বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণসংক্রান্ত অনিয়ম তদন্তের অংশ হিসেবে ফরেনসিক নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক অডিট হলো একটি প্রক্রিয়া,যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক লেনদেন বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করে, কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত জালিয়াতি ও অনিয়ম শনাক্ত করা যায়।
সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ফরেনসিক অডিটের পাশাপাশি বেক্সিমকো গ্রুপের রিসিভার পরিবর্তনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে কমিটির সভায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত ১৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে, এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা টেলিভিশন স্ক্রলে প্রচার না করায় এবং কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় রিসিভারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে, রিসিভারকে সাময়িক বরখাস্তসহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।//
অথচ হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, সমস্যায় জর্জরিত বেক্সিমকো গ্রুপের পতন ঠেকানো এবং বিনিয়োগকারী, কর্মী ও ব্যাংকগুলোর স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে গত ১০ ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ‘তত্ত্বাবধায়ক’ বা রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বৈঠকে সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফকৃত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃপক্ষ বন্ধ করবে। এছাড়া, শ্রমিকদের আইন অনুযায়ী পাওনাদি চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আজ এই পর্যন্তই
ভিডিওটিতে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন