রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন কি? এই ডিভিশন কারা পাবেন?

আসসালামু আলাইকুম, আজ আমরা আলোচনা করব জেলখানা বা কারাগারের ডিভিশন এর ব্যাপারে। 


সারা পৃথিবীর এবং সব অপরাধীদের কাছেই জেলখানা একটা ভয়ংকর জায়গা। যেখানে কেউই কোন সুখের কিছু আশা করে না, অনেক বাধ্য বাধকতার মধ্যে যেখানে আবদ্ধ থাকতে হয়। এই কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যেই কিছু অপরাধী অন্যদের তুলনায় ভালো সুযোগ পান যা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জেলখানার সেই সৌভাগ্যবান অপরাধী কারা? এবং তারা কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পান? 


বিবিসি বাংলাকে , সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক মোঃ শামসুল হায়দার সিদ্দিকী

বলেন, জেল কোড অনুসারে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কারাগারে ডিভিশন প্রদান করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশেও কাউকে কাউকে ডিভিশন দেওয়া হয়। 


তিনি বলেন, তিন শ্রেণীর ডিভিশন দেয়া হয়ে থাকে। ডিভিশন-১, ডিভিশন-২ এবং ডিভিশন-৩।


এ ধরনের ডিভিশনপ্রাপ্তরা কি ধরনের সুবিধা পাবেন জানতে চাইলে সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স মি: হায়দার বলেন, " বিধি অনুসারে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন-প্রাপ্তদের প্রত্যেক বন্দির জন্য আলাদা রুম থাকে। খাট, টেবিল,চেয়ার,তোষক,বালিশ, তেল, চিরুনী, আয়না সবকিছুই থাকে। আর তার কাজকর্ম করে দেয়ার জন্য আরেকজন বন্দীও দেয়া হয়। ছেলে বন্দীর ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হিসেবে ছেলে আর মেয়ে বন্দীর জন্য একজন মেয়ে থাকবেন।"


এছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে কারাগারের ভেতরে পাঠিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বন্দির চাহিদার প্রেক্ষিতে বইপত্র এবং দু-তিনটি দৈনিক পত্রিকাও থাকবে। 


সাধারণ বন্দিদের চেয়ে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির খাবারের মানও যথেষ্ট ভালো থাকে। সাধারণ বন্দিরা যেখানে ফ্লোরে শুয়ে থাকেন সেখানে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা খাটের উপরে শুয়ে থাকেন। 


সাধারণত সামাজিক মান- মর্যাদা অবস্থান বিবেচনায় ডিভিশন প্রদান করা হয় বলে জানান সাবেক উপ-কারা মহাপরিদর্শক শামসুল হায়দার।


কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পান সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সিআইপি ও সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া ডিভিশন সুবিধার জন্য যে কোনো বন্দি নিজের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন।


কারা কর্তৃপক্ষ সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসবে তিনি ডিভিশন পাবেন কি-না?


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালত যদি কোনো বন্দিকে ডিভিশন সুবিধার আবেদন মঞ্জুর করে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়- তাহলে সেই বন্দি ডিভিশন সুবিধা পেয়ে থাকেন।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাসে হাফ ভাড়া কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে?

বাসে হাফ ভাড়া কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে? 

আসসালামু আলাইকুম, আমরা সবাই-ই বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় পেলে খুশী হই, কিন্তু এই ছাড় আসলে কারা পাবে? 



গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বরে  সড়ক পরিবহন সেক্টরে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা ও বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া নিয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন  প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিনই হাফ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। //


 ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম 

স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটনে চলাচল করা বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া সপ্তাহে সাতদিনই কার্যকর থাকবে বলে 

জানিয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্ত শুধু মেট্রো এলাকায় কার্যকর থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো  বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। হাফ ভাড়ার জন্য শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইউনিফর্ম পরা থাকতে হবে অথবা পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। 


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আফগানিস্তান যেই বিরল উদাহরণ দেখালো তা বিশ্বে বিরল

 আফগানিস্তান যেই বিরল উদাহরণ দেখালো তা বিশ্বে বিরল। সারা পৃথিবী আফগানিস্তানকে দারিদ্র্য পীরিত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ বলেই চিনে। কিন্তু তালেবানরা যখন দ্বিতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসলো তখন থেকেই তারা কাজেকর্মে   আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক। এবং অনেক উল্লেখযোগ্য ভালো ভালো কাজ তারা করে যাচ্ছে। সেই ভালো কাজেরই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানের হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৪ সালে হজের জন্য জমা দেয়া অর্থ থেকে যা বেঁচে গেছে তা হাজীদেরকে ফেরত দেয়া হবে। এরকম ঘটনা কি আমরা বাংলাদেশের ব্যাপারে কল্পনা করতে পারি? /


