-পরিচালক।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটিতে  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।