২০২২ সালেই প্রথম আফগানিস্তান হাজিদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দেয়।  সেবারই প্রথমবারের মতো তালেবান শাসনামলে আফগানরা হজযাত্রা করেন। তখন প্রত্যেক হাজি ফেরত পেয়েছিলেন  ৫১৫ ডলার।


আফগানিস্তানের  ধর্মমন্ত্রী নূর মোহাম্মদ সাকিব

বলেন, এ বছর হজ্জের জন্য হাজিদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১১ কোটি ২০ লাখের বেশি ডলার ব্যয় হয়েছে। বাকি অর্থ সরকারের কাছে রয়ে গেছে। মন্ত্রী  জানান, বেঁচে যাওয়া অর্থ থেকে প্রত্যেক হাজি ৩৭ ডলার করে ফেরত পাবেন।/


হাজিদের অর্থ ফেরত দেয়ার খবরে  এক আফগান নাগরিক মন্তব্য করেন, সুদিন আসছে এবং এভাবেই আসবে। আমরা আবারও সততা, বিশ্বস্ততা এবং গৌরব ও আভিজাত্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো- ইনশাআল্লাহ।


আর আমাদের দেশে হজ্জের খরচ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করে। ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া থেকে  সৌদি আরবের দূরত্ব বেশি হওয়ার পরেও তাদের দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশের চেয়ে কম টাকায় হজ্জ করে। দূরত্ব বেশি হলে স্বাভাবিক ভাবেই বিমান ভাড়া বেশি পরে। কিন্তু তারপরও ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ার মানুষ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম টাকায় হজ্জ করে। /


যেমন বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজ্জের জন্য সরকারিভাবে হজ্জ প্যাকেজ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।


ইন্দোনেশিয়া থেকে  হজ্জে যেতে হলে জনপ্রতি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৩ টাকা খরচ হয়। হজ্জযাত্রায় আরও টাকা লাগলে সেটি সরকারের ‘হজ্জ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ থেকে ভর্তুকি দেওয়া হয়।


মালয়েশিয়া থেকে হজ্জে যেতে সর্বনিম্ন ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হয়।



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ এর ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার আযমী কি বলেন?

   মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ  এর ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার আযমী কি বলেন?

আমরা শুনেছি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হওয়ার কথা এই ব্যাপারে ব্রিগেডিয়ার আযমী যা বলেন।

গতকাল  ৩ রা সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ব্রিগেডিয়ার আযমী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে  প্রশ্ন তুলেছেন। 


  তিনি ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের তথ্যকে ‘কাল্পনিক’ বলায়  সমালোচিত হয়েছিলেন।


সংবাদ সম্মেলনে সেই একই প্রশ্ন তুলে তিনি আবার বলেন, “শেখ মুজিব সাহেব ৩ লাখ বলতে গিয়ে ভুলে  ৩ মিলিয়ন বলেছেন এবং এটাই পরবর্তীতে ৩০ লাখ হয়ে গেছে। কোনো জরিপ ছাড়া ৩০ লাখ শহীদ বলে বলে তারা মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।


“আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আপনারা জরিপ করে বের করেন, একচুয়ালি ৩০ লাখ হোক আর ৩ কোটি হোক। আমার জানামতে, এটা ২ লাখ ৮৬ হাজার। তারা ৩ লাখকে ৩০ লাখ বানিয়ে ফেলেছে। এখনো সময় আছে, জাতিকে সত্য ইতিহাস জানতে দিন। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মিথ্যার উপরে আপনারা গড়ে তুলতে দেবেন না। আপনারা সত্যিকার একটা জরিপ করার   ব্যবস্থা করেন।”



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি  লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

কিভাবে   ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হন?

ইব্রাহিম রাইসি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিতে তিনি  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। 



২০২৪ সালের ১৯ মে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি, এবং প্রদেশের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম। //


দুর্ঘটনার পরেই ২৩ মে, সেনাবাহিনী প্রথম প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষে গুলি, বুলেট বা কোন কিছুর আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, পাহাড়ের ঢালে আঘাতের কারণেই হেলিকপ্টারে আগুন ধরে যায়।


মে মাসেই সেনাবাহিনীর একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার পেছনে কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ বা হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।//


ইব্রাহিম রাইসির  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিষয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার পেছনে দুইটি কারণ উল্লিখিত হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত যাত্রীর ওজন।


চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হেলিকপ্টারটির উড্ডয়নের জন্য আবহাওয়া উপযুক্ত ছিল না এবং এতে সামর্থ্যের চেয়ে অন্তত দুজন বেশি যাত্রী ছিল। এর ফলে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।//


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া কিছু নয়।


সেনাবাহিনীর তদন্তে আরও বলা হয়, হেলিকপ্টারটি নির্ধারিত রুট থেকে বিচ্যুত হয়নি এবং বিধ্বস্ত হওয়ার দেড় মিনিট আগে পর্যন্ত এটি অন্য দুটি পাইলটের সাথে যোগাযোগ ছিল।


আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন, এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ

শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারী হত্যাকান্ডের তদন্ত জাতিসংঘ করবে কেন?

 বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ শিগগিরই তদন্ত শুরু করবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে  এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।


ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তের জন্য খুব শিগগিরই  জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি তদন্ত শুরু করা হবে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল শিগগিরই তদন্ত শুরু করতে বাংলাদেশ সফর করবে।”

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস

১৫ ই আগষ্ট  গোয়েন লুইস সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনভাবেই কাজ করবে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। তার অর্থায়নও করবে জাতিসংঘ। এর কর্মপ্রক্রিয়া ও পরিধি ঠিক করতে কাজ করছে সংস্থাটি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের ফোনালাপের উদ্ধৃতি দিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, তদন্ত দলকে সহায়তা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।


কারণ, এ সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ। যারা এ অপরাধগুলো করেছে এবং যারা হুকুম দিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে এবং এ কাজে জাতিসংঘ সহায়তা করুক, এটা নিয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ সরকার চায় একটা স্বচ্ছ তদন্ত হোক এবং তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। কাউকে  ঢালাওভাবে বা সামরিক ট্রায়ালের চিন্তা  সরকারের নেই। আমরা পুরোপুরি আইন অনুযায়ী কাজটা করতে চাই ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের এক প্রতিবেদনে ১৬ ই আগষ্ট বলা হয়েছে


গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও আন্দোলনকারীদের দেয়া তথ্য অনুসারে, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে ৬০০’ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।


এর মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে বিক্ষোভের সময় প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছে।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেই সময় থেকে প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহতদের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। ৭ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে বেশ কিছু প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, যারা সহিংসতায় আহত।


জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ প্রাণহানি ও আহত হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনকে।


তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা চাইব অবশ্যই যেন একটা নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। অবস্থাটা এমন যে, কোনো কিছু করতে গেলে একটা সমালোচনা আসতে পারে। সেজন্য আমরা চাইব, এটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে হোক এবং এতে যা যা সহায়তা করা লাগবে সেটা আমরা করব।

অর্থাৎ  জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্ত করার উদ্দেশ্য হলো, এই তদন্ত নিয়ে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী  দল বা কোন রাষ্ট্র যেন কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে। তদন্ত নিরপেক্ষ হলে বিচার এবং শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে কোন সমালোচনার পথ তৈরি হবে না। যারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হতাহত করার জন্য হুকুম দিয়েছে এবং যারা বিভিন্নভাবে তাদের হত্যার জন্য সাহায্য সহোযোগিতা করেছে সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। 



আজ এই পর্যন্তই!


ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন,share করুন এবং এইরকম ভিডিও আরো  পেতে চাইলে চ্যানেলটি subscribe করে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।



জাতিসংঘের প্রতিবেদন মতে  ৬৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।


ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারী হত্যাকান্ডের তদন্ত জাতিসংঘ  করবে কেন?

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪

শেখ মুজিবের মূর্তি ভাংচুর করার ব্যাপারে ড. ইউনূস যা বলেন

সাংবাদিকরা শেখ মুজিবের মূর্তি ভাংচুর করার ব্যাপারে ড. ইউনূস এর মতামত জানতে চাইলে, ইউনূস বলেন, "ছাত্র জনতা শেখ হাসিনা সম্পর্কে কি মূল্যায়ন করে এটা তারই প্রতিফলন। হাসিনা নিজে যা করেছেন নিজের জন্য এবং তার পিতার জন্য, তারই ফল এটা।   তিনিই এতদিনে এই  অর্জন করেছেন। এটা যুব সমাজের ত্রুটি নয়। এটা হলো শেখ হাসিনার ভুল।


সম্পুর্ন ভিডিওটা দেখতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন। please like & subscribe.